পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లీ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, > రి) 8 ( ১৮১৫ খৃঃ) সর্দারগণের উপদ্রব এতদূর বাড়িয়া উঠে যে রাজা ইংরাজের সহিত সন্ধিস্থত্রে আবদ্ধ হইয়৷ সাহায্যপ্রার্থী হন । বিদ্রোহ দমনের জন্স ইংরাজ-জেনারেল আলনার সসৈন্তে বিকানীর রাজ্যে প্রবেশ করেন, এবং বিদ্রোহ দমন করিয়া কতকগুলি পরগণায় শান্তি স্থাপন করেন এবং পরগণাগুলি রাজার অধিকারভুক্ত করিয়া দেন । কেবল ইংরাজ-সৈন্তের ব্যয় আদায় করিয়া তুলিবার জন্ত বাহাদ্রণ নামক একটি পরগণা চারি বৎসরকাল ইংরাজাধিকারে রাখেন । একটা প্রাচীন ঘটনা এস্থলে উল্লেখ না করিয়া পারিলাম মা । এখানে রাঞ্জার নিশানে, চাপরাশে, বাসনপত্রে, গাড়ী পান্ধী প্রভৃতি সমস্ত আসবাবেই আজ পর্যন্ত দেবনাগরী অক্ষরে “জয় জঙ্গলধর বাদসাহ” লিখিত হইয়া থাকে । যে সময়ে দারা, মুজা দিল্লীর সিংহাসন লইয়া বিবাদ উপস্থিত হয়, সে সময় বিকানীরের রাজা করণ সিংহ আরঙ্গজেলের পক্ষ সমর্থন করেন । পদম সিংহ এবং কেশরী সিংহ নামক করণসিংহের পুত্রদ্বয় যুদ্ধে অসীম প্রতিপ্রক্তি দেখাইয়া বাদশাহ আরঙ্গজেবের প্রিয়পাত্র হইয় উঠেন । একদা আরঙ্গজেব অনেক সৈন্তসামস্ত এবং অনেক প্রাদেশিক হিন্দুরাজ সহ দিগ্বিজয়ে বাহির হন । আটক পৰ্য্যন্ত অগ্রসর হইলে বিকামীর-রাজ করণ সিংহ এক ষড়যন্ত্রের অনুসন্ধান পাইলেন । তাহাতে দেখিলেন রাজ্য বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে আরঙ্গজেবের উদ্দেশু যাবতীয় হিন্দুকে জোরজুলুমে মুসলমান কর । সমস্ত হিন্দুরাজাগণ মুখ ফুটিয়া কিছু বলিতেও পারেন না অথচ হিন্দু-ভ্রাতাদের সমূহ বিপদও উপস্থিত । হিন্দুরাজাগণ মহা সমস্তায় নিপতিত হইলেন। করণ সিংহ একটা উপায় উদ্ভাবন করিলেন। তিনি নৌকার সাহায্যে সমস্ত মুসলমানকে দিগ্বিজয়ের জন্ত অপর তীরে পাঠাইয়া দিলেন । পুনরায় হিন্দুদিগকে তীরে লইবার জন্য নৌকা যখন প্রত্যাবর্তন-পথে নদীর মধ্যস্থলে উপস্থিত তখন করণ সিংহের মুদ্ধিকৌশলে উঠা অৰ্দ্ধপথেই চূর্ণ এবং জলমগ্ন হইয়া গেল । হিন্দুরাজাগণ করণ সিংহকে ধন্যবাদ দিয়া এবং আরঙ্গজেবের মধ্যে ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ASAe SAMMAAASAASAASAASAASAASAASAA AAASAASAASAASAASAAAS - به ه- دریایی مینیمم**به জয়ধ্বনি করিয়া বলিয়া উঠিলেন “জয় জঙ্গলধর বাদসহি ।” ইহার অর্থ মরুভূমির রাজার জয় । এ অঞ্চলে জঙ্গল অর্থে মরুভূমি বুঝায়। সেই অবধি বিকানীরের রাজগণ “জয় জঙ্গলধর বাদসাহ” শব্দটা সম্মানসূচক বংশ-নিদর্শন স্বরূপ ধরিয়া লইয়াছেন । আরঙ্গজেবের আর দেশ জয় করা হইল না । হিন্দু রাজাগণ মহা আনন্দে এবং বাদসাহ ক্ষুণ্ণ মনে রাজধানীতে প্রত্যাবর্তন করিলেন। বাদসাহ দরবার-স্থলে তাঙ্কার সাক্ষাতে করণ সিংহকে আনিয়া ঘাতককে তাহার মস্তক ছেদনে আজ্ঞা প্রদান করিলেন । দরবার বসিল । করণ সিংহ গিয়া দরবারে উপবেশন করিলেন, ভীষণ আরুতি দুষ্ট বীর সন্তান পদম সিংহ এবং কেশরী সিংহ পিতার দুই পাশ্বে বসিয়া বাদসাহের ক্রিয়াকলাপ পর্য্যবেক্ষণ করিতেছিলেন । বাদসহ আরঙ্গজেব দুষ্ট বীরের ভীষণ চোরা দেখিয়া ভীত হইলেন এবং ঘাতককে দরবার-স্থল হইতে প্রস্থান করিতে ইঙ্গিত করিলেন । বাদ সাহ করণ সিংহকে একটা কথাও বলিতে সাহসী তক্টলেন না। যদি ঐ সময় উষ্ঠার শিরশ্চেদন করিতে ঘাতককে অনুমতি দেওয়া হইত তাহা হইলে হয়ত পরবর্তী ইতিহাসেরও অনেক পরিবর্তন ংঘটিত হইত। তারপর করণ সিংহ এবং তাঙ্গর পুত্রদ্বয় পূর্বের দ্যায় বাদসাহের প্রিয়পাত্র হইয়া উঠিলেন। আরঙ্গজেব করণ. সিংহকে দীক্ষিণাত্যের আওরাঙ্গাবাদ শাসনে প্রেরণ করেন এবং তথায় তাহাকে অনেকটা জায়গার জায়গীর প্রদান করেন । ঐ স্থানে উহঁদের নামানুসারে করণপুর, কেশরীপুর এবং পদমপুর নামক তিনটী গ্রাম স্থাপন করা হয় । আজ পর্য্যন্তও দক্ষিণাত্যের এই তিনটী গ্রাম বিকানীর রাজ্যের অন্তর্গত । সপ্তদশ রাজা রতন সিংহের রাজত্বকালে সন্তান-হত্য প্রথা রচিত হয়। বিবাহের ব্যয়বাহুল্যে রাজপুতগণ সন্তানকে হত্যা করিয়া ফেলিত । রতন সিংহ বিবাহের বায় হ্রাস করিবার জন্ত আদেশ প্রচার এবং সস্তানহত্যার বিরুদ্ধে আইন প্রচার করেন। অষ্টাদশ রাজা সর্দার সিংহ পৈতৃক ঋণে জড়িত হইয়া পড়েন । কিছুতেই অভাব পূরণ হইয় উঠে না। কোন