পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] পণ্ডিত Diliaye লিখিয়াছেন (Haddon ২৩৭পূ) হন সিন নামক একজন চীন-যোদ্ধা ২০০ খৃষ্ট পূৰ্ব্বে এই খেলার প্রথম আবিষ্কার করেন । চীনদেশে ঘুড়ি-উড়ানোর উৎসব এত জাকাল, যে, ঐ দেশ হইতেই পূৰ্ব্বউপদ্বীপে, এবং ব্রহ্ম হইতে বঙ্গে উহার আমদানি বলিয়া মনে করিতে ইচ্ছ। চয় । ইউরোপে অতি প্রাচীনকাল শুষ্টতে লাটিম খেল ছিল ; দ্বাদশ শতাব্দীর সাহিত্যেও উহার উল্লেখ আছে । ইংলণ্ডের চতুদশ শতাব্দীর কোন পাণ্ডুলিপিতে একটি ধারে একটি লাটিমের ছবি দেখা গিয়াছে বলিয়া Strut সাহে ৭ তাঙ্গার Sports, &c. of England SICs fe-zfCS- HSবতঃ মাৰ্ব্বলের মত লাটিম খেলা চটবোপ গুইতে আসিয়া সহজেই পছবিস্তৃতিলাভ করিয়াছে । শ্রীবিজয়চন্দ্র মজুমদাব । ইউরোপ ও আমেরিকায় অধ্যাপক হেরম্বচন্দ্র মৈত্ৰেয় মহাশয়ের কার্য্য কোনও দেশের একজন মানুষ অপর একজনের অনিষ্টচেষ্টা করিলে, কখনও বা দেশের আইনে, কখনও বা সামাজিক শাসনে তাহাকে কুপথ হইতে নিবৃত্ত রাথে । এই রূপ, একদেশবাসী একজাতি অন্তদেশবাসী আদ্য জাতির অ’নষ্ট-চেষ্টা করিলে অপচিকীযু জাতিকে শাসনে রাখিবার জন্ত আন্তজাতিক আইন বা বিশ্বমানলের প্রবল সামাজিক মত যদি থাকিত, তাহা হইলে ভাল চষ্টত। এরূপ আইন বা মত যে মোটেষ্ট নাই, তাহা নয়। কিন্তু যাঙ্গা আছে, তাঙ্গা প্রবল জাতি কিম্বা শ্বেশুকায় জাতিদেব পরম্পর ব্যবহাবেই সীমাবদ্ধ বণ্ডিয়াছে । দুৰ্ব্বল, অশ্বেতকায়, বা অসভ্য জাতিদের প্রতি প্রবল জাতি লা শ্বেতকায় জাতি যেরূপ ব্যবহারই করুক না কেন, তাঙ্গাতে বাধা দিপার বর্তমানে কোন বিশিষ্ট ফলদায়ক মানবীয় উপায় নাই । শ্বেতজাতির লোক এবং প্রবল জাপানীদের এখন প্রায় সৰ্ব্বত্র অবাধগতি । তাহারা ভ্ৰমণ ও বাণিজ্যাদির জন্ত সৰ্ব্বত্র যাইতে পারে, কিন্তু ভারতবাসী ও অন্তান্ত এশিয়া বাসীরা তাহ পারে না । শ্বেতকায়দিগের উপনিবেশ অধ্যাপক হেরম্বচন্দ্র মৈত্ৰেয়ের কার্য্য ৫৯৭ সকলে এশিয়াবাসীদের প্রতি মানবোচিত ব্যবহার কব হয় না । - অদ্যদেশের শ্বেতকায় ছাত্রেবা ইংলণ্ডে শিক্ষালাভের জন্ত গেলে যেরূপ ব্যবহার পায়, যেরূপ স্বচ্ছন্দে, সন্দেহভাজন না হইয়া, ভদ্র সমাজে মিশিতে পায়, ভারতবাসী ছাত্রেরা এখন তাহা পায় না । এইরূপ অবস্থার প্রতিকার দুষ্ট প্রকারে হয়। প্রথমতঃ, অশ্বেত, দুৰ্ব্বল বা অসভ্য জাতিদের শক্তিশালী চষ্টয় উঠা দরকার। দ্বিতীয়তঃ, কেবল আমাদের কথা ধরিতে গেলে, ভারতবর্ষ দুৰ্ব্বল হইলেও, ভারতবাসীরা যে সৰ্ব্ববিষয়ে তাহারা যে এক সময়ে রাষ্ট্ৰীয় কার্য্য অনুন্নত নহে, পরিচালনে, জ্ঞানে, ধৰ্ম্মে, সাহিত্যে ও শিল্পে উন্নত ছিল, এবং এখনও অনেক বিষয়ে উন্নত আছে, ষ্টত। জগৎবাসীকে জানান দরকার। "তাহা হইলে লোকে নিশ্চয়ত ভারতবর্ষকে কিয়ুৎপবিমাণে শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিতে শিথিলে । চীন, পারস্য প্রভৃতি দেশের লোকদের সম্বন্ধে ও এক্ট কথা থাটে। তাতাদের ও সভ্যতাসম্বন্ধে জগৎবাসীর জ্ঞান বড় অল্প। এই জ্ঞান বদ্ধিত হইলে সকলে তাহাদিগকে শ্রদ্ধা করিতে পাfরবে। শদ্ধ হইতেষ্ট প্রক্লত প্রেম ও সঙ্গমুভূতি জন্মিবে। গত বৎসর আগষ্টমাসে জর্মেনীর বালিন সন্তরে উদারধৰ্ম্মমতাবলম্বীদিগের যে আন্তর্জাতিক সভা হইয়াছিল, সাক্ষাৎভাবে তাহার উপকারিতা অবশুষ্ট স্বীকার করিতে হইবে। ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বীরা পরস্পর বিবাদ বিসংবাদ না করিয়া বন্ধুভাবে পরস্পরের মত শ্রবণ ও আলোচনা করিলে সকল মানবের আধ্যাত্মিক একতা বুঝিতে পারা নিশ্চয়ষ্ট সহজ হয় । কিন্তু ইহাতে পরোক্ষভাবেও অনেক সুফল ফলে । তষ্ঠাতে ভিন্ন ভিন্ন জাতি পরস্পরকে শ্রদ্ধা করিতে ও ভালবাসিতে শিখে। পরম্পরকে সহানুভূতির চক্ষে দেখিতে শিখে । সুতরাং জাতিতে জাতিতে কলঙ্গেব সম্ভাবনা অন্ততঃ কিছু কমিয়া আসে। এই জন্য আমাদের দেশের ব্রাহ্মসমাজের যে তিন জন প্রতিনিধি এবং শিখদের একজন প্রতিনিধি ও সিংচল হইতে বৌদ্ধদিগের যে একজন প্রতিনিধি বালিনের এই সভায় গিয়াছিলেন, তাহারা সাক্ষাৎভাবে নিজ নিজ ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের_প্রতিনিধি_চষ্টrলও