পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS এক কাজ কর, হাতে একটা খরগোস বুকে চেপে ধরে বসে থাক, যন্ত্রণার বেশ উপশম হবে। আর দেখ বাপু এতে তোমার শাপে বর হ’ল। বড় মানুষরা কত টাকা খরচ করে উপাধির জন্য, আজ হতে বিনা খরচায় তোমার উপাধি হ’ল শশাঙ্ক বা শশধর।” এই শেষটি হইল চন্দ্রের কালদাগের ব্যাখ্যা । স্বর্য্যের কালদাগের অর্থ না পাইয়াও এইরূপ ভৃগুপদাঘাতের আজগুবি গল্পের স্বষ্টি হইয়াছিল। তবে এখানে দ্বাদশাদিত্যের একতম বিষ্ণু আর ত্রিদেবের বিষ্ণু গল্পের মধ্যে গুলাইয়া খিচুড়ী পাকিরা গিয়াছে। যাহা চউক, চন্দ্রের এই গল্পের মধ্যে সত্য এইটুকু —যাহারা আকাশে দৃষ্টি রাখেন তাহারা দেখিয়াছেন, স্বীয় ভ্রমণপথে চন্দ্র রোহিণী নক্ষত্রের যত নিকটবৰ্ত্তী হন এমন আর কোন নক্ষত্রের নচে । তবে আসল বিষয়টা আষাঢ়ে গল্পমাত্র, নিছক কল্পনা ! ৫ । পঞ্চমতঃ, আর কতকগুলি আছে, প্রাকৃতিক ঘটনার রূপক । যেমন বৃত্রবধ । ইহার আদি ঋগ্বেদে । ইন্দ্রের বৃত্রবধ বহুস্থানে বিবৃত হইয়াছে, ইন্দ্র বৃত্রকে বধ করিয়া জল সকলকে বন্ধনমুক্ত করিয়া দিতেছেন। পণ্ডিতগণ ইহার ব্যাখ্যা এইরূপ করিয়াছেন। বৃত্র এক মেঘাসুর, সে আকাশের সমস্ত জলকে সংগ্ৰঙ্গ করিয়া এক স্থানে আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে এবং স্বীয় নিৰ্ম্মম প্রকৃতির বশবৰ্ত্তী হইয়া জীবজন্তু তৃষ্ণায় মরিয়া গেলেও একবিন্দু জল দিতেছে না। ইন্দ্র দয়াপরবশ হইয়৷ এই অসুরকে বিনাশ করতঃ ধরণীকে শীতল ও শস্যশালিনী করিবার জন্ত বদ্ধ জলস্রোত সবেগে ছাড়িয়া দিতেছেন। ইহা ভারতেরই কোন প্রাকৃতিক ঘটনার রূপক ধরিয়া লইয়া ইহার এইরূপ ভাষ্য হইয়াছিল। বৃত্র আর কিছুই নহে, প্রচণ্ড স্বৰ্য্যোত্তাপতাপিত ভারতীয় গ্রীষ্ম, যখন উদ্ধে দৃষ্টিপাত করিয়া বিন্দুমাত্র বারি নেত্রগোচর হয় না ও নিম্নে নদী তড়াগাদি শুকাইয়া জলশূন্ত হইয়া যায় ; এবং বৃত্রের সঙ্গে দেবতার যুদ্ধও আর কিছুই নহে কেবল গ্রীষ্মান্তে বর্ষাসমাগমে আকাশে পৰ্ব্বত প্রমাণ মেঘসকল সঞ্চিত হইয়া বিদ্যুৎ ও বজ্রধ্বনি করতঃ মুষলধারে যে বারিবর্ষণ করিতে থাকে তাহারই রূপক মাত্র । ইন্দ্র বজ্রাঘাতে এই মেঘের বক্ষ বিদীর্ণ করতঃ জলরাশিকে মুক্ত করিয়া দিয়া ধরণীর পৌরাণিক আখ্যায়িকার উপাদান ৬২১ মহোপকার সাধন করেন, ইহাই বৃত্রসংহারের রূপক ধরিয়া পরবর্তী কালে ইন্দ্র বজ্রপাণি আকাশদেবতা বলিয়৷ পরিগণিত হইয়াছেন । এই ব্যাখ্যা ৭৮ বৎসর পূর্ব পর্য্যন্তও সৰ্ব্ববাদীসন্মতরূপে প্রামাণিক বলিয়া গৃহীত হইয়া আসিতেছিল। কিন্তু সম্প্রতি বৈদিক আখ্যায়িক সকলের ব্যাখ্যা করিয়া দুইখানি অতি অপুৰ্ব্ব গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে। একখানি অধ্যাপক হিলেব্রাওকত (Hillebrandt) জাৰ্ম্মাণ ভাষায় লিখিত Vedic Mythology,* *fa একখানি পণ্ডিতপ্রবর তিলককৃত ইংরাজী ভাষায় লিখিত Arctic Home in the Vedas. ইত্বারা স্বাধীন স্বতন্ত্রভাবে অন্তোন্তনিরপেক্ষ হইয়া গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন কিন্তু উভয়েই এই ব্যাখ্যার ভ্রাস্তি প্রদর্শন করিয়াছেন এবং এই ভ্রাস্তি প্রদর্শনে উভয়ের মধ্যে অতি আশ্চর্যারূপ ঐক্য বিদ্যমান রহিয়াছে। পুরাতন ব্যাখ্যার প্রথম অসঙ্গতি এই যে এক মেঘকেই দুইভাগে বিভক্ত করিয়া একদিকে ইহাকেই জলের আধার পর্বতের উপমাস্থানীয় করা হইতেছে, অন্তদিকে আবার ইহাকেই জলবদ্ধকারী বৃহদাকার কৃষ্ণকায় অস্কররূপে বর্ণনা করা হইতেছে । দ্বিতীয় ও প্রধান অসঙ্গতি এই—যাহা সহজেই চোখে পড়া উচিত ছিল কিন্তু ভারতে তদুনুযায়ী প্রাকৃতিক ঘটনা নাই বলিয়া পণ্ডিতগণ সেদিকে দৃষ্টিই দেন নাই এবং রূপক ব্যাখ্যায় এরূপ একটু আধটু অসঙ্গতি থাকিয়াই যায়—যে, যেখানে বৃত্র জল বদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে তাহাকে ঋগ্বেদে সৰ্ব্বত্রই অদ্রি, গিরি, পৰ্ব্বত বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে, মেঘ বলিয়া নহে । তিলক ও হিলেব্রাও উভয়েই বলিতেছেন অদ্রি পৰ্ব্বত প্রভৃতি এমন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হইয়াছে যে ওগুলিকে উপমা বলিয়া উড়াইয়া দিলে স্বব্যাখ্যা হইবে না। পৰ্ব্বতকে পৰ্ব্বত রাখিয়াই ইহার ব্যাখ্যা সম্ভব, তাহাতে মেঘকে দুই ভাগে বিভক্ত করিতে হইবে না, অথচ তদনুযায়ী প্রাকৃতিক ঘটনাও মিলিয়া যাইবে । হিলেব্রাও

  • মূল গ্রন্থ পাঠ করিৰার আমার স্বযোগ হয় নাই, কোনও কালে kers ci si its afe . Indian Thought Hins taxifier পত্রের প্রথম সংখ্যার অধ্যাপক থিৰ (Thibaut) ঐ গ্রন্থের যে नमांtजाळ्नां कब्रिब्रांरश्न, श्रांमि उांश श्रें८उहे ७ई विषब्रन मरअझ् कब्रिब्रांहि ।