পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] হাস্তোদ্দীপক । কতিপয় ইংরাজ এবং ইংরাজমহিলাও পৰ্ব্বতশিখরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তাছার, বিশেষতঃ মহিলারা, বানরশিশুগুলিকে মাতৃপৃষ্ঠে অশ্বারোহীর দ্যায় আরোহণ করিতে দেখিয়া হস্তি সম্বরণ করিতে পাfরলেন না। শূতের অত্যন্ত প্রাথর্য দেখিয়া আমাদের জনৈক বন্ধু আপন মনে বলিতে লাগিলেন “এই সময়ে এক পেয়ালা গরম গরম চ পান করিতে পারিলে, আরাম বোধ করা যাইত।” সন্ন্যাসী ঠাকুর তাহ শুনিয়া বলিলেন “আপনার অল্পক্ষণ অপেক্ষা করুন, আমি এখনষ্ট চা প্রস্তুত করাইয়া হনুমানঞ্জীকে নিবেদন করিব ও র্তাঙ্গর প্রসাদ তাপনা দিগকে দিব।” আমরা সন্ন্যাসী ঠাকুরকে তাহার এই প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ দিলাম, কিন্তু বলিলাম, “সন্ধা সমাগতপ্রায়, এখন আমরা গৃহে ফিরিয়া যাইব । দুঃখের - বিষয় যে হকুমানজার প্রসাদের জন্ত আমরা আর অপেক্ষ করিতে পারিতেছি না ।” কিন্তু তিনি বার বার অনুরোধ করায়, আমরা তাঙ্গার অনুরোধ অবহেলা করিতে পারিলাম না । সন্ন্যাসী ঠাকুরের একটা চেলা চা প্রস্তুত করিতে গেলেন ; সেই অবসরে সন্ন্যাসী ঠাকুর আমাদের সহিত নানা প্রকার গল্প করিতে লাগিলেন । তিনি বলিলেন, “হনুমানঞ্জীর রূপায় এই উচ্চ পৰ্ব্বতশৃঙ্গেও তাগর সেবার নিমিত্ত কোনও দ্রব্যের অভাব হয় না। হনুমানঞ্জীর মন্দিরে কতিপয় পয়স্বিনী গাভী আছে । এখানে আসিয়া হনুমানজীর প্রসাদ–চা ও দুগ্ধ—পান করিয়া যান। লঙ্কাতে লক্ষ্মণজী রাবণের শক্তিশেলের আঘাতে মুচ্ছিত হইয়া পড়িলে, হনুমানজী গন্ধমাদন পৰ্ব্বত হইতে ঔষধ আনিতে গিয়াছিলেন ; কিন্তু ঔষধ না পাইয়া, তিনি গন্ধমাদনের শুঙ্গটিই উপাড়িয়া লঙ্কাতে লইয়া গিয়াছিলেন । গন্ধমাদনের সেই প্রকাণ্ড শৃঙ্গ মস্তকের উপর বঙ্কন করিয়া চলিতে চলিতে তিনি অতিশয় ক্লান্ত হুইয়া পড়েন, এবং এই পৰ্ব্বত শুঙ্গে কিয়ৎক্ষণ বিশ্রাম করেন। তদবধি এই পৰ্ব্বত শৃঙ্গ পবিত্র স্থানে পরিণত হইয়াছে। তাহারই পূজার জন্ত এক্ট মন্দির প্রস্তুত হইয়াছে।” ইত্যাদি। হনুমানজীর মাগত্ম্য শ্রবণ করিতেছি, ইতাবসরে একটা প্রকাও পাত্রে চা প্রস্তুত চষ্টয়া আসিল । সন্ন্যাসীঠাকুর শঙ্খধ্বনি করিয়া হনুমানজীকে সেই চা নিবেদন বড় বড় ইংরাজেরাও শিমলা AMAMAeAMAeeeeMAeeASAeSMeeAeAAASAAAAASA SSASAS SSAS SAMAeAeMAMAMAAASAASAASAAAS . ჯGჯxS) করিলেন, এবং আমাদিগকে তাহার প্রসাদ বণ্টন করিয়া দিলেন । প্রকৃত প্রস্তাবে চা অতীব উপাদেয় পানীয় হষ্টয়াছিল, এবং আমরা আগ্রহ সহকারে তাহ পান করিয়া অবসাদ ও ক্লান্তি দূরীভূত করিলাম। তৎপরে সেই উচ্চ শৃঙ্গ হইতে ভগবান স্বৰ্য্যদেবের অস্তগমন দর্শন করিয়া আমরা ধীরে ধীরে পর্বতের পাদমূলে উপনীত হইলাম। বোইলোগঞ্জ হইতে ছোট শিমলা পর্যান্ত বিস্তৃত শিমলা নগরীর আকার প্রকারের একটা স্থল আভাস প্রদত্ত হঠল । এক্ষণে নগরীয় সামান্ত বর্ণনা করা যাউক । সম্রাট প্রতিনিধি বড়লাট সাহেব বাহাদুর শিমলা নগরীতে বৎসরের মধ্যে আট মাস কাল অতিবাহিত করিয়া থাকেন। পঞ্জাবের ছোটলাট বাহাদুরও গ্রীষ্মকালে শিমলায় অগসিয়া বাস করেন । ভারতবর্ষের প্রধান সেনাপতি বা জঙ্গীলাট সাহেব লাঙ্গাতুরও শিমলাকে তাহার কার্য্যের প্রধান কেন্দ্রস্থল কুরিয়াছেন সুতরাং শিমলা নগরীকে ভারতবর্ষের পাৰ্ব্বত্য রাজধানী বলা যাইতে “ পারে। রাজধানী যেরূপ সমৃদ্ধিসম্পন্ন নগরী হইয়া থাকে, শিমলাও তদ্রুপ। পূৰ্ব্বেষ্ট উক্ত হইয়াছে, নগরীর পশ্চিমাংস পোইলোগঞ্জ নামে পরিচিত। বোইলোগঞ্জের নিকটেই প্রসপেক্ট চিল ও বড়লাটের প্রাসাদযুক্ত অবজারভেটারী ছিল। এ শেষোক্ত পৰ্ব্বত হইতে কিয়দর পৰ্য্যন্ত ভূমি অপেক্ষাকৃত সমতল। এই কারণে, ইহাকে “চৌড় ময়দান” বলা হইয়া থাকে । চৌড় ময়দানের পর বড় শিমলা । বড় শিমলা ক্রয় বিক্রয়ের স্থান এবং নানাবিধ মনোহর আপনশ্রেণীতে পরিশোভিত । কলিকাতা নগরীর চৌরঙ্গীতে যেরূপ বড় বড় আপণ আছে, এখানেও সেইরূপ বড় বড় আপণসমূহ দৃষ্ট হয় । কলিকাতা, বোম্বাই, এলাহাবাদ, লাহোর, মীরাট, দিল্লী প্রভৃতি নগরীর বড় বড় দোকানের শাখা শিমলা নগরীতে বিদ্যমান। বড় শিমলা যে গিরিশ্রেণীর উপর অবস্থিত, তাহার গাত্রে স্তবে স্তরে সৌধাবণী রাজপথসমূহে বিভক্ত হইয় অবস্থিত । তাহা দেখিতে বড় সুন্দর । কিন্তু আবাসবাটীগুলি ঘনসন্নিবিষ্ট হওয়ায়, এই স্থানটি শিমলার অন্তান্ত স্থানের স্যামু স্বাস্থ্যকর বলিয়া বোধ হইল না । বড় শিমলায় অনেক লাঙ্গালী রাজকৰ্ম্মচারী প্রবাস করিয়া