পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] গুরুদাস বাবু তখন করষোড় করিয়া রাধাধরভঞ্জীউর স্তব পাঠ আরম্ভ করিলেন । শ্লোক ভক্তিগদগদচিত্তে আবুত্তি কবিয়া যাক্টতে লাগিলেন । গম্ভীব কণ্ঠে সুললিত সংস্কৃত এইরূপ কিছুক্ষণ স্তব করিয়া অবশেষে ভূমিষ্ঠ হৃষ্টয়া দেবতাকে প্রণাম করিলেন । সেক্ট কক্ষস্তিত সকলেষ্ট স্ব স্ব স্তানে বসিয়া সেই সময় প্রণাম করিল। তখন গুরুদাস বাবু একহস্তে প্ৰজলিত পঞ্চপ্রদীপ অপর হস্তে ক্ষুদ্র ঘটিকা ধারণ করিয়া আরতির জন্ত দণ্ডায়মান হইলেন । কক্ষস্থিত সকলেঙ্গ দণ্ডায়মান মস্ত্রোচ্চারণ করিয়া গুরুদাস বাবু আরতি করিতে লাগিলেন,—তুষ্টটি ছোট পালক কাসর বাজাইতে লাগিল । আরতি শেষে গুরুদাস বাবু আবার প্রণাম করিলেন—অপর সকলে ৪ প্রণাম করিল। তক্টল । অবশেষে তিনি কুশগ্রে গঙ্গাজল লইয়া, সকলেব মাথায় ছিটাইয়া দিতে দিতে বলিতে লাগিলেন—শাস্তি: শাপ্তি: শান্তি । ইছার পর সকলে উঠিয়া স্ব স্ব স্থানে প্রস্থান করিল। গুরুদাস পাবু মোঙ্গিতের হাতখানি ধবিয়া বাঠিয়ে আসিলেন। পূৰ্ব্ববর্ণিত সেই বসিবার কক্ষে তাঙ্গকে লঠয়া গিয়া বলিলেন—“বুস বাবা বস। আমি কাপড় ছেড়ে আসি— এইবার একটু চা থেতে হবে ।”—বলিয়া তিনি প্রস্তান করিলেন । প্রমথ আসিয়া মোঙ্গিতের পাশ্বে উপবেশন কবিল । বলিল—“সন্ধ্যার সময় বাপ। এইখানেই বসেন । বৈঠক থানায় যান না । প্রথমে যথন পেন্সন নিয়ে বাপ বাড়ী এসেছিলেন, তখন সন্ধ্যার পর বৈঠকখানাতেই বসতেন । কিন্তু পাড়াব যত সব বুড়োরা এসে তাস দাবা এই সব খেলবার প্রস্তাব কবতে লাগল । রীতিমত একটি অডিড জমিয়ে তুল্লে। তাই বাবা সন্ধের পর আর বাইরে যান না । এষ্ট ঘরটিতে বসে চা খান, আমরা সব এসে বসি, গল্পগুজব করেন,—রামায়ণ কিম্বা মহাভারত পড়া হয় । কোনও দিন মা পড়েন, কোন ও দিন আমার স্ত্রী পড়েন, কোনও দিন বা চিনি পড়ে —যতক্ষণ খাওয়া দাওয়ার সময় না হয় ততক্ষণ এই রকম চলে ।” এই সময় একজন ভৃত্য, আলবোলায় একছিলিম তাওয়া সাজিয়া আনিয়া, টেবিলের কাছে একটি ছোট নবীন সন্ন্যাসী Q"為 গোল চৌকির উপব বাথিয়া গেল । অল্পক্ষণ পরে গুরুদাস বাবুও প্রশ্বেশ করিলেন । চেয়াবে বসিয়া, আলপোলাব নল মুথে দিয়া বলিলেন – “মোতিত, তোমাব কখন চা পা প্ৰয়া অভ্যাম ?--কেউ BB BBBB KBB CS KK SBBBS BBBBS BBB পরে ত থেয়ে থা: <r 1" মোঙ্কিত দলিল “আজ্ঞা আমি টা থাইনে ৷” বৃদ্ধ বলিলেন “ষ্ঠা । বল কি ! চা থাও না ?” “অ! লুন না । ” “কি ? কথন ও খা , না ?” “ মাজ্ঞা হুঁ্যা--কখন কখন থেয়েছি । শরীর অসুস্থ চলে—কিন্তু সে ৪ খুব কালে ভদ্রে !" “পটে ? পেশ বেশ অভ্যাস কবমি ভালষ্ট করেছ। আমাদেব এমন পদ অভ্যাস ইয়ে গেছে যথাসময়ে চ না পেলে কিছুই ভাল નાની , માત્ર માત્ર મા | उl শুধু আমি বলে না—গিল্পীস্বদ্ধ, মেয়েব পর্যান্ত । আমাদের বাড়ীর টিকটিকিটি পর্য্যস্ত চায়ের ভক্ত ।” • এমন সময় চিনি, একটি থালায় করিয়া তিন পেয়ালা গুরুদাস বাবু বলিলেন-—“আমার এই যে মেয়েটি দেখছ--- এর সঙ্গে তোমার আলাপ &য়েছে কি না বলতে পাfরলে—এর নাম চিনি—এ বড় চমৎকার চা তৈরি কবতে পারে । আর কারু চাতের চা আমাব পছন্দষ্ট হয় না । ঠিক কয় মিনিট চা ভিজবে, ঠিক কতটুকু দুধ কতটুকু চিনি মেশাতে হবে,— এ যেমন বোঝে, তেমন আর কেউ পারে না দেখেছি । মোহিত ত চা সাজা স্তয়া আনিয়া উপস্থিত করিল। ও চিমি, তিন পেয়ালা কেন এনে!ছস মা ? চা খান না ।” চিনি মোঙ্গিতের দিকে ফিরিয়া পলিল—“আপনি চ৷ খান না ?”—তাতার কণ্ঠস্বর হইতে এমন ভাবটা প্রকাশ পাইল যেন, কলিযুগে চা খায় না এমন মহন্ত দর্শনীয় পদার্থ বটে ; মোহিত বঙ্গিল-—“ন!—আমি চ পাঠনে ৷” গুরুদাস বাবু পেয়ালার মধ্যে চামচ সঞ্চালন করিতে করিতে বলিলেন—“দেখলি ?—ষ্ঠাথ । দেখে শেখ । উনি বল্লেন জীবনে দু তিমলার মাত্র চা খেয়েছেন—তাও শরীর