পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩২ আবখ্যক । অলস ব্যক্তিদিগের পক্ষে আবার অতি অল্প পরিমাণ খাদ্যের আবশুক । কোন খাদ্য কতটা খাওয়া উচিত ইহা কেবলই যে দেহের ভর ও অভ্যস্ত থাটুনির উপর নিভর করে তা নয়, শরীরের অদ্যান্য অংশের তুলনায় মাংসপেশীগুলি কিরূপ পরিণত তাহাও দেখিতে যাহাঁদের দেহ খুব মাংসল তাঙ্গদের শরীরে অদ্যান্স অংশ অপেক্ষ মাংসেরক্ট ক্ষয় হয় সুতরাং এসকল সকল খাদ্য দ্বারা মাংসপেশী - গঠিত হইলে । ব্যক্তির পক্ষে যে হয়, যেমন মাছ মাংস ডিম্ব দাইল প্রভূতি, সেইরূপ থাছের অধিক আবশ্যক । শরীবের আকারের উপর ও খাদ্যের প্রকারভেদ বড় কম নির্ভর করে না । দীর্ঘকায় অথচ কুশ ব্যক্তির দেহ তইতে যে পরিমাণে তাপ বাশির হয় ঠিক সেই ওজনবিশিষ্ট ত্বস্ব স্থূলকায় ব্যক্তির দেহ ভক্টতে তাঙ্কা হয় না । এই কারণে শেষোক্ত ব্যক্তিদিগের অপেক্ষা পূৰ্ব্বোক্ত ব্যক্তিদিগের অধিক পরিমাণে স্থত তৈল ও মিষ্টাদির আবশুক । ঘৃত তৈল মিষ্ট প্রভৃতিতে অন্তান্ত খাদ্য অপেক্ষ অধিকতর তাপ সৃষ্টি হয় । শীতপ্রধান দেশে ও শীত ঋতুতে ঘৃত তৈল ও মিষ্টের অধিক প্রয়োজন । গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ও গ্রীষ্মকালে এসকল দ্রব্যের অধিক আবশুক হয় না। এখন প্রশ্ন এক্ট দিবসে কয়লার ইহাও আবার অমে কটা ভোজন করার আবশ্যক । শরীরের অবস্থা, কাজকৰ্ম্ম ও অভ্যাসের উপর নির্ভর করে । অনেকে দিবসে বেশ ভাল থাকেন ; কেহ কেহ কাতারও দুবার আহার করিয়া ৩ বার ভোজন না করিলে ভাল থাকেন না ; কাহারও দিবসে ৪ বার আঙ্গরের আবশুক হয় ! থাদ্যের পরিমাণ ও গুণের বিচার করিয়া আতার করিলেই যে স্বাস্থা রক্ষা হয় তা নয়। আচারের রকমের উপরও ইক প্রভূত নির্ভর করে । খাদ্য বেশ ভাল করিয়া চব্বিত না হইলে কখনও গলাধঃকরণ করা উচিত নয়। করিলে তাঙ্গা ভাল জীর্ণ হইতে পায় না। এ কথাটি কাহারও নিকট নুতন নয় বটে কিন্তু দুঃখের পিষয় কাজের সময় ইঙ্গ কাহাকেও মানিতে দেখা যায় না। ভাল করিয়া চৰ্ব্বণ অভ্যাস করিলে কেবলি যে স্বাস্থ্যের সুবিধা হয় তা নয়—আর্থিক সুবিধাও বড় অল্প হয় না। চৰ্ব্বণ প্রবাসী—চৈত্র2 ృురి) { [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড করিয়া আহার করিলে আবশ্যকের অধিক ভোজন করা হয় না—চিবাষ্টয়া না থাইলে অনর্থক অধিক গেলা হয়। এ ছাড়া নানাবিধ বোগ দেখা দেয় এবং সে সকলের চিকিৎসার জন্যও বড় কম অর্থ ব্যয় হয় না । আহার সম্বন্ধে আর একটি কথা মনে রাখা উচিত। মন যখন উদ্বিগ্ন অথবা ক্রোধের বশ থাকে সে সময় কিছু আহার করা কর্তব্য নয়। শারীরিক ও মানসিক কান্তির অবস্থায় আহার করা উচিত নয়। আহারের পূৰ্ব্বে শরীর ও মন উভয়েরই বিশ্রাম আবগুক ৷ খাদ্যদ্রব্য খুব গুরুপাক করিয়া বন্ধন করিয়া আহার করিতে নাই । আর এক কথা এই যে ভোজনের সময় অথবা ভোজনের অব্যবহিত পরে জল পান করিতে নাই । অন্ততঃ দু ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়া জল পান করিতে হয় । আহারের অব্যবহিত পূৰ্ব্বে অথবা পরে অল্প মাত্রায় সুরা পান করিলে পরিপাক ক্রিয়ার সহায়তা করে বটে কিন্তু সাধারণতঃ স্বরার কোন আবশুক নাই ; তবে বাৰ্দ্ধক্যবশতঃ যাতাদের হৃৎপিণ্ড দুৰ্ব্বল চষ্টয়াছে তাকাদের পক্ষে অল্প মাত্রায় মরার আবশ্যক তয় । যে সকল ব্যক্তি দীর্ঘজীবন লাভ করিয়াছে তাঙ্কাদের মধ্যে সুরাপায়ী অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যের জন্য চা, কফি প্রভৃতির কোন আবশ্যক নাই। অল্প পরিমাণে এ সকল দ্রব্য পান করিলে বিশেষ কোন অনিষ্ট হইতে দেখা যায় না, বরঞ্চ ষ্টতাদের দ্বারা চিত্তপ্রফুল্ল হয় এবং কার্য্য করিবাব ইচ্ছা বলবতী হয় । অধিক পরিমাণে চ কফি পভৃতি ব্যবহার করিলে স্বাস্থ্যহানি হয় । স্বাস্থ্য রক্ষার জন্ত নিয়মিত আহারের যেমন আবশ্যক সেইরূপ নিয়মিত ভাবে মলত্যাগেরও অবিশু্যক। সাধারণতঃ ষ্টতার জন্ত বিশেষ কোন বেগ পাচতে হয় না । স্বাভাবিক নিয়মে ইহা আপন! তইতেই শুষ্টতে থাকে। কিন্তু কাহারও কাচারও এমন কোষ্টবদ্ধতার ধাত যে এই স্বাভাবিক ক্রিয় আপন! হটতে হয় না । এসকল ব্যক্তির মোট আট বা ময়দাব রুটি ও কিছু বেশি পরিমাণে শাক সধূজি ভক্ষণ করা উচিত । প্রাতে শয্যাত্যাগের পর এক গেল’স জল পান করা কর্তব্য । বেশি মাংসাহার করিলে কোষ্টবদ্ধ হয় সুতরাং এসকল ব্যক্তির বেশি মাংস খাওয়া ভাল নয় । পেটের উপর