পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ৷ - همی ماه ۶۰ مه ۶۰۰ه و ** = . ه" গা-ও শীতল, জর নয়। আর্দালিকে বল্লাম—একে একটু জল এনে দে দেখি—যদি জল খায় । সে জল এনে দিলে— কিন্তু ফকীর তার হাতের পেয়ালা ঠেলে দিলে। আমার সঙ্গে বুড়ো পেস্কার ভাগবৎ সঙ্গয়, সে আফিম থেত। সে বল্পে ‘হুজুব, এ বোধ হয় আফিমচী-আফিম না পেয়ে এর এ দশা হয়েছে ।”—ললে সে নিজের পকেট থেকে আফিমের কোটা বের করে, খানিকটে আফিম নিয়ে তার মুখের মধ্যে দিলে । আফিমের স্বাদ মুখে পাবামাত্র, সে দুষ্ঠাত দিয়ে পেস্কারের হাতটি জড়িয়ে ধরলে। মুখের মধ্যে পেস্কারের সেই আফিম মৃদ্ধ আঙ্গুল দুটাে প্রাণপণ বলে চুষতে লাগল, চুষে আফিমটে নিঃশেষ করে, চুপ করে এক মিনিট বসে রইল। আর তার সে কাতরানি নেই। উর্দ ত শেষে বল্লে—“বাবা—জিত রও। আজ তুমি আমায় যে আনন্দ দিলে, দুনিয়ায় তার তুলনা নাই । আজ আমায় এখন যদি কেউ দিল্লীর সিংহাসন দিতে চায়, আমি তা তুচ্ছভজ্ঞান করে অস্বীকার করি।”—আমরা আশ্চৰ্য্য হয়ে দাড়িয়ে রইলাম । তারপর সে উঠে, আমাদের সেলাম করে, মাঠের মধ্যে অদৃশু গুয়ে গেল।—মেীতাত এমনি জিনিষই বটে। ধনমান চাহি না”—সে ফকীর, দিল্লীর সিংহাসনও চাহে নি ।” গল্পটি "গুনিয়া মোহিত ও প্রমথ উভয়েই হাসিতে লাগিল। বৃদ্ধ তখন সে কক্ষের চতুর্দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন—“চিনি -- চিনি কোথায় গেলি ?” চিনি গল্প শুনিতে বসিয়াছিল বটে—কিন্তু যখন দেখিল ইহা পুরাতন শোনা গল্প, তখন প্রস্থান করিয়াছিল । পিতার ডাকাডাকিতে পুনঃপ্রবেশ করিয়া বলিল—“কি বাবা ?” গুরুদাস বাবু বলিলেন- “হ্যা—কি বলছিলি তখন ?” *কখন ?” “এই যে একটু আগে এসে কি বলছিলি ? আমি আর চা খাব কি না জিজ্ঞাসা করছিলি বুঝি ? তা থাকে যদি তবে নিয়ে আয় না হয় আর এক পেয়ালা। যেন বেশী টং করিসনে ৷”—-চিনি কাসিয়া অন্তষ্ঠিত হইল । গুরুদাস বাবু মোহিতকে বলিলেন—“ঐ যে বল্লাম, বেশী টং করিসনে—ওর মানে কি বুঝতে পেরেছ ?” মোহিত বলিল-- *আজ্ঞ না ।” Y } হিন্দু ও মুসলমান SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ക്ഷ്ബ AAAAAASAAAAASA SAASAASAASAASAA AAAASAAAAASA SAAAAS AAASASASS AASAASAASAASAASAASAASAAeS Grt 2

  • আমাদের একজন চাকর ছিল, সে রোজ চা তৈরি করত। চা বেশী কড়া হয়ে গেলে সে বলত আজ বড় টং হয়ে গেছে। টং অর্থাৎ ষ্টুং । তাকে ঠাট্টা করে আমরাও টং বলতে সুরু করেছিলাম,--- এখন অভ্যাসের বশে আমরাও বলি টং ।”

চিনি আর এক পেয়ালা চা আনিয়া দিল । বাবু বলিলেন—“মা—আজ একটু মহাভারত পড়ে শোনাও দেখি ” চিনি তখন মহাভারতখানি আনিয়া, পিতার কাছে বসিয়া, পাঠ আরম্ভ করিল। ( ক্রমশ: ) শ্ৰীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। র 』 েিয়র હા છે যথম গুরুদাস হিন্দু ও মুসলমান ( সামাজিক পার্থক্য ) মুসলমানের সঙ্গে হিন্দু কিরূপ ব্যপচাব কৱিৰে ই পরকেমন করুিরিয়া বা থাকিপে---হিন্দুব স্মৃতিশাস্ত্র মুসলমানধৰ্ম্মের অভু্যদর্টব্য। সুতরাং কোন প্রচলিবে পাঙ্গল শব্দের ব্যাকবণ জানিতে তইলে পাণিনীর আশ্রয় গ্রহণ করা যেমন নিরর্থক, মুসলমান সম্বন্ধে কিছু জানিতে তইলে হিন্দুশাস্ত্রের আশ্রয় ল ওয়া ও সেইরূপষ্ট নিরর্থক । শাস্ত্রে তাঙ্গার কোন বিধি বিধান নাই । বহুকাল পুৰ্ব্বে বিরচিত হইয়াছে । হিন্দুশাঙ্গে ম্লেচ্ছ ৪ যপন প্রভৃতির উল্লেখ আছে, কিন্তু কেহ ই মুসলমান নষ্ঠে । অনেকে না জানিয়া কিন্তু এঠরূপ বলা অসঙ্গত ও ইহাবা মুসলমানকে যবন ললে । দোষজনক । দুঃখের বিষয় অনেক বাঙ্গালীগ্রন্থকার অবিচারে এই ভুল করিয়াছেন ও করিতেছেন । ধৰ্ম্ম লষ্টয়া ঠিন্দুর কাহারও সঙ্গিত বিবাদ নাই । হিন্দুধৰ্ম্ম নামে কোন ধৰ্ম্মষ্ঠ নাই । ষ্টিন্দুঞ্জাতি ধৰ্ম্মকে “ধৰ্ম্ম৷” বলিয়াই অভিহিত করে । মুসলমানের সঙ্গে ও ঃি দুর ধৰ্ম্ম লষ্টয় কোন পিসম্বাদ হওয়ার কারণ নাট । নিষ্ঠাবান হিন্দুগণও মুসলমান ফকিরদিগকে শ্রদ্ধা ভক্তি করিয়া থাকেন ; এমন কি ‘সময় সময় মুসলমান সিদ্ধপুরুষদিগকে উপগুরুপদে বরণ করিয়া থাকেন।