পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ >bア AAAAS SASAAASAAAS A SAS A SAS SSAS SS SSAS SSAS SSASAS AAAeSAASAASAASASASS SSSS মিলনক্ষেত্রে সমগ্র ভারতবাসীকে প্রাণে প্রাণে মিলিত হইতে দেখিতেছি এবং তাঙ্গ দেখিয়া হৃদয়ে আনন্দ উচ্ছ,সিত হৃষ্টয়া উঠিতেছে । কিন্তু সৰ্ব্বাগ্রে ব্রাহ্মসমাজের দ্বারাষ্ট এই মিলনের সূচনা ইয়াfছল । কেশবচন্দ্র, প্রতাপচন্দ্র, বিজয়কৃষ্ণ, অঘোরনাথ ও পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী প্রভৃতি ব্রাহ্মসমাজের প্রচারকগণ সৰ্ব্বত্র ভ্রমণ কবিয়া ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে লাগিলেন, বোম্বাইবাসী, মান্দ্রাজবাসী, পঞ্জাবী, ছিন্দুস্থানী, উড়িষ্যাপাসী ও আসামের পুরুষ এবং নারীগণ ব্রাহ্মধৰ্ম্মে আকৃষ্ট হইতে লাগিলেন ; চতাতেই ভারতেধ বিভিন্ন জাতির মধ্যে মিলনের আকাঞ্জা ভারতবর্ষের অদ্যপি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের মাঘোৎসবের মধ্যে কি চমৎকার মিলন দুগুষ্ট পরিলক্ষিত হয় । উপাসনার সময় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জাতি, এমন কি, পাসিয়া পাহাড়ের অৰ্দ্ধসভ্য পাসিয়াগণ পর্ষ্যস্ত এক স্থানে ৭সিয়া উপাসন করেন ; তৎপরে আনন্দবাজাবে সকলে মিলিত কষ্টয়া জাগ্রত হইল । আতার কধেন । বস্তুত এই মিলনভৃগু দেখিয়া অশ্রু সংবরণ কব{ যায় না । কেশবচন্দ্র মন্দ্রিাজ ও বোম্বাই যাইবাব পূৰ্ব্বে অর্থাৎ ১৮৬২ সালেব ২রা আগষ্ট তাৰিখে হিন্দুজাতির মধ্যে অসবর্ণ বিবাহ সজঘটিত শুইল । বিবাতটি কেশবচন্দ্র ও র্তাহার পক্ষুদিগেল উদ্যোগেই হইয়াছিল । বিবাহের পাত্র স্বগীয় পাৰ্ব্বতীচৰণ দাস গুপ্ত, বি, এল, । পাৰ্ব্বতী বাবু যশোহর জেলার অতি সন্মানিত বৈদ্যবংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । উত্তরকালে এই পাৰ্ব্বতী বাবু পূর্ণিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ উকিল বলিয়া গণ্য হইয়াছিলেন । ইঙ্গার পর কেশবচন্দ্র ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলে ধৰ্ম্মপ্রচাব করিয়া বিষ্কার, যুক্ত প্রদেশ এবং পঞ্জাবে ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে গেলেন । পঞ্জাবের তিন্দু , শিখ, মুসলমান ও সন্ত্রান্ত ইংরাজগণ কেশবচন্দ্রের হৃদয়োম্মাদকারিণী বক্তৃতা শুনিয়া মুগ্ধ হইলেন ; এবং তাঙ্গর ধৰ্ম্মভাবে আকৃষ্ট হইয়া তৎপ্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ কলিতে লাগিলেন । to. অবশেষে কেশবচন্দ্ৰ যেন এক অলৌকিক শক্তিতে শক্তিশালী হইয়া উঠিলেন। সেই শক্তির সাহায্যে প্রবাসী-ফাঙ্কন, ১৩১৭ AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAASASASSAAAAAAS AAASASASS [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড میم - ۰ ماده همهه۰۰۰۰ی **** ه-به- به همه مرد و به همیم به همه = ۳۰ -- به مد. ধৰ্ম্মরাজ্যে ভেল্কিবাজি খেলাষ্টতে লাগিলেন ; এক শ্রেণীর শিক্ষিত যুবকের হৃদয়ে এমনই মায়াকুচক বিস্তার কবিলেন যে, তাহার ছায়ার দ্যায় লাগিলেন । তাঙ্গর অনুসরণ করিতে এই সময় সহস্ৰ সহস্ৰ লোক কেশবচন্দ্রের প্রাণম্পশী উপদেশ শুনিলার জন্ত ব্রাহ্মসমাজে গমন করিতেন ; কিন্তু গোলোকধাপার মধ্যে প্রবেশ করিলে যেমন আর বাতির হইলার পথ পাওয়া যার না, তেমনি একবার র্যাহার ফিরিবার পথ ব্ৰাহ্মসমাজে যাইতেন, তাহার আfর পাই তন না । এষ্টজত কত যুবকের ঘর পর হইল, পিতামাতার স্নেচের বাধন ছিড়িয়া গেল ; বিষয় সম্পদ পড়িয়া বহিল ; তাঙ্গর সকল ত্যাগ করিয়া ব্রাহ্মসমাজেই বাস করিতে লাগিলেন। শুধু কি তাই ? কেশবচন্দ্রের আকর্ষণে কত শিক্ষিত ব্যক্তি চাকুরী ত্যাগ করিয়া, মুখের আশায় জলাঞ্জলি দিয়া, দারিদ্র্যের বোঝা মাথায় লইয়া ধৰ্ম্মের জন্ত পাগল হইলেন এবং ধৰ্ম্ম প্রচারের জত আত্মবিসর্জন করিলেন । এ সকল আশ্চর্য্য ব্যাপার এখন বিশ্বাস করিতেও চচ্চা হয় না.– স্বপ্লেব কাহিনী বলিয়াই মনে হয় । দেখিতে দেখিতে ১৮৬৯ সালের ২২শে আগষ্ট আসিয়া উপস্থিত হইল। সে দিন কেশবচন্দ্রের নূতন ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মমন্দিরের দ্বার উন্মুক্ত হইবে । মন্দিরে লোকে লোকারণ্য হইয়। কেশবচন্দ্র উপাসনায় আচার্য্যের কার্য্য তাহার পর স্বৰ্গীয় আনন্দমোহন বস্ব, এম, এ, স্বৰ্গীয় কৃষ্ণবিহারী সেন, এম্‌, এ, স্বৰ্গীয় রজনীনাথ রায়, এম, এ, পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী, এম, এ, স্থলেখক শ্ৰীক্ষীরোদচন্দ্র রায় চৌধুরী, এম, এ, এইরূপ একুশ জন যুবক ব্রাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত হষ্টলেন । সকলেই জানেন, ইহঁদের মধ্যে অনেকেই জ্ঞানে, গুণে ও গেল । স্বয়ং করিলেন ; ধৰ্ম্মে দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়াছেন । এই ত গেল কলিকাতার কথা । চহার কয়েক মাস পরে অর্থাৎ উক্ত সালের ডিসেম্বর মাসে কেশবচন্দ্র ঢাকায় গমন করিলেন। সেখানে ঢাকার বড় বড় সাহেব ও সুপ্রসিদ্ধ নবাব আবদুলগণি হইতে আরম্ভ করিয়া ডালবাজারের টিকিধারী বৈষ্ণব পর্য্যন্ত কেশবচক্রের বক্তৃতায় মুগ্ধ হইতে লাগিলেন। ইহার ফল হইল এই