পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] هه a * * * "مسوداءه همهم . জটিল উপাদান—ধন, বাণিজ্য, শিল্পোন্নতি, আবিষ্কার প্রভৃতিকে রাজাদের খেলনা মনে করিতেন। এসকলের সহিত অন্তরের রাজার কি সম্পর্ক ? এজন্ত টলষ্টয় দ্যায় অদ্যায় ছাড়া আর কিছুকেই গ্রাহ করিতেন না । তিনি ংস অপেক্ষ ত্যাগের মাহাত্ম্য অধিক বলিয়া প্রচার করিয়াছেন। সামাজিকপন্থীরা ( Socialist ) নির্ধনদের বলে অলস ধনীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোঙ্গী হঠতে ; কিন্তু টলষ্টয় ধনী, অলস, মূৰ্ত্তিবাজ, সেখীন লেখক, তুচ্ছ পদার্থের শিল্পী, কবি ৭ আব্বাচীন জনসাধারণ সকলকেই নিজেদের বিরুদ্ধে বিদ্রোঙ্গী হইতে আহবান কবিতেন । এমন কঠিন কথা সকলে বুঝিত না, এমন মহৎ আদেশ পালন করিপার মতন বল কাহারে ছিল না, তাই সকলে টলষ্টয়কে পাগল সন্ন্যাসী বলিয়া কানাযুদ্ধা করিত। কেহ তাঙ্গার কথা শুনিতে চাহিত না, কিন্তু না শুনিয়াও কাহারো নিস্তার ছিল না। র্তাহার বজ্রমন্ত্র একবার যাচার কানে গিয়াছে সেই অতিষ্ঠ হইয়া উঠিয়াছে —তাঙ্গর শান্তি আরাম সব ঘুচিয়া গিয়াছে। ইহা শুধু তাঙ্গর প্রবল ভাবুক তার প্রভাব নহে, ইষ্ঠা তাহার সৰ্ব্বাস্তঃকরণের অকপট ইচ্ছ, স তাকে নিরস্তর জাগ্রত রাখা, দ্যায়ের বিধান অকুতোভয়ে পালন করা ও আধাআধি রফা না করার ফল । সাধারণ লোকের মধ্যে যে রফার ভাব, হইতেছে-হউক-সহিয়া-থাকিব-রকমের কাজচালানো নিশ্চেষ্টতা ও অন্তায় প্রতিরোধের অদৃঢ়তা আছে তাঙ্গ টলষ্টয়ের বজ্র আঘাতে বেদনাতুর হইয়া কঁপিয়া উঠিত । এই জন্ত তাঙ্গার চরিত্র-সমালোচকেরা তাতার চরিত্রের দুই দিক নির্দেশ করিয়াছেন। এক আটিষ্ট টলষ্টয় আর এক সংস্কারক ঋষি টলষ্টয় । সমালোচকের এই বলিয়া তাহার নিন্দ করেন যে ঋষি টলষ্টয় তাহার আর্টের দিকটা বিশ্বমানবের জন্ত নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছেন—যাহা আর্টে শোভন সুন্দর হইয়া উঠিত সেই শুভশক্তিকে তিনি নরসেবায় নিয়োজিত করিয়া খরচ করিয়া ফেলিয়াছেন । কিন্তু মানুষের জীবন শুধু আর্টের দিক হইতে বিচার করিবার নয়, তাহার বিশ্বের সহিত সংযোগের দিকটাও দেখিবার। আর্টিষ্ট ও সংস্কারক ঋষি—ইহঁাদের মধ্যে ঋষি টলষ্টয় কোন দিকটার দ্বারা বিশ্বহিত অধিকতর হইয়াছে ? এই 8bア > রহস্ত সমাধান করিতে গিয়া নানা মুনি নানা মত প্রকাশ করিয়াছেন এবং তাহাতে করিয়া সমস্ত আরো জটিলই হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু যথার্থ পক্ষে টলষ্টয়-চরিত্রের উভয় দিকের মধ্যে কোনো বিরোধ নাই, উভয়েরই উদ্দেগু সত্য শিব সুন্দরকে লাভ করা। র্তাঙ্গর মহৎ প্রতিভা যে অপূৰ্ব্ব গদ্য রচনার আর্টের মধ্য দিয়া আত্মপ্রকাশ করিয়াছে তাহারও উদ্দেগু সেই সত্য শিব সুন্দর । তাছার রচনা এক মঙ্গৎ ও উদার করুণ ও সদয় অন্তরের ভাবপ্রবাহে অসুস্থ্যত,—তিনি এমন কোনো চরিত্র চিত্র করেন নাই যে তাহার সহানুভূতি হইতে বঞ্চিত, যাচার ভিতর হইতে আসল মনুষ্যত্ব উকি মারে নাই ; অথচ তিনি কোথাও রফা করিয়া চলেন নাই, মাঝারিকে কোথাও প্রশ্রয় দেন নাই । 馨 টলষ্টয় নিজে নিজের জীবনকে চার অংশে ভাগ করিয়াছেন— সেই চমৎকার, সরল, আনন্দময়, কবিত্বপূর্ণ শৈশব ১৪ বৎসর পয্যন্ত : দ্বিতীয় অংশ তার পরের ভয়ঙ্কর বিশ বৎসর ষে সময় কদৰ্য্য BBBS DBBS BBSBBS BB BB BBBBBS BBBBBBBB BBB নিরঙ্গর উদ্বেজিত করিতে থাকে ; তারপর তৃতীয় অংশ পরের আঠার বৎসর–আমার বিবাহ হইতে আমার আধ্যাত্ম জীবনের জন্ম পয্যন্ত--- এই সময়টিকে সাংসারিক হিসাবে বেশ নৈতিক বলা গেলেও আমার নিজের কাছে জীবন থার্থপর পারিবারিক চিন্তার, ধনসমৃদ্ধির চেষ্টায় ও সাহিত্যিক খ্যাতিতে পরিবেষ্টিত সঙ্কীর্ণ ছিল ; সবশেষে চতুর্থ অংশ, যে সময় এখন আমার চলিতেছে এবং যে অবস্থাতে আমার মৃত্যু হইবে আশা করিতেছি । তাঙ্গর জীবনের শেষ অধ্যায়কে তিনি বিশদ করিয়া বলেন নাই। কিন্তু স্তম্ভিত বিশ্ব দেখিয়াছে সে অধ্যায় তাহার বিশ্বপ্রেমে, বিশ্বমৈত্রীতে, বিশ্বচিতে, পরিপূর্ণ। তিনি কোটি কোটি টাকা উপার্জন করিয়াছেন এবং তাহ দেশের দুঃস্থ কৃষকদের সঙ্গে সশান ভাগে বণ্টন করিয়া নিজের একাংশ মাত্র লষ্টয়াছেন । তিনি যে বিশ্বপরিবারের আদর্শ কল্পনা করিয়াছিলেন তদনুসারে নিজের জীবনও উৎসর্গ করিয়াছিলেন ইহাই তাহার মহত্ত্ব । জগতে যতদিন দারিদ্র্য অভাব থাকিবে ততদিন তিনি ভোগ বিলাসের অধিকারী নহেন, যতদিন দুৰ্ব্বলের প্রতি প্রবলের অত্যাচার থাকিবে ততদিন তিনি নীরবে ক্ষান্ত থাকিবার নহেন ষ্টক তিনি নিজের আচরণে সপ্রমাণ করিয়া গিয়াছেন। অতুল