পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Jసిడి" চিড়িয়াখানার জন্ত খুব কচি কচি ও কোমল ঘাস আনা হয়। ইহার সেক্টরূপ ঘাসের শুধু অগ্রভাগটুকু ভক্ষণ করিয়া বাকি অংশ পরিত্যাগ করে । আচারের সময় জিরাফ প্রত্যেক আহার্য্যটি ধীরে ধীরে বেশ উপভোগ করিয়া আহার করে । প্রাণীতত্ত্ববিদ পণ্ডিতগণ অনুসন্ধান করিয়া দেখিয়াছেন যে আন্দাজ (Andes) পৰ্ব্বতের চামিং বার্ডের বিশেষ বিশেষ ফুলের মধু ও কীটপতঙ্গ ব্যতীত অন্ত প্রকার খাদ্য পছন্দ হয় না । এক জাতীয় হামিং বার্ড আবার অন্ত জাতীয় হামিং বার্ডের খাদ্য ভক্ষণ করে না । ডাইভিং পার্থীর (Diving bird) আহাৰ্য্য একমাত্র জ্যান্ত মাছ ; তাঙ্গারা মরা মাছ মুখেও দেয় না । করণবিল (hornbill) জাতীয় পক্ষীদের মতো এমন রাক্ষসে প্রাণী খুব অল্পই দেখা যায়। পাখী, সাপ, গিরগিটি, মাছ, কাকড়, বিছা, ফল ইত্যাদি কিছুষ্ট তাছাদের মুখের কাছে বাদ পড়ে না । স্থানভেদে জীব জন্তুদের আহার সম্বন্ধে অনেক সময় আশ্চৰ্য্য বৈচিত্র্য দেখা যায়। প্রাকৃতিক নিয়মানুসারে তোত পার্থী চিরকালই নিরামিষাশী । কিন্তু কোনো কোনো স্থানে মেষ-মাংসও তোতা পার্থীর অতিশয় প্রিয় খাদ্য হইয়া দাড়ায় । বেবুন বেচার চিরকালই ফলের ভক্ত। সেই বেবুনকেও কোনো কোনো স্থানে দুগ্ধ ভিন্ন অন্ত সমস্ত খাদ্য পরিত্যাগ করিতে দেখা যায়। কোনো কোনো স্থানের বিড়ালকে ফলের ও অশ্বকে পাখীর মাংসের অত্যন্ত ভক্ত হইতে দেখা গিয়াছে । মানুষের নিকট হইতেই ইহার এরূপ অস্বাভাবিক অভ্যাস প্রাপ্ত হইয় থাকে । কোনো কোনো শ্রেণীর প্রাণীর স্ত্রী ও পুরুষের মধ্যে আহাৰ্য্যের পার্থক্য দেখা যায় । এক শ্রেণীর পুংমশক গাছের রস পান করিয়া জীবন ধারণ করে কিন্তু স্ত্রীমশক প্রাণীদের রক্ত শোষণ করিয়া উদর পূরণ করিয়া থাকে। এক এক ঋতুতে কোন কোনো প্রাণীর কোনো বিশেষ খাদ্যদ্রব্যের প্রাচুর্য্য জন্মে। তাহারা জানে যে সেই ঋতুর অবসানেই সেই খাদ্যটির অভাব উপস্থিত হইবে । সেই জন্ত তাহার সেই সময় যত পায় পেট ভরিয়া খাইরা লয়। শেটল্যাণ্ডের (Shetland) সামুদ্রিক প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ S AASAASAASAA AAAAeSAASAASAASAASAASAASA SAASAASAASAASAAAS ** -هخام-تی [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড পার্থীরা শুধু শীতকালে মাছ থাইতে পায়, অন্ত সময়ে শস্তাদি ভক্ষণ করিয়া জীবন ধারণ করে। নাটহাচ, (Nuthatch) সমস্তটা গ্রীষ্মকাল কীট-পতঙ্গাদি ধরিয়া ভক্ষণ করে, কিন্তু শীতকালে তাহাকে কীটাদির অভাবে বাদাম ফল খাষ্টয়া প্রাণ রক্ষা করিতে কয় । কোনো কোনো বিশেষ সময়ে আবার প্রাণীদের আহারেও পরিবর্তন জন্মিতে দেখা যায়। সমস্ত বছরটাট চড়ষ্ট পাখী শস্ত থাষ্টয়া জীবন ধারণ করে কিন্তু ডিম্ব প্রসবের সময় তাহাদের সে খাদ্য আর পছন্দ হয় না । সে সময় তাহারা কীট পতঙ্গাদির ধ্বংসে প্রবৃত্ত হয়। আমাদের প্রশ্ন ছিল কোন ও জীব-জন্তু মানুষ অপেক্ষা অধিক পেটুক কি না । কিন্তু এরূপ প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসায় উপস্থিত হওয়া সহজ কথা নহে। অনেক স্থলেই তাহাদের আহারের পরিমাণ যথাযথরূপে মাপ করিয়া রাখা যায় না। কোনো কোনো প্রাণী যে এক একবারে মানুষ অপেক্ষ বেগী খায় সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই । কিন্তু তাতাদের পক্ষেও বলিবার অনেক কথা আছে । তাঙ্গাদিগকে একদিন আহারের পর যে অনেক দিন পর্য্যস্ত অনাচারে থাকিতে হয়, সে তো আছেষ্ট, তাঙ্গ ছাড়া ব্যান্ত্র প্রভৃতি হিংস্ৰ জানোয়াবদিগকে খাদ্যান্বেষণের জন্ত, হরিণাদির পিছনে পিছনে ছুটাছুটি করিয়া এবং মহিষ ও গণ্ডার প্রভৃতি বৃহৎ বৃহৎ জপ্তব সঙ্গে লড়াষ্ট করিয়া, একটু অতিরিক্ত পরিশ্রম করিতে হয় । সুতরাং এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর তাঙ্গদের ক্ষুধাটাও যে একটু অতিরিক্ত পরিমাণেষ্ট হইবে তাছাতে আশ্চর্য্য হইবার কোনো কারণ নাই। আমরা তো চোখের সম্মুখেই দেখিতে পাষ্ট, যাহারা সমস্ত দিন তাকিয়ায় ঠেসান দিয়া বসিল্প বসিয়া থায়, তাহাদের অপেক্ষ সমস্ত দিন পরিশ্রমের পর মুটে মজুরের অনেক বেশী থাইতে পারে। অন্তান্ত জীবজন্তুদের অপেক্ষ মানুষ কম খাষ্টয়া থাকে, নিৰ্ব্বিকার চিত্তে একথা বলা যায় না । মানব ও মানবেতর প্রাণীর মধ্যে কাহারা অধিক পেটুক, নিরপেক্ষভাবে বিচার করিতে পারিলে এবিষয়ে মানবের জয়লাভ করিবার সম্ভা বন আছে এরূপ তো বোধ হয় না । তেজেশ ।