পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] পাইবে। বস্তুর পরিমাণ (mass) এবং সেই হেতু FJfRfTÉT TA FTAT (third power of the radius) উপর আকর্ষণ নির্ভর করে। অন্য দিকে পৃষ্ঠতলের 45for al āstāftās of (second power of the radius) উপর বিপরীত শক্তি নির্ভর করে। এই কণাটি যতই ছোট হইবে ততই বিপরীত শক্তিটি বেশী অনুভূত হইবে। এমন কি কণার ব্যাসাৰ্দ্ধ o"o • ০১ মিলিমিটর হইতে ছোট হইলে বিপরীত শক্তি প্রবলতর হইয়া কণাটিকে স্বৰ্য্য হইতে দূরে নিক্ষেপও করিতে পারে। এই কারণেই পুচ্ছের ঐরূপ বিস্তার হইয় পড়ে— কণা আকারে যত বড় তত স্বৰ্য্যের সম্মুখীন থাকিতে পারে এবং যত ছোট তত দূরে যাইয় পড়ে। শ্ৰীনগেন্দ্রচন্দ্র নাগ । আরংজীবের সৌভাগ্যের সূত্রপাত ( মডান রিভিয়ু হইতে ) আরংজীব যখন মাত্র চৌদ্দ বৎসরের বালক, তখনই তিনি যে অসাধারণ বীরত্ব, সাঙ্গস, ধৈর্য্য, অকুতোভয়ত ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের পরিচয় দিয়াছিলেন তাহাতেই জানা গিয়াছিল যে র্তাহার চরিত্র কেমন ধাতুতে গঠিত। সেই বয়সেই র্তাহার নাম ও খ্যাতি সারা ভারতবর্ষময় পরিব্যাপ্ত হইয়া মুখে মুখে কীৰ্ত্তিত হইয়াছিল। ১৬৩৩ খৃষ্টাব্দের ২৮শে মে তারিখের প্রাতঃকালে সম্রাট শাজাহঁ তাতীর লড়াই দেখিতেছিলেন। সুধাকর ও স্বরতম্বন্দর নামক দুইটি মত্ত হস্তী যমুনার তীরে লড়াই করিতেছিল । সম্রাট আগ্র প্রাসাদের বারান্দা হইতে দেখিতেছিলেন। তিন জন শাহজাদা অশ্বপৃষ্ঠে লড়াইক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন । আরংজীব ভালো করিয়া লড়াই দেখিবার অভিপ্রায়ে অগ্রসর হইতে হইতে একেবারে হাতীর সন্নিকটে গিয়া উপস্থিত হইলেন। হাতী দুটা গুড়ে গুড়ে জড়াজড়ি করিয়া টানাটানি করিতেছিল। হঠাৎ ছাড়া পাইয়া স্বরতমুন্দর পলায়ন করিল। সুধাকর ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিয়াছিল। সে প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাবে বিকট শব্দ করিয়া নিকটস্থ শাহজাদাকেই আক্রমণ করিল। সংকলন ও সমালোচন—আরংজীবের সৌভাগ্যের সূত্রপাত Ο δ আরংজীবের বয়স তখন সবে চৌদ্দ বৎসর। সেই সঞ্চরমান পৰ্ব্বতের দ্বারা আক্রান্ত হইয়া তিনি কিঞ্চিম্মাত্রও বিচলিত হইলেন না । ঘোড়া না ভড়কায় এরূপ সতর্কতার সহিত তিনি নিজের জায়গাতেই স্থির হইয়া রছিলেন এবং নিজের বল্লম ফেলিয়া হাতীর মাথায় আঘাত করিলেন । হাতী আরো ক্রুদ্ধ হইয়া ছুটিয়া আসিল এবং দাত দিয়া তাহার ঘোড়াকে তুলিয়া ফেলিয়া দিল । ঘোড়া পড়িতে না পড়িতে আরংজীব লাফাইয়া পড়িলেন এবং তরবারি খুলিয়া হস্তীর সন্মুখীন হইলেন। ততক্ষণে চারিদিকে হুলুস্থল লাগিয়া গিয়াছে—চারিদিকে চেচামেচি, ছুটাছুটি ; সকলের মুখেই ভয়ের কালিমা । দর্শকগণ পলায়ন করিতে গিয়া আরো গোল পাকাইয়া তুলিল, কে কোন দিকে পলাইবে ঠিক পায় না । ঠেলাঠেলি, হুড়াহুড়ি, গড়াগড়ি লাগিয়া গেল । আমীর ওমরাহ ও ভৃত্যগণ আর্তনাদ করিয়া শাহজাদার সাহায্যের জন্ত ছুটাছুটি করিতেছিল । কিন্তু সকলের চীৎকার হাতীকে আরো ক্ষেপাইয়া তুলিতেছিল। আতসবাজি ছাড়িয়া হাতীকে ভয় দেখাইবার চেষ্টা নিষ্ফল হইয়া গেল । হাতীর সহিত আরংজীবের অসম যুদ্ধ সাংঘাতিক হইত যদি আর একজন সাহসী শাহজাদ সাহায্য না করিতেন । স্বজ ভিড় ও আতসবাজির ধোয়া ভেদ করিয়া অগ্রসর হইলেন এবং ঘোড়া ছুটাইয়া গিয়া হাতীকে বর্ষা দিয়া বিদ্ধ করিলেন । কিন্তু তাহার ঘোড়া ভড়কাইয়া পিছন পায়ে খাড়া হইয়া উঠিল এবং সুজা পড়িয়া গেলেন। এই সময়ে রাজা জয়সিংহও এক হাতে তাহার ভৗত অশ্বকে কোনোমতে চালনা করিয়া আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং হাতীকে আঘাত করিলেন । সম্রাটও ততক্ষণে নিজের রক্ষিগণকে সাহায্যের জন্ত প্রেরণ করিয়াছিলেন । এই সময়ে এক অপ্রত্যাশিত ব্যাপারে শাহজাদার প্রাণ রক্ষা হইল। পলাতক স্বরতম্বন্দর পুনরায় লড়াই করিবার ইচ্ছায় ফিরিয়া আসিয়া সুধাকরকে অীক্ৰমণ করিল। কিন্তু সুধাকর বর্ষার আধাতে ও আতসবাজির বিভীষিকায় দমিয়া আসিয়াছিল। বিশ্রান্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সহিত শ্রান্ত সুধাকর সংগ্রামের আগ্রহ প্রকাশ না করিয়া