পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS অসঙ্কোচে স্থান নির্দেশ করিয়া দেয়, তবুও এক জনপ্রবাদের জোরেই উপাখ্যান ইতিহাস হইয়া উঠিবে না । কেন না, বাণরাজার আখ্যায়িকা ইতিহাসজাত নছে, উহার মুল স্বৰ্য্যসম্বন্ধীয় রূপক-Solar Myth. সহস্রকিরণ রবিদুহিতা উষা পুরাণকারের হস্তে সহস্ৰবাহু বাণকন্ত উষায় পরিণত হইয়াছেন। উষা থাকে না, অস্তৰ্হিত হয় । যিনি কবি, র্যাহার সৌন্দর্য্য বোধ আছে, তিনি জানেন উষা কেমন সুন্দরী, কেমন মনোরম ৷ কিন্তু হঠলে কি হয়, দিনকে কেউ ঠেকাইয়া রাখিতে পারে না, দিন অনিরুদ্ধ, সে আসিয়াই পড়ে এবং উষাকে হরণ করে । পৌরাণিক উপাখ্যানের কেন না, তাকার মধ্যে অনিরুদ্ধকেই চুরি করিয়া আনা হয়। কিন্তু সেীর রূপকে বাস্তবিকই দিনের আগমনে উধা অপঈত হয় । আর দিন যে উষারই স্বপ্ন। আমরা এখানে বসিয়া সে কথাটা ভাল করিয়া উপলব্ধি করিতে পারিব না । পণ্ডিতপ্রবর তিলক দেখাইয়াছেন, উষ উপাখ্যানের মূল আর্য্যগণের আদি নিবাস সেই সুমেরু প্রদেশে । সেখানে উষা আমাদের এখানকার দ্যায় মুহূৰ্ত্তকাল স্থায়ী নহে, একমাসব্যাপী। সেষ্ট ৫,৬ মাস স্থায়ী রজনীর অন্ধকারের --যে অন্ধকারের পরপারে যাইবার জন্ত ঋগ্বেদের ঋষিগণের এত ব্যাকুল প্রার্থনা, সেক্ট অন্ধকারের—অবসানে স্বৰ্য্যেদয়ের প্রাকালে যখন উষা আবিভূত, তখনই তো তাহার দিনের কল্পনা করিতে অবসর পাটতেন, নতুবা এ দীর্ঘ রাত্রির যে অবসান হষ্টবে—র্তাঙ্গাদের ব্যাকুলতা দেখিলে মনে হয়—তাহা তাহারা যেন সাহস করিয়া ভাবিতেই পারিতেছেন না । তাই অনিরুদ্ধ দিন উষার স্বপ্ন। স্বপ্ন হইলেও অনিবাৰ্য্যরূপে দিন আসিয়া উষাকে হরণ করে। তারপর, বাণরাজার রাজধানী শোণিতপুর যে জবাকুসুমসঙ্কাশ কাগুপেয় মহাদ্রাতি স্বৰ্ষ্যদেবের বিশ্বব্যাপী কিরণজাল, যাহার মধ্যে স্বৰ্য্যদেব অবস্থিত- তাহারই রূপক মাত্র তাহা আর বলিয়া বুঝাইতে হইবে না । অথচ আসামের বাণরাজার কন্যা স্বপ্ন দেখিলেন গুজরাটবাসী শ্রীকৃষ্ণের পৌত্র অনিরুদ্ধকে, আর অমনি বাণাস্তঃপুরচারিণী চিত্ৰলেখা মুহূৰ্ত্ত মধ্যে দ্বারকাদুর্গস্থিত, যে দুর্গ শত্রুভয়ে সমুদ্রগর্ভে নিৰ্ম্মিত “উষাকরণ" নাম নিরর্থক । পৌরাণিক আখ্যায়িকার উপাদান দিন যখন আসিয়া পড়ে তখন আর ○〉9 SAAAAAAAS SASAASAAAS - رده - م----------- -**...**** সেই দুর্গস্থিত স্বষুপ্ত অনিরুদ্ধকে চুরি করিয়া আনিল, আর অমনি একটা উধাহরণ হইয় গেল—এই কথা আমাদিগকে ইতিহাস বলিয়া গলাধঃকরণ করিতেষ্ট হইবে । তাই কবি আক্ষেপ করিয়া বলিয়াছেন “গিলে কিহে আৰ্য্যজাতি এই ভস্ম ছাই অকপটে ? বস্তুত:, পৌরাণিক উপাখ্যানের উপাদান অধিকাংশ স্থলেই ঐতিহাসিক নচে । এষ্ট উপাদান অস্তুত: পাচ ভাগে বিভক্ত করিতে কষ্টবে। ১ । প্রথমতঃ, কতকগুলির মূল যে ইতিহাস তাঙ্গ সকলেই স্বীকার করিবেন। তবে তাঙ্গ নির্ণয় করা অতীব কষ্টসাধ্য। একটা দৃষ্টান্ত লওয়া যাক । কংস দৈববাণী শুনিলেন যে ভগিনীর পুত্র তাহার বিনাশ সাধন করিবে । ইতিহাস বলিল, এ জন্ত দৈববাণীর প্রয়োজন নাই। যে নিজের পিতাকে রাজ্যচু্যত ও কারারুদ্ধ করিয়া রাজা হষ্টয়াছে এবং নিজে অপুত্ৰক সুতরাং ভগিনীর পুত্রগণই রাজ্যের ভাবী উত্তরাধিকারী, ভগিনীর পুত্র জন্মিলে যে ঐ পুত্রকে লষ্টয়া প্রজাগণ তাঙ্গার জীবনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিতে পারে, এ সন্দেহ প্রাচীনকালের আরংজীব নৃশংস কংসের মনে আপন হইতে উদয় চ ওয়াই একান্ত স্বাভাবিক । দৈববাণীটা পৌরাণিক । একাদিক্ৰমে ছয় পুত্রের নিষ্ঠুর হত্যার পর সংক্রুদ্ধ প্ৰজাগণের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করিয়া অকালপ্রস্থত সপ্তম এবং অষ্টম পুত্রকে কারাগার হইতে সরাষ্টয়া ফেলা একটা অসম্ভব ব্যাপার সেজন্ত যোগমায়ার বৈকুণ্ঠ হইতে কষ্ট করিয়া কংস-কারাগারে না আসিলেও চলে। তবে যে মায়াদেবী বলদেবকে দৈবকীর গর্ভ হইতে লইয়া রোহিণীর ক্রোড়ে স্থাপন না করিয়া গৰ্ভে স্থাপন করিয়াছেন, সে কেবল পুরাণের মৰ্য্যাদা রক্ষার জন্ত, ইতিহাসের সঙ্গে তাঙ্গার কোন সম্বন্ধষ্ট নাই । তারপর শ্ৰীকৃষ্ণকে লইয়া বাহির হইবার সময় যে শ্ৰীকৃষ্ণের মহিমায় বসুদেবের হাতের শৃঙ্খল খুলিয়া গেল, মায়াদেবীর কৌশলে যে প্রচরিগণ নিদ্রিত হইয়া পড়িল, ঝড় বুষ্টির মধ্যে যে বামুকী সহস্র ফণা বিস্তার করিয়া পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন বা ভাদ্র মাসে যমুনা হঠাৎ হাটু জলে পরিণত হইলেন সে কেবল পুরাণকারের অনুরোধে । নতুবা অত্যাচারী নৃশংস নতে ।