পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২8 আর এক “পবন” যে মানুষ তাহ! ক্রিয়াপদের সাহায্যে অতি সহজেই আমরা উপলব্ধি করিতে সমর্থ। কিন্তু যেখানে ভাষার অপ্রাচুর্য্য বশতঃ দুষ্ট স্থলে একই ক্রিয়াপদ ব্যবহার করিতে হয় সেখানে আখ্যায়িকাংশের বংশপরিচয় অসাধ্য হইয়া উঠে। মানবজাতির শৈশবেও ঠিক এইরূপই ঘটিয়াছিল। ভাষার অভাব বশতঃ সকল ঘটনাই তাহারা এক বা অনুরূপ ভাষায় আখ্যায়িকাবদ্ধ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। মানুষের সঙ্গে মামুষের ব্যবহার বর্ণনা করিতে যে ভাষা, জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর গতিবিধির বর্ণনায়ও সেই ভাষা, নৈসর্গিক ঘটনাবলির জন্তও সেই ভাষা। কিন্তু ভাষার দৈন্ত চিরদিন থাকে নাই । ক্রমে ক্রমে জ্যোতিষিক ঘটনা বর্ণনা করিবার ভাষা হইতে নৈসর্গিক ঘটনা বর্ণনা করিবার ভাষা পৃথক হইল এবং মানবীয় ঘটনাবলি বর্ণনা করিবার ভাষা উভয় হইতে স্বতন্ত্র হইয়া পড়িল, কিন্তু প্রাচীন উপাখ্যানগুলির ভাষা তো আর সেই সঙ্গে পরিবর্তিত হইল না । কার ঘাড়ে দুটি মাথা যে বেদের ভাষা বদলাইতে যাইবে । আখ্যায়িকাগুলি রহিল কিন্তু কোন আখ্যায়িকা কোন কুলভুক্ত তাহা বুঝাষ্টয়া দিবার জন্ত আখ্যায়িকার রচয়িত সেই প্রাচীন মানবসমূহ তো আর আজ বিদ্যমান নাই। সুতরাং বশিষ্ঠ বিশ্বামিত্রের কলহ, দেবাম্বরে সংগ্রাম, ইন্দ্র-বৃত্রসংবাদ ও দক্ষযজ্ঞ এক পর্য্যায়ভুক্ত হইয়া পুরাণের স্বষ্টি করিল। ইহাই একমাত্র না হইলেও পরাণ স্বষ্টির একটা মুখ্যতম কারণ তাঙ্কা নিঃসন্দেতে বল যাইতে পারে । শ্ৰীধীরেন্দ্রনাথ চৌধুরী । ബ অকালবাৰ্দ্ধক্য নিবারণ ও দীর্ঘ জীবনলাভের উপায় জগতে প্রত্যেক জীবশ্রেণীর একটা করিয়া নিদিষ্ট জীবিত কাল আছে। কোন জীবের স্বাভাবিক পরমায়ু একশত বৎসর, কাহারও বা ৫০, কাহারও ১৫ বৎসর, আবার কতগুলি কীট পতঙ্গ আছে যাহাদের জীবনলীল ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয় । এখন প্রশ্ন এই—মমুন্মের স্বাভাবিক পরমায়ু কত —চৈত্র, ১৩১ . م.-.-..." "-اح "هه ی دهه -هم-معمامه ده همه مه-. [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ..s>**عے.. --***ے... - - - বৎসর ? শুনিতে পাওয়া যায় সত্যযুগে মাহুষের পরমার অসম্ভব দীর্ঘ ছিল—আমরা সত্যযুগের মানুষ নই স্বতরাং সে সময়ের কথায় আমাদের কোন আবগুক নাই । বর্তমান যুগে মনুষ্যের পরমায়ু কি—তাহাই আমাদের বিবেচনার বিষয় । ইতিহাস যতদিনের সংবাদ দিতে পারে, তাহা হইতে বোধ হয় মানুষের পরমায়ু সাধারণতঃ ৭০৮০ বৎসরের অধিক বলিয়া বোধ হয় না । সত্য বটে কেহ কেহ এই নির্দিষ্ট কাল অতিক্রম করিয়াও বঁচিয়া থাকে কিন্তু সেরূপ দৃষ্টান্ত খুব যে বেশি তাছা নহে। »»»» Pittox ***itsa General Register qtè দেখা যায় যে সে বৎসর ইংলণ্ডে ৯০ বৎসরের অধিক বয়স্ক ব্যক্তির সংখ্যা ৯৫৩৮ জন, তন্মধ্যে পুরুষ ৩•৫৬ আর স্ত্রী ৬৪৮২ । আর যাহারা ১০০ বৎসর অতিক্রম করিয়াছিল তাহাদের সংখ্যা ১৪৬ জন ; ইষ্ঠার মধ্যে পুরুষ ৪৭ আর স্ত্রী ৯৯ জন । যে সকল ব্যক্তি দীর্ঘকাল বাচিয়াছে তাহাদের জীবনযাপনের রীতিনীতি ও আচার ব্যবহার প্রভৃতির আলোচনা করিলে, দীর্ঘ জীবনের অমুকুল অবস্থাসমূহের একটা মোটামুটি ধারণ জন্মিবার সম্ভাবনা। যত দূর দেখা যায় ইহঁার প্রায় সকলেই মিতাচারী ; মৎস্ত মাংস অল্পই ভক্ষণ করে ; নিয়মিত পরিশ্রম করে ; আচার বিহার সম্বন্ধে উচ্চ জ্বল নড়ে ; প্রত্যঙ্গ স্বৰ্য্যোদয়ের পূৰ্ব্বে শয্যা ত্যাগ করে ; ইহাদের প্রকৃতি মধুর গুণযুক্ত ; ইহার সৰ্ব্বদাই হৃষ্টচিত্ত—সকল অবস্থায়ই মুখ ও আনন্দ ভোগ করিতে সমর্থ। সত্য বটে কোন কোন অলসপ্রকৃতি, উচ্ছ জ্বল ভোগৈশ্বৰ্য্যরত ব্যক্তিকেও দীর্ঘকাল বাচিয়া থাকিতে দেখা যায়—এরূপ ঘটনা কিন্তু সাধারণ নিয়মের বহির্ভূত বলিয়াই মনে করা কর্তব্য । যে সকল নিয়ম পালন করিলে স্বাস্থ্যলাভ ও তাছা রক্ষিত হয় এবং যে সকল আচরণ দ্বারা উহার, হানি হয় সেগুলি আমাদের সকলেরই জানা কর্তব্য। কেন না পূৰ্ব্বোক্ত নিয়মগুলি পালন করিলে শরীর নীরোগ ও জীবন দীর্ঘায়ু হয়। আর শেষোক্ত আচরণের দ্বারা পরমায়ুর হ্রাস হয় ।