পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՋԵ - *** SSASAS AAAeSAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS অন্তর্গত ওরাই নামক স্থানে ব্যবস্থাবিভাগে একটী কৰ্ম্ম পাইলেন এবং শীঘ্রই নিকটস্থ দেশীয় রাজ্য সাম্থারে ওয়াশীলৰাকী-নবিশের পদ প্রাপ্ত হইলেন। সাম্থার রাজ্যে তিনি অল্পদিনেই যথেষ্ট প্রতিপত্তি লাভ করিলেন । এখানে তিনি একজন উৎকৃষ্ট কুস্তিগির ও সেতারবাদক বলিয়া বিখ্যাত হন। ক্রমে তিনি জনসাধারণ এবং রাজা ও প্রধান রাজকৰ্ম্মচারীদিগের এতদূৰ প্রিয় হইয়া উঠিলেন যে একেবারে রাজ্যের দায়িত্বপূর্ণ করে ভার র্তাহার হস্তে দ্যস্ত হইল। এখানেও নিম্নস্থ কৰ্ম্মচারীবর্গ ঈর্ষাবশে তাঙ্কাকে অপদস্ত করিবার জন্ত ষড়যন্ত্র করিতে লাগিল কিন্তু তিনি সম্মানের সহিত কৰ্ম্ম করিতে করিতেই বালির পূর্ববিভাগে চলিয়া যান। এখানে কিছুদিন কৰ্ম্ম করিবার পর তথাকার এলিষ্টান্ট এপ্রিয়ারের উর্দু, শিক্ষক নিযুক্ত হইয়া শিপ্রী গমন করেন। ১৮৭১ অব্দে তিনি পণ্ডিত শিবচরণ লালের সহায়তায় শিপ্রীবাসী বালকগণকে ইংরাজী, পারস্ত ও হিন্দী শিক্ষা দিবার মত একটী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। যমুনাদাস বাবু বিদ্যালয়ে অল্পই অধ্যয়ন করিয়াছিলেন কিন্তু পরে অত্যন্ত পরিশ্রম সহকারে অধ্যয়নে মনোনিবেশ করেন। উত্তরকালে তাছাকে গ্রন্থ ছাড়া দেখা যাইত না । পারস্ত ভাষা ও সাহিত্য র্তাহার সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রিয় ছিল এবং তাহাতেই তাহার যত্ন অধিক ছিল। শিপ্রী অবস্থানকালে তিনি কিছুদিন “আগ্রা আখবার” প্রমুখ কয়েকখানি সাময়িক পত্রে উর্দ, প্রবন্ধ লিখিতে থাকেন। কিন্তু তাহার ছাত্র এসিষ্টাণ্ট এঞ্জিয়ার স্থানান্তরে গমন করিলে তিনি পুনরায় কৰ্ম্মহীন হন এবং দিবান, গুনা, ইন্দোর প্রভৃতি স্থান ভ্রমণ করিয়া ১৮৭৫ আকে জাগ্ৰায় জননীর নিকট ফিরিয়া আসেন। এখানে র্তাহার মধ্যম ভ্রাতা বাবু উমাচরণ বিশ্বাস যমুনার সেতুনিৰ্ম্মাণ-কাৰ্য্যবিভাগে কৰ্ম্ম করিতেছিলেন। যমুনাদাস বাবু এখানে আসিয়া উপার্জনের নূতন পন্থা আবিষ্কার করিলেন। ষে সকল য়ুরোপীয় কৰ্ম্মচারী উর্দ, ও হিন্দীতে পরীক্ষা দিতেন, তিনি তাহাদিগকে শিক্ষা দিতে লাগিলেন । র্তাহার এই সময়ের ছাত্রদিগের মধ্যে মীরাটের ভূতপূৰ্ব্ব সেসন জজ শ্রীযুক্ত ম্যাকলীন সাহেব র্তাহাকে যথেষ্ট সমাদর করিতেন । আগ্রায় তাহার প্রবাসী—কাঙ্কন, ১৩১৭ SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ ••य छांश, २छ थ७ AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS**, বহু উচ্চ পদস্থ ও ক্ষমতাপন্ন বন্ধুর মধ্যে একজনের সহায়তায় তিনি আগ্রা মুন্সেফ আদালতের মুন্সেরিমের পদ প্রাপ্ত হন । এই পদে তিনি বহুদিন সন্মানের সহিত কাৰ্য্য করেন । প্রবাসী বাঙ্গালী-গৌরব স্বৰ্গীয় অবিনাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তখন আগ্রার মুন্সেফ ছিলেন। অবিনাশ বাবু উর্দ ভাষায় ইহঁর অসাধারণ অধিকার cofoil ##To “Civil Procedure Code” or “Specific Relief Act” উর্দ ভাষায় অনুবাদ করিতে দেন । যমুনাদাস বাবুর ঐ দুই অনুবাদ গ্রন্থ পরে আদালতে যথেষ্ট আদর পাইয়াছিল। ১৮৭৬ অব্দে যমুনাদাস বাবু তাহার কয়েকজন বন্ধুর সহযোগে “ইন্দুপ্রকাশ” নামে একটা “লিথোগ্রাফিক প্রেস” প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই যন্ত্রালয় হইতে “আগ্রা নসীম” নামে একখানি উর্দ, সংবাদপত্র সম্পাদন করিতে থাকেন। এই কাগজ এক্ষণে প্রতি মাসে আট সংথ্যা অর্থাৎ সপ্তাহে দুষ্ট বার প্রকাশিত হয়। র্তাহার বন্ধু সবজজ অবিনাশ বাবুর পরামর্শে তিনি আইন পরীক্ষার জন্ত প্রস্তুত হন এবং ১৮৭৯ অব্দে মোক্তারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তাহার পরবর্তী পরীক্ষায় ওকালতী পাস করিয়া জেলা আদালতে ওকালতী করিতে থাকেন । অল্প দিনেই তাহার প্রতিভা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রসার বৃদ্ধি পাটতে থাকে। ১৮৮২ অব্দে স্বৰ্গীয় স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আগ্র আসিয়া ধৰ্ম্মপ্রচারের জন্ত ইহঁার আলয়ে দুই মাস অবস্থিতি করেন । এই সময় যমুনাদাস বাবু স্বামীজীর ধৰ্ম্মমত গ্রহণ করিয়া আৰ্য্যসমাজভূক্ত হন এবং শেষ পর্যন্ত স্বীয় বিশ্বাসে অটল থাকেন। আগ্রায় গোচারণ উৎসব ও মহরম লইয়া হিন্দু-মুসলমানে দুই তিন বৎসর ধরিয়া ভয়ানক কলহ চলিতেছিল, তখন ইনি কর্তৃপক্ষ ও জন সাধারণের মধ্যে মধ্যস্থ স্বরূপ হইয়া বহু চেষ্টা, কৌশল এবং সাহসের সহিত উভয় পক্ষের মনোমালিন্ত দূর করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। কিন্তু এই হুত্রে তাহার সহিত তদানীন্তন ম্যাজিষ্ট্রেট মিঃ ফিনলের মনান্তর ঘটে এবং এই ক্ষমতাপন্ন রাজপুরুষের বিষনয়নে পড়িয়া যমুনাদাস বাবুকে কিছু কাল বিব্রত হইতে হয় কিন্তু তাহার সৎসাহস, সত্যপরায়ণতা ও সাধুতার পুরস্কার