পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮼb←br SAAAAAA AAAASAAAeSeAMSAS A SASAAASAAA S ( কৃষ্ণস্বৰ্ম্ম ডাক্তার দত্ত লিখিয়াছেন যে বাঙ্গালার কবিরাজ মহাশয়ের রসাঞ্জন অর্থে কৃষ্ণস্বৰ্ম্ম বুঝির থাকেন কিন্তু উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে রসোত অর্থাৎ উক্ত দারুহরিদ্রার কাথকেই রসাঞ্জন বলিয়া ব্যবহার করা হয় । তাছার কারণ তিনি বলিয়াছেন যে এই দারুহরিদ্র হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায়, সেই জন্য বাঙ্গালার কবিরাজবৃন্দের পক্ষে উৎ। দুষ্প্রাপ্য। তবেষ্ট দেখুন যে ঠিক বস্তুনির্দেশ না হইলে * Dutt : Materia Medica of the Hindus, p, 1o7. * অনেকস্থলে কিরূপ বিপৰ্য্যয় উপস্থিত হয়--কোথায় দারু হরিদ্রার কাথ তার কোথায় কৃষ্ণস্বৰ্ম্ম । শ্রীপঞ্চানন নিয়োগী । ইতর জীব কি মানুষ অপেক্ষাও পেটুক ? কাহাকেও অতিরিক্ত পরিমাণে ভোজন করিতে দেখিলে আমরা শূকর, গ্লাটোন অথবা অন্ত কোনো পেটুক জানোয়ারের সঙ্গে তাহাদের তুলনা করি । কিন্তু তুলনাট কতদূর ঠিক হয় তাহ বিচার করিয়া দেখা উচিত। কথা প্রসঙ্গেও “ছাসের স্তায় নিৰ্ব্বোধ”, “বাছুরের দ্যায় অন্ধ", “শশকের দ্যায় ভীরু", প্রভৃতি বাক্য প্রয়োগ করা হইয়া থাকে । কিন্তু অনুসন্ধান করিয়া দেখা গিয়াছে এষ্টসকল কথার কোনোটাই ঠিক নহে। ভোজন বিষয়ে জীবজন্তুদের উপর আমরা যে এই অপবাদটি আরোপ করিয়া থাকি তাঙ্ক কতদূর স্থায়সঙ্গত অনুসন্ধান করিয়া দেখা আবণ্ডক । একজন সাধারণ মানুষ যাহা খায় অনেক জন্তু তদপেক্ষ বেশী থায় সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই । কিন্তু শুধু এই কথার উপর নির্ভর করিয়া তাহাদিগকে মানুষ অপেক্ষ পেটুক বলা যায় না। কারণ, সাধারণতঃ লোক-লজ্জা অথবা হজমশক্তির অভাবে, উদরে যে পরিমাণ ধরিতে পারে আমরা তাহ অপেক্ষাও অনেক কম খাষ্ট । সেইজন্ত সাধারণ লোকের সঙ্গে তাছাদের তুলনা না করিয়া, আমাদের মধ্যে যাহাদের পেটুক বলিয়া খ্যাতি আছে এরূপ লোকের সঙ্গে তুলনা কৰিলে তাছাদের প্রতি সুবিচার করা হইবে । প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ ASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS جهے يہ --- ہے..** -ه*sه *** بچهه به" مم. یعs.۔ مہیr-ے. یs**م. - د.SAASAASAASAASAA AAASAASAASAASAASA SAASAASAASAASAAAS همه ی تهیه میه*همه [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ভোজনের প্রণালীর হিসাবে আমাদের সঙ্গে প্রাণীদের অনেক পার্থক্য আছে। চেষ্টা করিলেই আমরা আমাদের খাদ্যদ্রব্য সংগ্ৰহ করিতে পারি এবং সঞ্চিত রাখিয়া ইচ্ছামত গ্রহণ করিতে পারি। সেইগুস্ত আমরা দৈনিক আচারকে কয়েকটি নির্দিষ্ট সময়ানুসারে ভাগ করিয়া লইতে পারিয়াছি। তেমন ক্ষুধা ন পাইলেও নিদিষ্ট সময়ে আহারে বসিতে আমরা ভুলি না । কিন্তু মানবেতর প্রাণীদের আহার্ষ্য সংগ্ৰহ করিয়া রাখিবার সুবিধা না থাকায় তাহাদের আহারের সময় নিদিষ্ট হইতে পারে না ; কাজেই যখনই তাহারা আহার্য্য পায় তখনই থায় । কেবল কোনো কোনো সরীস্বপকে অনেক দিন পর্য্যন্ত অনাগরে থাকিতে দেখা যায়। নিজের মনোমত খাদ্যদ্রব্যের অভাবই ইহার প্রধান কারণ । আহার সম্বন্ধে জীবজন্তুকে দুই প্রকারে শ্রেণীবিভক্ত করা যায়। এক আহাৰ্য্যের পরিমাণ অনুসারে, অপরটি তাছাদের বিশেষ বিশেষ থাষ্ঠের প্রতি পক্ষপাতিত৷ অনুসারে । যেসকল জন্তু অধিক পরিমাণে আহার করে এবং বিশেষ বিশেষ আহাৰ্য্যের প্রতি পক্ষপাতী, মানুষ তাহাদেরই মধ্যে । ইংলণ্ডের একজন রাজা কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে লাম্প্রে মাছ ভক্ষণ করিয়া মারা পড়েন। অামাদের দেশেও পেটুক লোকের অভাব নাই। এমনও দুষ্ট একটি লোকের নাম পাওয়া গিয়াছে যে একটি পূর্ণবয়স্ক হস্তীর দেহের সহিত তাঙ্গাদের দেছের অনুপাতে হস্তীর আহার অপেক্ষ তাহাদের আহারের পরিমাগু অনেক বেশী। এইরূপ লোককে “গ্লাটোন” ভিন্ন আর কি বল৷ যায় ? খাদ্যাখাষ্ঠের বিচার সম্বন্ধেও মানুষের দৃষ্টি বড় কম নছে । পোর্টল্যাণ্ডের একজন ডিউক ‘মুলেট” মাছের কেবল যকৃৎটুকু ( লিবার ) ভক্ষণ করিয়া বাকি অংশ ফেলিয়া দিতেন। ইছার জন্ত র্তাহাকে অর্থও বড় কম ব্যয় করিতে হইত না ! আমাদের দেশেও এইরূপ শ্রেণীর লোকের অভাব নাই । q. এই তো গেল মানুষের আচ্ছার সম্বন্ধে । এবার দেখা যাউক এবিষয়ে মানবেতর প্রাণীগুলি কিরূপ । ইছাদের মধ্যেও পেটুক অনেক আছে। অনেকগুলি খাস্তাখান্ত .বিচারে বেশ পটু। চুচা, শূকর, গ্লাটোন, ভলুক, হায়ন,