পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংগ্য ।


... ------ ~--ع --- ------

প্রাচীন মিশরের ইতিহাস • পাঠে জানা যায় যে, খৃষ্ট ধৰ্ম্মের অভু্যদয়ের বহুপূৰ্ব্বে মিশর ও আরববাসীর মধ্যে গোবধ লষ্টয়া ভয়ঙ্কর বিরোধ ছিল । মিসববাসিগণ হিন্দুদের দ্যায় গোজাতিকে ভক্তিভাবে দেখিত এবং গোবধ ও গোমাংস ভক্ষণ অপরাধজনক বলিয়া মনে করিত । অদ্য পক্ষে আরবগণ গোমাংস ভক্ষণ করিত। এই কারণে, উপরোক্ত দেশবাসীর মধ্যে ভয়ঙ্কর বৈরভাব ঘটিয়াছিল। ইতিহাস-লেখক বলেন, আরবের অধিকাংশ স্থল মরুভূমি, এজন্য আরবগণ রুষিপ্রধান জাতি হইতে পারে নাই এবং তাচাদের গৌজাতির উপকারিতা অনুভব করার সুযোগ ঘটে নাই। পক্ষান্তরে মিশর অত্যন্ত উর্বর স্থান ; এবং মিশরবাসিগণ অধিকাংশ কুষিজীবী, সুতরাং গোজাতির উপকাবিত অনুভব করা তাঙ্গদের পক্ষে অত্যন্ত স্বাভাবিক ; এবং এই কারণেই এক জাতি গোবধে ও অন্য জাতি গোরক্ষণে প্রবৃত্ত হইয়াছে। এই অনুমান সত্য কিনা জানি না, কিন্তু উভয় জাতিৰ মধ্যে গোবধ ও গোরক্ষণ লষ্টয়া যে মতান্তর ও মনাস্তর ছিল তাঙ্গতে সন্দেহ করিবার কোন কারণ নাই। এই বিবাদের পরিণাম এই হইল যে আরবগণের নিকট যাহা দশ প্রকার খাদ্যের মধ্যে একপ্রকার খাদ্য মাত্র ছিল, প্রবল প্রতিবেশীর প্রতিবন্ধকতায় ও বিরুদ্ধাচরণে উচ্চা অবশুখাদ্য ও আদরণীয় হষ্টয়া উঠিল । ইহার পর আরব জাতি যেখানে গিয়াছে ও যেখানে যেখানে আধিপত্য বিস্তার করিয়াছে, সেইখানেই সঙ্গে সঙ্গে গোবধ-প্রথা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে যেখানে বাধা পাইয়াছে সেখানে অধিকতর বিস্তৃতি লাভ করিয়াছে। এদেশীয় ঈশাপন্থিগণ ( খ্ৰীষ্টান ) যেমন খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের সহিত ইউরোপীয় আচার আচরণ অবিচারে গ্রহণ করিতেছে এবং ঐ সমস্ত আচরণকে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের অঙ্গ মনে করিয়া ভ্রমে পতিত হইতেছে, সেইরূপ এদেশীয় হিন্দুগণও মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া তৎসঙ্গে আরবীয় আচার আচরণ, এমনকি নাম ও উপাধি পৰ্য্যস্ত, গ্রহণ করিয়াছে এবং উহাকে এক্ষণ মুসলমান ধৰ্ম্মের অঙ্গ বলিয়া মনে করিতেছে। “ষ্টব্রাহিম” ও “আশামুল্লা” নাম না রাখিয়া “স্থবোধ” ও “সুশীল” নাম রাখিলে অথবা আরবীয় ইতিহাস-লেখকের

  • History of Egypt by S. Sharpe. Vol. I.

জ্যোতির্ষিক যৎকিঞ্চিৎ S AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASهمه سید. هسسه محAASAASAASAASAASAASAASAAAS 6tb-S) --سمی.یہ۔--ه ...ہم- ۔ی.۔ ۔-- = • • • •r----------------------------------۳ ه..-= মুসলমানগণের সমস্ত ত্যাচার আচরণ গ্ৰহণ না করিলে কি মুসলমান ধৰ্ম্মাবলম্বী হওয়া যায় না ? এবিষয় শাস্ত্রজ্ঞ সুশিক্ষিত মুসলমানগণের মতামত জানিতে পারিলে আমরা বড়ই সস্তুষ্ট হইব । একটা গল্প বলিয়া অামাব এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধের উপসংস্কার করিব। কোন গ্রাম্য দলাদলীতে দুষ্ট পক্ষ তুমুল বিতণ্ড করিতেছিল । এক ব্যক্তি বিপক্ষ পক্ষের নেতাকে বলিল “শিরোমণি মহাশয়, ক্ষণকালের জন্য তর্ক ছাড়িয়া সন্ধ্যা আহ্নিক করুন : সায়ংরুত্যের সময় অতীত হইয়া যাইতেছে”। শিরোমণি ঠাকুর ক্রোধাম্বিত শ্লষ্টয়া বলিলেন, “আমি এখনষ্ট সায়ংকতা করিতাম, কিন্তু তুমি বিরুদ্ধ পক্ষের লোক হইয়া যখন আমাকে অন্তরোধ করিয়াছ, তখন কিছুতেই আমি উক্ত এখন করিল না” । উভয় সম্প্রদায়ের চিতসাধন-সঙ্কল্পে আমি ঠিন্দু ও মুসলমান উভয়কে এই গল্পেব সারমর্শ্ব উপলব্ধি করিতে অনুরোধ করি । যখন এক ঘরে বাস করিতেষ্ট হইবে, তখন ভাই ভাই পরম্পরের বুকে আর শেল বিদ্ধ করিতে চেষ্টা না করিয়া উভয়ে উভয়ের বুকের শেল খুলিয়া দিতে যত্ন করা কর্তব্য। কস্ত যদি অস্ত্র লষ্টয়া চরণকে আঘাত করে তবে সেই ক্ষতচরণের অবসরতায় হস্তও অবসন্ন চষ্টয়া পড়ে, ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলমান একই শরীরের দুষ্টট অঙ্গ, সুতরাং একের অনিষ্টে অঙ্গের ঈষ্টলাভের আশা নাই ; উভয়কেই মনে রাখিতে হইবে যে তাতাদের উভয়ের মধ্যে বাস্তবিক পার্থক্য কতটুকু এবং কতটা বা চাতগড় অর্থাৎ জেদে পড়িয়া গড়িয়া তোলা হইয়াছে । শ্ৰীমনোরঞ্জন গুহ ঠাকুরতা । জ্যোতিষিক যৎকিঞ্চিৎ ১ । চন্দ্রের গতি । প্রতিদিনই দুইবার করিয়া সমুদ্রে জলোচ্ছ,সি অর্থাৎ জোয়ার হয়। চন্দ্রের আকর্ষণষ্ট যে ইহার কারণ তিথিভেদে জোয়ারের হ্রাসবৃদ্ধি দেখিয়া তাহা বেশ বুঝা যায়। ইহার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানিতে চাহিলে পণ্ডিতগণ বলেন