পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ৷ میده می عمیمهایی همه--دعه ***۰۶--" আরম্ভ হয় । ভাষা শিক্ষা করিতে থাকেন । আগ্ৰায় আসিয়া কলেজে ভর্তি হন ; কিন্তু উপযুক্ত অভিভাবকের অভাবে তাহার লেখা পড়ার বড় সুবিধা হয় নাই । তিনি ব্যায়াম ও সঙ্গীত বিষ্ঠায় অধিক মনোনিবেশ করায় তাহাতে বিশেষ নিপুণতা লাভ করিয়াছিলেন। যমুনাদাস বাবুর বয়স যখন ১৪ বৎসর তখন সিপাষ্ঠীবিদ্রোঙ্গ হয়। সেই ভয়ানক দুদিনে লোকে গৃহের বাহিরে যাইতে সাহস করিত না কিন্তু তিনি নিৰ্ভয়ে যদৃচ্ছ ভ্রমণ করিয়া বেড়াইতেন এবং তাহাতেই আননা লাভ করিতেন। র্তাঙ্গার এই নিভাক ভাব বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধিষ্ট পাষ্টয়াছিল। কিন্তু এরূপ নিশ্চিন্তু ভাবে চিরদিন কাটে না । সংসারের ভার তাতার মস্তকে পতিত হইলে তাহাকে কৰ্ম্মান্বেষণ করিতে কষ্টল । তিনি অনুপসহরে তাঙ্গর ভগ্নীপতি শান্তিপুর-নিবাসী বাবু চিস্তামণি বসুর নিকট গমন করিলেন । এখানে বিদ্রোহীরা অতি নিকটবর্তী হওয়ায় তাহার ভগ্নীপতি অতি সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় বাস করিতেছিলেন । কথিত আছে যমুনাদাস বাবু সৎসাহস ও তীক্ষবুদ্ধিবলে বিদ্রোঙ্গদিগকে অতি অল্প কালের মধ্যে সঙ্গর ছাড়িয়া'যাক্টতে বাধা করেন। অনুপসহরে চাকরির সুবিধা করিতে না পারিয়া তিনি আগ্রা ফিরিয়া আসিলেন এবং পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টে মুহুরির কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলেন । অল্প দিনেই তাহাকে মৈনপুরী যাইতে হইল। কিন্তু এখানকার জলবায়ু তাহার সহ না হওয়ায় তিনি কৰ্ম্মত্যাগ করিয়া এলাহাবাদ চলিয়া যান। তিনি এস্রাজ ও সেতার প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। এলাহাবাদে তাঙ্গার বহু শিষ্য ও বন্ধু জুটল কিন্তু উপার্জনের বিশেষ সুবিধা হইল না, সুতরাং তিনি সপরিবারে বঙ্গদেশে চলিয়া গেলেন । পরে কলিকাতায় রুগ্ন হইয়া পড়ায় বারাণসী যাইতে বাধ্য হন এবং এখানে স্বাস্থ্যলাভ করিয়া লক্ষে সুলতানপুর প্রভৃতি অযোধ্যার নানা স্থানে চাকরীর অন্বেষণ করিয়া বেড়ান। এই সময় র্তাহার জননী, কনিষ্ঠ ভ্রাতা, বিধবা ভগ্নী এবং শিশু ভাগিনেয় দেশে অবস্থান করিতেছিলেন কিন্তু সহানুভূতির অভাবে সকলে বহু ক্লেশ পাইতে থাকেন এবং জ্ঞাতিবর্গের নির্ণয় ব্যবহারে মনস্তাপ সহ করেন। পরিবারবর্গের এই ہم مہے.._حہ سہ. ہم حی۔ --۔ ●धबांजी-बांक्रांलौ AS AMSAMAeeAeMAeeAAA SAAAAAS ৫২৭ SAASAASAASAASAASAASAAAS এই স্থানেষ্ট তিনি মৌলবীর निकल्ले श्रांबश्च खलश्वा, - এদিকে তিনি खेबाज़ সংস্থানের জন্ত লালতি.** চষ্টয়া বিদেশে বিদেশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন। একদা সুলতানপুরের পথিপাশ্বে এক বৃক্ষতলে বসিয়া একাকী আপনার দুঃখের দিন ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে গাঢ় চিন্তায় মগ্ন আছেন এমন সময় অনতিদূরে স্বলতানপুরের জমীদারের কোন কৰ্ম্মচারী ও জনৈক প্রজার মধ্যে কোন বিষয় লষ্টয়া বিবাদ হইতেছিল। চীৎকার শুনিয়া তৎপ্রতি র্তাঙ্গর দৃষ্টি আকৃষ্ট হইল। তিনি তখন উভয় পক্ষের বাদামুবাদ গুনিয়া তাতাদের বিবাদ ভঞ্জন করিয়া দিতে চাহিলেন ; উভয়ে সম্মত হইলে তিনি ক্ষেত্রের ফসলের এরূপ উচিত মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিলেন যে দুই পক্ষষ্ট সন্তুষ্ট তষ্টল । এষ্ট স্বত্রে স্থানীয় জমীদারগণের সঙ্গিত র্তাহার পরিচয় হয় এবং তাতাদের অনুরোধে তিনি তথায় কিছুকাল অবস্থিতি করেন। কিন্তু এখানেও উপার্জনের বিশেষ সুবিধা না পাইয়া অন্তর প্রস্থান করেন। এদিকে অর্থাভাবে, অনাহারে এবং অনিদ্রায় তিনি যৎপরোনাস্তি ক্লেশ পাইতে থাকেন। এরূপ অবস্তায় অনেকেরই সদসৎ বিচার ও স্ববুদ্ধি লোপ পায় এবং কুপথ অবলম্বন করিবার প্রবৃত্তি জন্মে। কিন্তু সাধুতা এবং সৎসাহস, অন্তনিহিত উচ্চাভিলাষ এবং অধ্যবসায় তাহাকে সকল অবস্থাতেই সাহায্য করিয়াছিল। তিনি প্রাণপণ করিয়া সদুপায়ে উদরারের সংস্থান করিতে দৃঢ়সংস্কল্প হইলেন এবং অনতিবিলম্বে জনৈক জমীদারের আস্তাবলে সহিসের কৰ্ম্ম গ্রহণ করিলেন । এ অবস্থায় অবশ্য র্তাহাকে অধিক দিন থাকিতে হয় নাই, কিন্তু শ্রমবিমুখ ভেকধারী গৰ্ব্বিত ভিক্ষুকপরিপূর্ণ দেশে তাহার সৎসাহসের দৃষ্টান্ত বহু দরিদ্র অসহায়ের পথপ্রদর্শকরূপে বিদ্যমান থাকিবে। ভস্মাচ্ছাদিত অগ্নির হার এই যুবক সহিসের প্রতিভা শীঘ্রষ্ট প্রকাশ হইয়া পড়িল এবং তিনি সহিসের পদ হইতে জমীদারীতে মুঙ্গেরিমের পদে উন্নীত হইলেন। গুণজ্ঞ জমীদার গুণীর আদর করিলেন বটে কিন্তু তাহার আত্মীয়বর্গ তাহাতে ঈর্ষান্বিত হক্টর নূতন মুঙ্গেরিমের অনিষ্টসাধনে যত্ব করিতে লাগিল । অবশেষে এখানে থাকা তাহার পক্ষে দুরূহ হৃষ্টয়া পড়িল, তিনি কপী পরিত্যাগ করিয়া পুনরায় ইতস্তত: ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। কিছুদিন পরে বুন্দেলখণ্ডের