পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_一ー一ー・一ーで


محبت--تہیہے____

৫ম সংখ্যা ] AMSMMSMSeAMMeMeeMMeMMAeeeeSMSMeMeMASMMSMMSMSMeAMMMMAMMMMBAMAMMS হচ্চে না—আমরাতাকে অত্যন্ত প্রত্যক্ষ দেখতে পাচ্চি,— জল স্থল তরু লতা পশু পক্ষী । জল মানে বাষ্পবিশেষের যোগবিয়োগ লা শক্তিবিশেষের ক্রিয়ামাত্র নয়—জল মানে আমারই একটি আপন সামগ্ৰী ; সে আমার চোখের জিনিষ, স্পর্শের জিনিষ ; সে আমার স্নানের জিনিষ, পানের জিনিষ ; সে বিবিধ প্রকারেই আমার আপন । বিশ্বজগৎ বলতেও তাই ;–স্বরূপত তার একটি বালুকণাও যে কি তা আমরা ধারণা করতে পারিনে—কিন্তু সম্বন্ধত সে বিচিত্রভাবে বিশেষভাবে আমার আপন । যাকে ধরা যায় না সে আপনিই আমার আপন হয়ে ধরা দিয়েছে। এতই আপন হয়ে ধরা দিয়েছে, যে, দুৰ্ব্বল উলঙ্গ শিশু এক্ট অচিন্ত্য শক্তিকে নিশ্চিন্ত মনে আপনার ধুলোখেলার ঘরের মত ব্যবহার করচে, কোথাও কিছু পাচে না । জড়-জগতে যেমন, মামুষেও তেমনি । প্রাণশক্তি যে কি তা কেমন করে বলব! পর্দার উপর পদ যতই তুলব ততই অচিন্ত্য অনন্ত অনিৰ্ব্বচনীয়ে গিয়ে পড়ব ! সেই প্রাণ এক দিকে যত বড় প্রকাও রহস্তই হোকৃ না কেন, আর এক দিকে তাকে আমরা কি সহজেই বহন করচি-— সে আমার আপন প্রাণ। পৃথিবীর সমস্ত লোকালয়কে ব্যাপ্ত করে প্রাণের ধারা এই মুহূর্তে অগণ্য জন্মমৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্চে, নুতন নুতন শাখা প্রশাখায় ক্রমাগতহ দুৰ্ভেদ্য নির্জনতাকে সঞ্জন করে তুলচে—এই প্রাণের প্রবাহের উপর লক্ষ লক্ষ মানুষের দেহের তরঙ্গ কতকাল ধরে অহোরাত্র অন্ধকার থেকে স্বৰ্য্যালোকে উঠচে এবং স্বৰ্য্যালোক থেকে অন্ধকারে নেবে পড়চে ! এ কি তেজ, কি বেগ, কি নিশ্বাস মানুষের মধ্যে আপনাকে উচ্ছ,সিত, আন্দোলিত, নব নব বৈচিত্রো বিস্তীর্ণ করে দিচ্চে ! যেখানে অতলম্পর্শ গভীরতার মধ্যে তার রচস্ত চিরকাল প্রচ্ছন্ন হয়ে রক্ষিত, সেখানে আমাদের প্রবেশ নেই,— আবার যেখানে দেশকালের মধ্যে তার প্রকাশ নিরস্তর গৰ্জিত উন্মথিত হয়ে উঠচে সেখানেও সে কেবল লেশমাত্র আমাদের গোচরে আছে, সমস্তটাকে একসঙ্গে আমরা লখতে পাচ্চিনে। কিন্তু এখানেই সে আছে, এথনি সে আছে, আমার হয়ে আছে ; তার সমস্ত অতীতকে ॐांडूटबॉर्थ o ¢ o \6 - ه a" هیپ আকর্ষণ করে, তার সমস্ত ভবিষ্যৎকে বহন করে” সে আছে ; সেই অদৃপ্ত অথচ দৃপ্ত, সেই এক অথচ বহু, সেই বন্ধ অথচ মুক্ত, সেই বিরাট মানবপ্রাণ তার পৃথিবীজোড়া ক্ষুধা তৃষ্ণ, নিশ্বাস প্রশ্বাস, শীত গ্রীষ্ম, হৃৎপিণ্ডের উত্থানপতন, শিবা-উপশিরায় রক্তস্রোতের জায়ার ভাট নিয়ে দেশে দেশান্তরে বংশে বংশান্তরে বিরাজ করচে । এই অনিৰ্ব্বচনীয় প্রাণশক্তি তার অপরিসীম রহস্ত নিয়েও সদ্যোজাত শিশুর মধ্যেও আপন হ’য়ে ধরা দিতে কুষ্ঠিত হয়নি । তাই বলছিলুম, অসংখ্য বিরুদ্ধতা ও বৈচিত্র্যের মধ্যে মহাশক্তির যে অনিৰ্ব্বচনীয় ক্রিয়া চলচে তাই আমাদের কাছে জগৎক্লপে প্রাণরূপে নিতান্ত সহজ হয়ে আপন হয়ে ধরা দিয়েছে, তাই আমরা কেবল যে তাদের ব্যবহার করূচি তা নয়, তাদের ভালবাসচি, তাদের কোনো মতেই ছাড়তে চাইনে। তারা আমার এতট আপন যে তাদের যদি বাদ দিতে যা তবে আমার আমিত্ব একেবারে বস্তুশূন্ত হয়ে পড়ে। জগৎ সম্বন্ধে ত এই রকম সমস্ত সহজ, কিন্তু যেখানে মানুষ আপনি, সেখানে সে এমন সহজে সামঞ্জস্ত ঘটিয়ে তুলতে পারচে না । মানুষ আপনাকে এমন অখণ্ডভাবে সমগ্র করে আপন করে লাভ কবৃচে না । যাকে মাঝখানে নিয়ে সবাই মানুষের এত আপন, তাকেই আপন করে । তোলা মানুষের পক্ষে কি কঠিন হয়েছে। অস্তরে বাহিরে মানুষ নানাখানা নিয়ে একেবারে উদভ্ৰান্ত ; তারি মাঝখানে সে আপনাকে ধরতে পারচে না—চারিদিকে সে কেবল টুকুরো টুকুরো হয়ে ছিটুকে পড়চে । কিন্তু আপনাকেই তার সব চেয়ে দরকার— তার যত কিছু দুঃখ তার গোড়াতেই এই আপনাকে না পাওয়া। যতক্ষণ এই আপনাকে পরিপূর্ণ করে না পাওয়া যায় ততক্ষণ কেবল মনে হয় এটা পাইনি, ওটা পাইনি, ততক্ষণ যা কিছু পাই তাতে তৃপ্তি হয় না । কেন না, যতক্ষণ আমরা আপনাকে না পাই ততক্ষণ নিত্যভাবে আমরা কোনো জিনিষকেই পাইনে ; এমন কোনো আধার থাকে না, যার মধ্যে কোনো কিছুকে স্থির ভাবে ধরে রাখতে পারি। তখন আমরা বলি সবই মায়া—সবই SAASAASAASAASAASAASAASAASA SSASAS SSASAASAAASAAAA