পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ASAAAS A SAS SSAS SSAS .. ہِ مہ = 8న లి SAAAAAAS AA SAASAAeeSAAAAAA ASASASAeAASAASAASAAAS প্রদর্শনীতে দেখিবার জিনিস ও ভাবিবার বিষয় অনেক আছে । উষ্ঠাতে ভারতবাসীর হস্তনিৰ্ম্মিত যে সকল দ্রব্য প্রদর্শিত হইয়াছে, এবং যে সকল জিনিস প্রদর্শনীর মধ্যেষ্ট দেশী কারিকরের হস্তদ্বারা নিৰ্ম্মাণ করিতেছে তাছা দেখিলেই বুঝা যায় যে ভারতবর্ষে শিল্পের অবনতি ও লোপ এবং শিল্পীর দারিদ্র্য ভারতবাসীর বুদ্ধির অভাব, শিল্পনৈপুণ্যের অভাব, সৌন্দৰ্য্যবোধ বা রুচির অভাব কিম্বা শ্রমবিমুখতায় হয় নাই । বিদেশীর হস্তে রাজনৈতিক শক্তির অপব্যবহারে কিছু হইয়াছে ; আমাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অভাবে কিছু হইয়াছে ; আধুনিক কলকারখানা যথাসময়ে ও যথেষ্ট পরিমাণে প্রচলন না হওয়ায় কিছু হইয়াছে ; বিকৃত শিক্ষণর দোষে আমাদের রুচি বিগড়িয়া যাওয়ায় আমরা সুন্দর দেশী জিনিস ছাড়িয়া তদপেক্ষা কম সুন্দর কিম্বা বাস্তবিকই কুৎসিত ৰিদেশী জিনিস ব্যবহার করিতেছি বলিয়া কিছু হইয়াছে ; আমাদের মধ্যে রাজা রাজড়া ও অবস্থাপন্ন লোকদের চালচলন পাশ্চাত্য ভাবাপন্ন হওয়ায় প্রাচ্যসভ্যতা ও ভদ্র-জীবনযাপন-প্রণালীর সখায় স্বরূপ অনেক জিনিস অনাদৃত ছষ্টয় পড়িয়াছে বলিয়া কিছু হইয়াছে ; আমাদের কারিকরের বিজ্ঞাপনাদি দ্বারা নিজেদের জিনিস কাটাহঁতে না জানাতেও অনেক অনিষ্ট হইয়াছে । ব্যবসা বাণিজ্য অশিক্ষিত লোকদের হাতে থাকাও অন্ততম কারণ । कब्र शीघ्र न । ভারতবর্ষের সকল প্রদেশেই নানাবিধ প্রাচীন শিল্প এখনও বিদ্যমান আছে । তন্মধ্যে যে সকল শিল্পদ্রব্য কারিকরের প্রদর্শনীক্ষেত্রেই প্রস্তুত করিয়া দেখাইতেছে, তাহার সমস্তই উত্তরপশ্চিম প্রদেশ ও পঞ্জাবের। অন্যান্ত প্রদেশের শিল্পদ্রব্য কিছু কিছু প্রদর্শিত হইয়াছে বটে, কিন্তু বাঙ্গল, আসাম, উড়িষ্যা, মধ্যভারত, বোম্বাই ও মাস্ত্রাজের কোন কারিকর দেখিলাম না । উত্তরভারত ছাড়া ভারতের অল্প অংশের জিনিস না থাকার মধ্যেই, কিন্তু বিলাতের ও জৰ্ম্মানীর জিনিস খুব আছে । সুতরাং এই প্রদর্শনীকে “স্বদেশী" ত বলা যায়ই না, বরং তাছার বিপরীত । যাহা হৌক, দেশী কারিকরেরা যে সকল জিনিস প্রস্তুত করিতেছে, তৎসমুদয় খুব সুন্দর ; দামও কিছু বেশী নয়। ংক্ষেপে সকল কারণের উল্লেখও প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ SAASASASMMMSASAASAASAASAASAAAS [ s०अ छात्र, २ध्न थe AASAASAASAASAASAASAAeAeSAeSASAeS AeSeS প্রদর্শিত অস্তান্ত দেশী জিনিস দেখিয়াও আমাদের গৌরব বোধ করিবার যথেষ্ট কারণ আছে । কিন্তু ভাচার সঙ্গে সঙ্গে লিষাদও আসিয়া উপস্থিত হয় । এই সকল শিল্প আর কতদিন টিকিবে ? আমরা ত নিজের জিনিসের যথেষ্ট আদর করি না ; নূতন নুতন নিৰ্ম্মাণোপায় এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির উপায়ও শিক্ষা করি না । এই প্রদর্শনীর দ্বারা “স্বদেশী”র যে উপকার হইবে না তাহার আভাস পূৰ্ব্বেই দিয়াছি। বাস্তবিক আমাদের এখন যেরূপ প্রকৃতি ও প্রবৃত্তি, তাহাতে প্রদর্শনীর দ্বারা আমাদের ইষ্ট অপেক্ষা অনিষ্টই অধিক হয় । বিদেশী লোকেরা.আমাদের ভাল জিনিসগুলি তন্ন তল্ল করিয়া দেখে, ফোটোগ্রাফ নক্সা লয়, নিৰ্ম্মাণ প্রণালী লক্ষ্য করিয়া টুকিয়া লয়, কোন জিনিসটার কিরূপ কাটুতি কোনটা আমাদের পছন্দসই ও রুচিসঙ্গত তাহ জানিয়া লয় । তাহার পর তাহারা প্রভূত মূলধন ও কলকারখানার সাহায্যে এই সকল জিনিস প্রচুর পরিমাণে প্রস্তুত করিয়া সস্ত দামে চালান করিয়া বাজার ছাইয়া ফেলে। ইহাদের দলবদ্ধ সুশিক্ষিত শক্তির কাছে, আমাদের দরিদ্র, অশিক্ষিত, অদলবদ্ধ, আধুনিক-ব্যবসা-জ্ঞানহীন কারিকরের দাড়াইবে কেমন করিয়া ? এত দর্শক ত প্রদর্শনী দেখিতে গিয়াছে ও যাইবে, তন্মধ্যে হাজারে একজনও কি শিখিতে গিয়াছে ? মনে হইতেছিল যেন সকলেই আমোদের জন্ত, তামাসা দেখিবার জন্ত গিয়াছে। নতুবা যাহা হইতে শিখা যায়, যাহা হইতে লাভ হয়, সে সকল বিভাগে খুব কম লোক, কিন্তু অলঙ্কারের গৃহে খুব জনতা । এরূপ হইবে কেন ? যে সকল ছোট ছোট দোকানে কারিকরের জিনিস প্রস্তুত করিতেছে, তদ্ভিন্ন stsen fets (Forestry Court), Ff, fets (Agricultural Court’, afastutfit fets (Engineering Court), ossob-fostol (Irrigation Court), sofson *Rf RJR«El fets (Medical and Hygiene Court), ও বয়ন বিভাগ (Textile Court), প্রভৃতিতে দেখিবার, শিখিবার এবং কাজে লাগাইবার অনেক জিনিল আছে। কিন্তু এই সকল জিনিস দেখিবার লোক কম, বুঝিয়া কাজে লাগাইবার লোক আরও কম, এবং বুঝাইবার বন্দোবস্তও