পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩৬ আবাহন । এসগো বসন্তলক্ষ্মি !—চঞ্চল পবন ব্যাকুল লভিতে মধু পরশ তোমার ; তোমারে বন্দিতে আজি প্লাবিয়া ভুবন কোকিল পাপিয়াকণ্ঠে অশ্রান্ত ঝঙ্কার । নবীন পল্লবে শোভি’ প্রফুল্ল কানন করিছে মন্মরতানে তব আবাহন । > আসিবে বসন্তলক্ষ্মী; আনন্দ উচ্ছাস তরঙ্গিয়া উঠিয়াছে ধরণীর বুকে, বনের মনের গুপ্ত বাসন-বিলাস ফুটিয় উঠেছে রক্ত অশোক কিংশুকে । এস, পুষ্পদলে রাখি’ অরুণচরণ, ভ্রমর গুঞ্জরি করে তব আবাছন । 3) এসগো বসন্তলক্ষ্মি ! সুখদ বাতাসে, চুতমুকুলের গন্ধে, গুঞ্জরণে গানে, বিমল বিচিত্র স্নিগ্ধ কুসুম-বিকাশে, ফুটাও প্রেমের স্বপ্ন অবসন্ন প্রাণে । নবমুরে বাধি’ বীণা, সঙ্গীতে নূতন গায়িবে বিশ্বের কবি তব অবাচন । শ্রীরমণীমোহন ঘোষ । নারিকেলের চাষ ভারতবাসী বহুকাল হইতেই নারিকেল-বৃক্ষের সহিত পরিচিত, কারণ নারিকেল-বৃক্ষ ভারতের প্রায় সৰ্ব্বত্রই বিদ্যমান আছে । নারিকেল বৃক্ষ হইতে আমাদের কি কি উপকার সাধিত হয়, নারিকেলের আস্বাদনই বা কি প্রকার তাহাও সকলেই বিদিত আছেন। কিন্তু কি উপায় অবলম্বন করিয়া রীতিমত চাষ আরম্ভ করিলে এই বৃক্ষ হইতেই প্রভূত ধনোপার্জন করা যায়, তাহ অনেকে অজ্ঞাত। দেখিতে পাওয়া যায় অম্মদেশে অনেকে দুইচারি বিঘা জমি লইয়া তাহার চতুষ্পার্শ্বে নারিকেল , ১৩১৭ AeMAMMAMMAMMAMMAMMMAMMeSAeAeMMeeSMAMAMMMAMMAMAAASAAAA প্রবাসী—চৈত্র

  • ۳ سی ***۰که همههای مس و همچی ریچههاییع-وه

[ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড বৃক্ষ রোপণ করিয়াছেন, ভাবিতেছেন, উক্ত বৃক্ষের মূলে যথেষ্ট জল সিঞ্চন করিয়াই বৃক্ষকে সতেজ করিয়া তুলিব ; এইরূপে পাচ সাত বৎসর অতীত চইলেক্ট বৃক্ষ আমাকে ফলদান করিবে । কিন্তু আমরা যথেষ্ট অনুসন্ধান করিয়া দেখিয়াছি, যে, র্যাহারা উক্ত উপায় অবলম্বন করিয়াছেন র্তাহীদের অধিকাংশই নিরাশ হইয়াছেন । ঐ সকল বৃক্ষের মধ্যে কোন কোনটা সতেজ হইয় উঠে বটে, কিন্তু তাচারা অধিক ফলদানে অক্ষম ; এই সকল বৃক্ষ অত্যন্ত উচ্চ হয় ; নারিকেল-বৃক্ষ অধিক উচ্চ হটলে প্রচুর ফলদান করিতে পারে না । যে উপায় অবলম্বন করিলে যথেষ্ট ফল প্রাপ্ত হওয়া যায় তাঙ্গারই যথাযথ বিবরণ নিম্নে প্রদত্ত হক্টল । নিম্নলিখিত বিবরণটা সিংহলবাসীদেরই প্রথার অনুকরণে লিখিত হইল । আমরা স্বযং উক্ত নিয়ম অবলম্বন করিয়া যথেষ্ট ফল প্রাপ্ত হইয়াছি । সিংহলবাসীরা নারিকেল-বৃক্ষ রোপণে, তাঙ্গার সম্যক তত্ত্বাবধানে এবং উক্ত বৃক্ষ হইতে যথেষ্ট ফল উৎপন্ন করিতে পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বলিলেও অতু্যক্তি হয় না । নারিকেল সিংহলবাসীর অাদরের এবং ধনোপজ্জনের প্রধান পণ্য । সিংহলে র্যাহার অধিক নারিকেল বৃক্ষ তিনিই অধিক ধনী । তাহার এই নারিকেল-বৃক্ষের শিকড় হইতে আরম্ভ করিয়া চহার প্রত্যেক দ্রব্যটাকে ব্যবসায়ে নিয়োজিত করিয়া বহু অর্থ লাভ করিয়া থাকেন । চহারা বলিয়া থাকেন লবণাক্ত সমুদ্রতীরই নারিকেল-বৃক্ষ রোপণের উপযুক্ত স্থান । দেথিতে পাওয়া যায় যে সমুদ্রতীরেই ইহা অধিক পরিমাণে উৎপন্ন হুইয়া থাকে। ইহঁাদিগের মতে পুরাতন (কাকনি) বৃক্ষের নারিকেলষ্ট রোপণের উপযুক্ত ৷ ইহঁরা সৰ্ব্বপ্রথমে একটা সমতল স্থান খনন করিয়া তাঙ্গতে সমুদ্রের মৃত্তিক এবং সামুদ্রিক পচা আগাছা পূর্ণ করেন, তৎপরে চারিশত কঁাকিনি নারিকেল উক্তস্থানে স্থাপন করিয়া যতদিন না অস্কুরোদগম হয় ততদিন প্রত্যহ জলসিঞ্চন করিয়া থাকেন। অঙ্কুরিত হইলে পর, স্বৰ্য্যতাপ নিবারণের নিমিত্ত উহার উপর চাদোয় বা ছাউনি প্রস্তুত করিয়া দেন । এইরূপে জানুয়ারী মাস হইতে এপ্রিল মাস পর্য্যন্ত বৃক্ষগুলিকে ঐ ভাবেষ্ট থাকিতে দেওয়া হয়। এই প্রকারে