পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• عم... ---..۔۔معدہ ۔۔۔ حمی۔ح ععء..---ھم... --م۔۔۔ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । এতদিন পরে সত্যই একটার পর একটা করিয়া সে ভয়ঙ্কর দিনগুলা অতীতের গর্ভে চলিয়া গেছে। তাহারা আর ফিরিবে না—যেখানে গেছে সেইখানেই চিরদিনের মতো বিভীষিকাপুর্ণ তাহাদের সমস্ত অস্তিত্ব লষ্টয়া থাকিয়া যাইবে; আর তাহাদের স্মৃতি ফিরিয়া আসিয়া মনকে উৎপীড়িত করিলে না— এই কথা ভালিয়া ইভা এখন অনেকটা শাস্ত হইয়াছেন–র্তাহার স্নায়বিক উত্তেজনা কমিয়া গেছে— ভবিষ্যতের মুখের জন্য তাছার ষে একটা অসহ অধীরতা ছিল তাহাও এখন আর তত প্রবল নাই—কারণ তিনি ফ্র্যাঙ্ককে লাভ করিয়া সুখী হইতে চলিয়াছেন । ইভা ও তাহার পিতা এখন লগুনে ; অত্যন্ত নির্জন ভাবে বাস করিতেছেন। ইভা এখন মুখী বটে কিন্তু তবুও এই বর্তমানের মুখকে অতিক্রম করিয়া তাঙ্গার মনে অতীতের সেক্ট নিদারুণ স্মৃতি এখনও জাগিয়া উঠিতেছে—সে স্মৃতি যেন কিছুতেই নিজেকে লুপ্ত হইতে দিবে না! ফ্র্যাঙ্কও লণ্ডনে আসিয়াছেন--সামান্ত একটা চাকরী গ্রহণ করিয়া দিন গুজরান করিতেছেন। ক্রমে ক্রমে তাঙ্গর উন্নতি হইবে—র্তাঙ্গর উপযুক্ত একটা চাকরী মিলিবার শীঘ্রই সম্ভাবনা । আর্চিবল্ড এখন আরো বৃদ্ধ হইয়া পড়িয়াছেন-বাতে পজু! কিন্তু এখনও তাহার সে ইতিহাসচর্চ ত্যাগ করেন নাই –সমস্ত দিন ধরিয়া বসিয়া এখনও তিনি বইয়ের পাতা উণ্টাইয়া যান। ইভ ফ্র্যাঙ্ককে বিবাহ করিতে চাঙ্গেন শুনিয়া তিনি মধ্যে মধ্যে মুখে বিরক্তির ভাব প্রকাশ করেন বটে, কিন্তু কোনো বাধা দেন না। এখন যেন আর তাহার কোনে কিছুতেই আপত্তি নাই—সংসারের প্রতি যেন নির্লিপ্তভাব ; যাহা হয় তউক, এ বৃদ্ধ বয়সে র্তাহাকে যেন ইতিহাস-আলোচনায় কেহ না বাধা দেয়, ব্যস তাহা হষ্টলেই হইল! তিনি বলিতেন—“বাপু ! আমি বুড়া হইয়াছি—অতশত বুঝি না-ছেলেমেয়ের ষাঙ্গ ভালো বোঝে করুক !” আর্চিবল্ড যদিও বাহিরে এইরূপ নির্লিপ্ত ভাব প্রকাশ করিতেন, কিন্তু অন্তরে, ইত্বার সহিত ফ্র্যাঙ্কের বিবাহের কথা শুনিয়া, খুলী ছিলেন। কারণ তিনি জানিতেন প্রবাসী—চৈত্র, AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ ১০ম ভাগ, રમ ফ্র্যাঙ্ক যত অপরাধই করিয়া থাকুন, আসলে তিনি লোক খারাপ নহেন—ইভ র্তাহার কাতে পড়িলে সুখী হইবে, আদর যত্ন পাইবে আর এ বৃদ্ধ বয়সে র্তাহারে দিন রাত কাছে কাছে থাকিবার মতো একটি লোক জুটিবে— একটি ক্ষুদ্র সঙ্গী ! 4. সমস্ত সপ্তাহের মধ্যে ফ্র্যাঙ্কের সহিত ইভার বড় দেখা শুনা হইত না কারণ ফ্র্যাঙ্ক কাজে ব্যস্ত থাকিতেন কিন্তু রবিবার তাহাদের সাক্ষাৎ হইতই । ইভা সমস্ত সপ্তাহটা মনে মনে কেবল এক্ট রবিবারটাই আলোচনা ృర్పిడి 한 ধরিয়! করিতেন – ফ্র্যাঙ্ক কথন আসিয়াছেন, কথন কোন কথাটি বলিয়াছেন, কেমন করিয়া কখন তাঙ্গর পানে চাহিয়াছেন সমস্ত সপ্তাহ ধরিয়া কেবল মনে মনে তাহাই তোলাপাড়া করিতেন,-—এষ্ট একদিনের আনন্দকে তিনি সপ্তাহের মধ্যে বিস্তীর্ণ করিয়া দিয়া তাহাকে অস্তবের সহিত উপভোগ করিতেন । ফ্র্যাঙ্কের উপর তাহার ভালোবাসা এখন যেমন শত মুখে উৎসারিত হষ্টয়া উঠিতেছে তেমন আর কখনো হয় নাই—আঙ্গ তিনি বড় দুঃখী-—তাহার সমস্ত দুঃথকে ভালোবাসার দ্বারা, সাস্তুনা দ্বারা দূরীভূত করিবার জন্ত র্তাহার প্রাণটা ব্যাকুল হইয়া কাদিয়া উঠিত । ফ্র্যাঙ্ককে তিনি প্রথম ভালোবাসেন তাঙ্কার বলিষ্ঠ দেহের সঙ্গে র্তাহার অস্তরের যে নমনীয়তা ও দুৰ্ব্বলতার বৈষম্য তাহাতেই মুগ্ধ হইয়। এখন এ বৈষম্য পূর্ণ মাত্রায় ফুটিয়া উঠিয়াছে— তাহা তাঙ্গর বড় ভালো লাগে । এখন তিনি দেখেন এত বড় একটা জোয়ান পুরুষ অতীতের একটা স্মৃতির পীড়নে কী মৰ্ম্মাস্তক কাতর হৃদয়ের এ বল তাহার নাই যে এই কাতরতার উদ্ধে উঠিয়া আবার তিনি নুতন করিয়া জীবন আরম্ভ করেন । ফ্র্যাঙ্কের এই শক্তির অভাব ষ্টভাকে ভবিষ্যতের স্বথকল্পনায় হতাশ করিতে পারিত না—বরঞ্চ এ দুৰ্ব্বলতার জন্ত তিনি ফ্রাঙ্ককে বেশি কবিয়া ভালোবাসিতেন এবং তাহ লইয়া তিনি নানারূপ মুখস্বপ্ন দেখিতেন । ইভা স্ত্রীলোক হইলেও জোর করির অতীতকে ভুলিতে পরিয়াছিলেন—ভবিষ্যতের দিকে তিনি সাহসের সহিত অগ্রসর হইতেছিলেন এবং অসীম ধৈৰ্য্যের দ্বারা ও আন্তরিক বিশ্বাসের দ্বারা মুখকে তিনি করায়ত্ত্ব