পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ e 。 উপনিষৎ বলচেন- - এষ দেবো বিশ্বকৰ্ম্ম,”—এই দেবতা বিশ্বকৰ্ম্ম, বিশ্বের অসংখ্য কৰ্ম্মে আপনাকে অসংখ্য আকারে ব্যক্ত করচেন-কিন্তু তিনিই “মহাত্মা সদা জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্টঃ” মঙ্গন আপনরুপে পরম একরূপে সৰ্ব্বদাই মানুষের হৃদয়ের মধ্যে সন্নিবিষ্ট আছেন । “হৃদ মনীষা মনসাভিরুপ্তে য এতৎ”—সেই হৃদয়ের যে জ্ঞান— যে জ্ঞান একেবারে সংশয় রহিত অব্যবহিত জ্ঞান সেই জ্ঞানে যারা একে পেয়ে থাকেন "অমৃতাস্তে ভবস্তি” র্তারাষ্ট অমৃত হন । - আমাদের চোথ যেমন একেবারে দেখে আমাদের হৃদয় তেমনি স্বভাবত একেবারে অনুভব করে,—মধুৱকে তার মিষ্ট লাগে, রুদ্রকে তার ভীষণ বোধ হয়, সেই বোধের জন্তে তাকে কিছুই চিন্তা করতে হয় না। সেই আমাদের হৃদয় যখন তার স্বাভাবিক সংশয় রচিত বোধশক্তির দ্বারাষ্ট পরম এককে বিশ্বের মধ্যে এবং আপনার মধ্যে প্রত্যক্ষ অনুভব করে তখন মানুষ চিরকালের জন্তে বেঁচে যায় । জোড় দিয়ে দিয়ে অনন্তকালেও আমরা এককে পেতে পারিনে, হৃদয়ের সহজ বোধে এক মুহুর্তেই তাকে একান্ত আপন করে পাওয়া যায়। তাই উপনিষৎ বলেছেন তিনি আমাদের হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট, তাই একেবারেই রসরূপে আনন্দরূপে তাকে অব্যবচিত করে পাই, আর কিছুতে পাবার জো নেই— যতোবাচো নিবর্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ আনন্দং ব্রহ্মণোবিদ্বান ন বিভেতি কুতশ্চন। বাক্যমন র্যাকে না পেয়ে ফিরে আসে সেক্ট ব্রহ্মের আনন্দকে হৃদয় যখন বোধ করে তখন আর কিছুতেই ভয় থাকে না । এই সহজ বোধটি হচ্চে প্রকাশ—এ জানা নয়, সংগ্ৰহ করা নয়, জোড়া দেওয়া নয়—আলো যেমন একেবারে প্রকাশ হয় এ তেমনি প্রকাশ। প্রভাত যখন হয়েছে তখন আলোর খোজে হাটে বাজারে ছুটতে হবে না, জ্ঞানীর স্বারে ঘা মারতে হবে না—যা কিছু বাধা আছে সেইগুলো কেবল মোচন করতে হবে—দরজা খুলে দিতে হবে, তাহলেষ্ট আলো একেবারে অথও হয়ে প্রকাশ পাৰে। সেই জন্তেই এই প্রার্থনাই মানুষের গভীরতম প্রার্থনা— আবিরাবীশ্বএধি—হে আবিঃ হে প্রকাশ, তুমি আমার প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩১৭ SSAS SSAS SSAS AAAAA AAAAS AAAAASAAA SS AAAAAS AAAAAS ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড মধ্যে প্রকাশিত হও ! মানুষের যা দুঃখ, সে অপ্রকাশের দুঃখ —যিনি প্রকাশস্বরূপ তিনি এখনো তার মধ্যে ব্যক্ত হচ্চেন না ; তার হৃদয়ের উপর অনেকগুলো আবরণ রয়ে গেছে ; এখনো তার মধ্যে বাধা বিরোধের সীমা নেই ; এথনো সে আপনার প্রকৃতির নানা অংশের মধ্যে পরিপূর্ণ সামঞ্জস্ত স্থাপন করতে পারচে না, এখনো তার একভাগ অন্ত ভাগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করচে, তার স্বার্থের সঙ্গে পরমার্থের মিল হচ্চে না, এই উচ্চ জ্বলতার মধ্যে যিনি আবিঃ র্তার আবির্ভাব পরিস্ফুট হয়ে উঠচেনা ; ভয় দুঃখ শোক অবসাদ অকৃতার্থতা এসে পড়চে, যা গিয়েছে তার জন্তে বেদনা, যা আসবে তার জন্ত ভাবনা চিত্তকে মথিত করচে, আপনার অন্তর বাকির সমস্তকে নিয়ে জীবন প্রসন্ন হয়ে উঠচে না ; এই জন্তেই মামুষের প্রার্থনা,— রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাতি নিত্যম্, হে রুদ্র, তোমার প্রসন্ন মুখের দ্বারা আমাকে নিয়ত রক্ষা কর । যেখানে সেই আবিঃর আবির্ভাব সম্পূর্ণ নয় সেখানে প্রসন্নত নেই ; যে দেশে সেই আবিঃর আবির্ভাব বাধাগ্রস্ত সেই দেশ থেকে প্রসন্নত চলে গেছে, যে গুহে র্তার আবির্ভাব প্রতিহত সেখানে ধন ধান্ত থাকলেও শ্ৰী নেই, যে চিত্তে র্তার প্রকাশ সমাচ্ছন্ন সে চিত্ত দীপ্তিহীন প্রতিষ্ঠাষ্টীন, সে কেবল স্রোতের শৈবালের মত ভেসে বেড়াচ্চে । এই জন্তে যে কোনো প্রার্থনা নিয়েই মানুষ ঘুরে বেড়াক না কেন তার আসল প্রার্থনাটি হচ্চে, আবিরাবীয়এধি, হে প্রকাশ, আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ সম্পূর্ণ হোকৃ। এই জন্তে মানুষের সকল কান্নার মধ্যে বড় কাল্লা, পাপের কান্না ; সে যে আপনার সমস্তটাকে নিয়ে সেই পরম একের সুরে মেলাতে পারচে না, সেই অমিলের বেসুর, সেই পাপ তাকে আঘাত করচে ; মানুষের নানা ভাগ নানা দিকে যখন বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্চে, তার একটা অংশ যখন তার অন্ত সকল অংশকে ছাড়িয়ে গিয়ে উৎপাতের আকার ধারণ করচে তখন সে নিজেকে সেই পরম একের শাসনে বিধৃত দেখতে পাচ্চে না, তথন সেই বিচ্ছিন্নতার বেদনায় কেঁদে উঠে সে বলচে মামহিংসীঃ—আমাকে আর আঘাত কোরো না, আঘাত কোরো না, বিশ্বানি দেব সবিতদ্বরিতানি পরান্থব, আমার সমস্ত পাপ দূর কর,