পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" 이 8 উঠিয়া ভদ্রলোকটির দিকে অগ্রসর হইয়া কাতর দৃষ্টিতে বলিলেন, “মশায়, আমাকে কিছু পয়সা দেবেন—আজ সকাল থেকে আমি কিছু খাইনি।”

  • এ্যা, বল কি ! —সকাল থেকে তোমার খাওয়া হয়নি ?” বলিয়া লোকটি পকেট হইতে একটি সিকি লাহির করিয়া মিসেস পাইকের হাতে দিল । মিসেস পাইক মনে মনে বলিলেন, “আমার দরকার নেই তবু ঈশ্বর আমাকে ভিক্ষ জুটিয়ে দিলেন, কিন্তু যার প্রকৃত । দরকার তা’কে কেহ একটি পয়সাও দেয় না। বিধাতার এই রকমই নিয়ম বটে !”

লোকটি চলিয়া গেলে মিসেস পাঠক বেঞ্চের উপর বসিয়া আর একবার খুব হাসিলেন—সে হাসি মিসেস পাটকের রোগ শোক সব দূর করিয়া দিল । অনেকদিন এত হাসি তিনি হাসেন নাই । আজ যেন তার হাসির ঘরের রুদ্ধ কবাট ভাঙিয়া গেছে । মনে মনে মিসেস পাইক বলিলেন, “ঠিক, ঠিক, সখের ভিক্ষুক ! ডাক্তার বলছিল, সখের দল ব্যবসাদার দল অপেক্ষ ভাল অভিনয় করে। ঠিক কথা ! আমিও আজ ভিক্ষুক সেজে খুব ভাল অভিনয় করেiচ । সখের কি না !” সন্ধ্য। শুষ্টতে সকাল পর্য্যন্ত মিসেস পাইক কেবল ঐ কথাই ভাবিতে লাগিলেন । পরদিন প্রাতে আহার শেষ করিয়া তিনি ইচ্ছা করিয়াই পূৰ্ব্বদিনের সেই জীর্ণ মলিন পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া রাস্তায় বাহির হইয়া পড়িলেন, মনে মনে বলিলেন, “আজও লোকদের সঙ্গে একটু মজা করা যাকৃ।” পার্কে একটু বেড়াইয়া মিসেস পাইক নদী পার হইয়া ভিক্ষা করিতে আরম্ভ করিলেন । অল্পসময়ের মধ্যেই মিসেস পাইকের আটআনা রোজগার হইল । তাহার পর একটি নৌকার মাঝিকে ভদ্রলোক ঠাওরাষ্টয়া, মিসেস পাইক বলিলেন, “মশায়, আমাকে কিছু পয়সা দেবেন ? আমাকে অনেকটা হেঁটে যেতে হবে, আমি বড় ক্লান্ত হ’য়ে পড়েচি ।” লোকটি একটু কর্কশ ভাবে উত্তর করিল, “তোর श्रहे হচ্ছে ত আমার কি রে মাগী ! পরের পয়সায় গাড়ী L১০ম ভাগ,২য় খণ্ড চড়ে যাবেন! ভারি মূৰ্ত্তি কি না।” মিসেস পাইকের বড় রাগ হইল কিন্তু কি করিবেন! দ্রুতপাদবিক্ষেপে তিনি সে স্থান হইতে চলিয়া খেলেন। কিয়দর গিয়াই আবার ভিক্ষা করিতে আরম্ভ করিলেন । সেইদিন গৃহে ফিরিয়া মিসেস পাইক হিসাব করিয়া দেখিলেন তাহার দুই টাকা এক আন ভিক্ষা লাভ হইয়াছে। মনে মনে বলিলেন, “বাঃ এ ত বেশ মজার ব্যবসা !” আজ আর মিসেস পাইক তেমন করিয়া হাসিতে পারিলেন না—আজ আর হিসাবটাই তাছাকে ব্যস্ত করিয়া রাখিল । : এখন হইতে মিসেস পাইক নিয়মিতরূপে ভিক্ষাবৃত্তি আরম্ভ করিলেন। খুব কমচইলেও মিসেস পাইক প্রতিদিন একটাক উপায় করিতেন। ভিক্ষ যে নীচরুত্তি মিসেস পাইকের মাঝে মাবেষ্টিক মনে হইত কিন্তু ব্যাধি তখন বিকারে পরিণত, ঔঞ্চ প্রয়োগ বৃথা । তিনি ত আর প্রকৃত ভিক্ষুক নন—এ তাঙ্গর সখের ভিক্ষা, এই বলিয়া মিসেস পাইক তাতার মনকে প্রবোধ দিতে চেষ্টা করিতেন । মিসেস পাঠক যখন ভিক্ষ করিতেন তাচার করুণ স্বরে এম্ন একটি মর্য্যাদার ভাব মাথান থাকিত যে, চাকিলে কেহ আর তাহাকে ভিক্ষ না দিয়া থাকিতে পারিত না । কখন কখন প্রকৃত ভিক্ষুকের মত, পয়সা কিংবা অন্তকিছু ভিক্ষ পাইলে মসেস পাইক অতি মিহিস্বরে বলিতেন, “বাবা, ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।” বলিয়াই তাহার বড় হাসি পাই –অতি কষ্টে হাসি চাপিয়া রাখিতেন। যদি তাহার ভণ্ডশ্লম জানিতে পারিয়া প্রকৃত ভিক্ষুকের নির্জনে পাইয়া তাহাঁকে ‘নান্তানাবু কুরে এই আশঙ্কায় মিসেস পাইক তাহার সথের ভিক্ষা অতি সাবধানে করিতেন । পুলিশের থেকে ০ নে অতস্ত ভয় ছিল—যদি কেহ তাহার ਫਿਖੇ করা দেখিতে পায় । তাহা হইলেই বিপদ ! - g মিসেস পাইক লোকচক্ষুৰ অস্তুংগ প্রতিনি এমন যে : ७कद्वि शूनाज्ञ श्रडिनब्र कशिग्न शाहेहर** **iट७ ॐाशब्र আত্মপ্রসাদের আর অবধি ছিল না,-"নিজের চিন্ত্র তাহার সৰ্ব্বশরীরে ফুটিয়া উঠিয়াছিল । §