পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SAAAAAAASAAA SASA SAASAASAASAASAAAS —“এক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে পৌছিব ।” —“এক ঘণ্টার মধ্যেই ?—আপনার কি তবে ডানা আছে ? —“আমি মোটবে করে যাচ্ছি।” —“এক ঘণ্টা, সে ত খুব অল্প সময় ।” আমি মনে করিলাম, মোটর গাড়ীটা একবার দেখিগে যাই । আমার ভয়ানক কৌতুহল হইয়াছিল। আমি এই “সপত্নী” সম্বন্ধে একটা অদ্ভুত কল্পনা করিয়াছিলাম, আমি মনে করিয়াছিলাম, বোধ হয় একটা প্রকাও গাড়ী একটা প্রকাও এঞ্জিনে যোড়া-কিন্তু কৈ—কোন গাড়ী ত দেখিতে পাইলাম না। মুর্জ আমার বিস্ময়ের ভাবটা বুঝিতে পারিয়া বলিলেন, গাড়ীটা কিছু দূরে আছে । ষেন বাস্তবিকৃষ্ট এ-একটা গুপ্ত প্রেমের ব্যাপার, এই ভাবে – কোথায় গাড়ীটা আছে ঠিক করিয়া তিনি কিছুষ্ট বলিলেন ন এবং তাঙ্গার সঙ্গে যাইবার জন্ত ও আমাকে আহবান করিলেন না। একটু যেন সলজ্জভাবে আমার হস্ত মৰ্দ্দন করিলেন এবং করিয়াই দ্রুতবেগে চলিয়া গেলেন । আমি ভাবিলাম :—মোদ কথা, এই জৰ্ম্মানটা বদ্ধ পাগল । ૨ তার পরদিনই আমি তাঙ্গর নাটকখানা পড়িলাম । যে তুচ্ছ পিষয় লইয়া নাটকখানি রচিত, তাহার সচিত কতকগুলা অদ্ভুত দৃপ্ত যুড়িয়া দেওয়া হইয়াছে—দৃপ্তগুলি বাস্তবিকই খুব হান্তকর। পড়িতে পড়িতে আমি না হাসিয়া থাকিতে পারিলাম না। কথাবাৰ্ত্তাগুলা একটু বেশী দীর্ঘ হইয়াছে—মাঝে মাঝে একটু ছাটিয়া দিলে রঙ্গমঞ্চে দর্শকের খুব হাস্তোদ্রেক হইতে পারে। আমার মতামত ব্যক্ত করিয়া তখনি তাহাকে একথানা পত্র লিখিলাম এবং পত্ৰখানা ও র্তাহার নাটকের পাণ্ডুলিপি ডাকে রওনা করিবার জন্ত, ডাকঘরের অভিমুখে যাত্রা করিলাম। ডাকঘরে যাইব বলিয়া বাহির হইয়াছি এমন সময়ে দেখিলাম, একজন সংবাদ পত্রাদির বিক্রেতা আমার পাশ দিয়া যাইতেছে। তাহার নিকট হইতে কতকগুলা প্রভাতের সংৰাদপত্র ক্রয় করিলাম। আমার যেমন চিরকেলে অভ্যাস,—প্রথম যে কাগজটা হাতে পাইলাম, তাকা খেলা SAASASAAAAAS AAASASAS SSAS (to S) .»* r *** . ............م... مسی -ء "۰۰۰۰ গেলাম। হঠাৎ একটা সংবাদের উপর আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হইল —“মোটব-গাড়ীব দুর্ঘটনা"। এইটুকু পাঠ করিয়াত আমার মনে হইল, মুর্জেবষ্ট বোধ হয় এই দুর্ঘটনা হইয়াছে—আমার সমস্ত শরীর শিঙ্গরিয়া উঠিল । আমি ঠিকষ্ট অল্পমান করিয়াছিলাম। সংবাদদাতা বলেন, পুৰ্ব্ব দিনে, সেজনো হইতে সরান্তের পথে, স্কুটারি-শৈলের শিখর হইতে, একটা মোটর-গাড়ী গড়াইয়া সমুদ্রে পড়িয়াছে। গাড়ি-পরিচালকের টুপিটা ছাড়া আর কিছুষ্ট পাওয়া যায় নাই। আরও তিনি বলেন,— “এই দুর্ঘটনার সংবাদটা এক ঘণ্টার মধ্যেষ্ঠ সমস্ত দেশময় ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল ; তাঙ্গার পর কর্তৃপক্ষেরা জানিতে পারিলেন,-যাহার এই শোচনীয় মৃত্যু সংঘটিত কষ্টয়াছে, তিনি সেঙ্গ ধনশালী জন্মাণ, যিনি সঙ্গরের উপকণ্ঠে একটা বাগান-বাড়ীতে সস্ত্রীক পাস কfরতেন । আগামী কল্য আরও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ইষ্ঠার বিবৰণ দেওয়া যাইবে।” এই সংবাদে আমি যেন বজাঙ্গত হলাম। যে হাতে আমার লিখিত সেই পত্র ও নাটকের পাণ্ডুলিপিখান ছিল সেই গতটা থর থর করিয়া কঁাপিতে লাগিল ; মনে হইতেছিল, যেন সেই পত্রাদির কাগজে কোন এক প্রকার উৎকট বিষ মাখানে আছে ;—মনে করিলাম, ঐ কাগজগুলা হাত কষ্টতে ঝাড়িয়া ফেলি ; কিন্তু পরক্ষণেষ্ট মনে পাণ্ডুলিপিথানি নষ্ট করিবার আমার কোন অধিকার নাই। তাই পত্ৰখানা চিড়িয়া ফেলিয়, পাণ্ডুলিপিখানি বাড়ী লইয়া গেলাম। এক সপ্তাহের শেষে অনেক ইতস্ততঃ করিয়া, অনেক বিবেচনা করিয়া, মুর্জের বিধবা পত্নীর নিকট মুর্জের *সপত্নী” নাটকখানা পাঠাষ্টয়া একটা দারুণ কষ্টকর কৰ্ত্তব্য সাধন করিলাম । শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। হুইল, খেলা (>) এদেশে নানা রকমের খেলা আছে ; কিন্তু তাঙ্গার কোনটি