পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b-8 ..........ء ء....---sی..= ---- مع**حه-----*s-• মাথায় লষ্টয়া এই মতাপুরুষ যে জলন্ত বিশ্বমৈত্রীর আদর্শ দেখাইয়া গিয়াছেন তাঙ্গ আজ বিলাস অত্যাচার অন্তায়সহিষ্ণুতার ঘরে আগুন ধরাষ্টয়া দিয়াছে—তাঙ্গাদের স্নিগ্ধচ্চায়ে স্বযুপ্ত সভ্যসমাজ বিস্ময়স্তম্ভিত কষ্টয়া জাগিয়া উঠিতেছে। আজ সকল পতিত মানবসমাজের বুকের ভিতর আধুনিক কালের এই মহর্ষির অমর আহবান জাগিতেছে, যেমন কথা একদিন এষ্ট ভারতের ঋষিকণ্ঠে ধ্বনিত হইয়াছিল – *উত্তিষ্ঠত জাগ্ৰত প্রাপ্য বরান নিবোধত । ক্ষুরস্ত ধারা নিশিতা দুর্গং পথস্তং কবয়োর্বদন্তি ॥ চারু বন্দ্যোপাধ্যায় । চতুৰ্ব্বিংশ পরিচ্ছেদ । স্বামী ও স্ত্রী । খুলনা হইতে পাঁচ ছয় ক্রোশ দূরে, সাগরদীঘি নামক একখানি গ্রাম আছে। ডেপুটি পদাকাঙ্ক্ষী, আমাদের পূৰ্ব্বপরিচিত প্রমথনাথের পিতা শ্ৰীযুক্ত গুরুদাস মুখোপাধ্যায় মহাশয় এই গ্রামের জমিদার। গুরুদাস বাবুরা দুষ্ট ভাই ছিলেন । জ্যেষ্ঠ হরিদাস বাবু জমিদারী দেখিতেন,—কনিষ্ঠ ডেপুটিগিরি চাকরি করিতেন। একবৎসর হইল হরিদাসবাবু পরলোক গমন করিয়াছেন। তাহার দুইটি নাবালক পুত্র আছে। জমিদারী দেখে কে ?—এই কারণে বাধ্য হইয় গুরুদাস বাৰু, ত্রিশ বৎসর চাকরি পূর্ণ হইবার পূৰ্ব্বেষ্ট, ডাক্তারের সার্টিফিকেট দিয়া পেন্সন লক্টর বাড়ী আসিয়াছেন । গুরুদাস বাবুর তুষ্টটি পুত্র, একটি কস্তা । জ্যেষ্ঠপুত্র প্রমথনাথ । কনিষ্ঠের নাম বসন্ত। তাঙ্কার বয়স একাদশ বর্ষ। কন্ত। সরোজিনী, বসন্ত অপেক্ষা দেড় বৎসরের বড় । ইহারই ৰিবাহের জন্ত প্রমথনাথের পিতা কিছু উদ্বিগ্ন আছেন। সরোজিনীর আসল নামটি বড় একটা শুনিতে পাওয়া যায় না। তাহাকে সকলে চিনি বলিয়া ডাকে। সরোজিনীকে সংক্ষিপ্ত করিয়া কে কবে "জিনি" বলিয়াছিল—‘জিনি কইতে শীঘ্রই চিনি হইয়া দাড়াইল । প্রবাসী—মাঘ, ১৬১৭ S AeSAeAeSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASبه دهه ۰ - ۰ محدسه محمدمه وخیمASAAAAS AAAAAeMASASeMSeeeAeSeAAASAAAS [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড গুরুদাস বাবু যৌবনকালে ব্রাহ্মসমাজে যাতায়াত করিতেন এবং দীক্ষাগ্ৰহণ করিবেন ইহাও একপ্রকার স্থির হইয়াছিল। কিন্তু কেছ কেহ তাঙ্গকে ভয় দেখাইল,— হিন্দুধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিলে পৈতৃক বিষয় কষ্টতে বঞ্চিত ইষ্টবেন । এষ্ট কারণে তিনি প্রকাশুভাবে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে বিরত রছিলেন--কিন্তু তাঙ্গর সঙ্গমুভূতি পূর্ণমাত্রায় উক্ত সম্প্রদায়ের সঠিতষ্ট রহিল । মিশনারি মেম স্ত্রীকে লেখা পড়া ও শিল্পকৰ্ম্ম শিক্ষা দিতে লাগিলেন । কয়েক বৎসর এইরূপ চলিলে, - অল্পে অল্পে তিনি বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্রতি আকৃষ্ট হইতে লাগিলেন । এখন তাঙ্কার টিকি আছে - মাছ মাংস ছাড়িয়াছেন এবং চৈতন্ত্যভাগবত প্রতিদিন অধ্যয়ন করিয়া থাকেন।--মেয়েটিকে বিদ্যালয়ে পাঠান নাই—তবে সে মার কাছে লেখা পড়া এবং দাদার কাছে হাৰ্ম্মোনিয়ম বাজাষ্টতে শিখিতেছে । তাহাতে গুরুদাস বাবু আপত্তি উত্থাপন করেন মাষ্ঠ । প্রমথ বাবুর স্ত্রীর নাম মুশালা । সুশালার পিতামাতাও নব্যতন্ত্রের লোক । হিন্দু গৃহস্তের পক্ষে একটু বেশী বয়স অবধি মেয়েকে তাঙ্গার অবিবাহিত রাথিয়াছিলেন এবং বিদ্যালয়ে না পাঠাইলেও, বাড়ীতে তাহাকে প্রবেশিক পরীক্ষার পাঠ্য পুস্তক পর্য্যন্ত পড়াইয়াছিলেন । সুশীলা মেয়েটি সুন্দরী না হইলেও দেখিতে বেশ স্বী—তাহার বয়স এখন সতেরো বৎসর । প্রমথ বাবু যেদিন কল্যাণপুর হইতে ফিরিলেন, সেদিন বৈকালে তাহার স্ত্রী স্বশীল তাঙ্গকে জিজ্ঞাসা করিল— “তোমার বন্ধুবরের খবর কি ?” “খবর ভাল ।” “বিয়ের কথা বার্তা কিছু হল ?” “কিছু না ।” “সে কি গো ! তুমি তবে গিয়েছিলে কি জন্তে ?” “শুধু তার মন বুঝে দেখবার জন্তে !" “মন বোঝা গেল ?” “গেল। বিয়ে করার গতিক নয়।” “গতিক নয় ? বল কি ! চিরকাল কি আইবুড় থাকবে না কি ?” “সেই রকমই ত তার ভাবখান । সে বলে, নিজের