পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ যৌগিক পদার্থটিকে পরীক্ষা করিলে তাহাকে ঠিকৃ কেরোসিনের দ্যায়ই দেখা যায়। বাৎলো সাহেব এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে নুতন তৈল প্রস্তুত করিয়া কেরোসিনের সহিত তাহার তুলনা করিয়াছিলেন। অবিশুদ্ধ আকরিক কেরোসিনের সহিত জিনিসটার কোনষ্ট পার্থক্য দেখা যায় নাই । জগদ্বিখ্যাত রুস পণ্ডিত মেণ্ডেলিফ (Meedeleeff) সাহেবও কেরোসিনের উৎপত্তি নির্ণয়ের জন্ত কিছুদিন গবেষণা করিয়াছিলেন । ইহার মীমাংসার জন্ত গত ১৮৭৬ সালে তিনি স্বয়ং পেনসিলভানিয়া অঞ্চলে কেরোসিনের খনি পরিদর্শন করিবার জন্ত যাত্রা করিয়াছিলেন । সেখানে কয়েক মাস পরীক্ষায় নিযুক্ত থাকিয়া যাঙ্গ জানা গিয়াছিল, তাহাতে ইনিও কেরোসিনকে জীবমূলক পদার্থ বলিতে পারেন নাই। ইগর মতে, অঙ্গার ও লৌহ ইত্যাদি ধাতুঘটিত যৌগিক পদার্থগুলিই কেরোসিনের উৎপাদক। এগুলি ভূগর্ভের গভীরতম অংশে অত্যন্ত উষ্ণ অবস্থায় থাকে। কোন গতিকে ইহাদের গায়ে জল লাগিলে, জলের হাইড্রোজেন্‌ ধাতুমিশ্রিত অঙ্গারকে টানিয়া লইয়া কেরোসিনের উৎপত্তি করে এবং অবশিষ্ট অক্সিজেন্ট ধাতুর সহিত মিলিয়া থাকিয়া যায়। এই প্রকারে যখন কেরোসিন উৎপন্ন হয়, তখন তাহা সেই অত্যুষ্ণ স্থানে কথনই তরলাকারে থাকিতে পারে না। খুব সম্ভবতঃ বাষ্পাকারেক্ট তাঙ্গাকে জন্মগ্রহণ করিতে হয়। তার পর সেই বাষ্প ভূগর্ভের নিম্নস্তর হইতে ক্রমে উপরের শীতল স্তরে উঠিয়া জমাট বাধিলেই, তাত কেরোসিন হইয় দাড়ায় । গভীর প্রাকৃতিকতত্ত্ব সম্বন্ধীয় কোন সিদ্ধাস্তকেই চরম সিদ্ধান্ত বলা যায় না । আধুনিক রসায়নবিদগণের যাতার নেতা ছিলেন, এবং র্যাহাদের জীবনব্যাপী দীর্ঘ সাধনার ফলে রসায়নশাস্ত্র এত সমৃদ্ধিশালী হইয়াছে, কেরোসিনের উৎপত্তি সম্বন্ধীয় নবসিদ্ধান্তটি তাঙ্গদেরই গবেষণালব্ধ ফল। সুতরাং ইহাকে এখন মানিয়া চলাই সঙ্গত মনে হয়। শ্ৰীজগদানন্দ রায় । | ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড সপের আত্মহত্য How a snake commits suicide. By a Mining Engineer of Arizona. কিছুদিন পূৰ্ব্বে নিউ মেকসিকোর (New Mexico) অন্তর্গত স্তান এনডিস (San Andreas) পৰ্ব্বতের সংলগ্ন কয়েকট খনি পরীক্ষা করিবার সুযোগ আমার ঘটিয়াছিল । গন্তব্য স্তানে পৌছিতে আমাকে বাধ্য হইয়া সকোরো মরুভূমি (Socorro Desert) ostā হইতে হইয়াছিল । এই সুবিস্তৃত মরুভূমিট প্রায় ৬০ মাইল প্রশস্ত এবং ভয়াবহ পাৰ্ব্বতীয় সৰ্পগণ সৰ্ব্বদাই এষ্টস্তানে নিঃশঙ্কচিত্তে পথিকদিগের ভীতি উৎপাদন করিয়া স্বেচ্ছামত বিচবণ করিতেছে । আমার একমাত্র সঙ্গী আমার পরিচালক ‘রেটেল’ সপ সম্বন্ধে বন্ড গল্পের অবতারণা কবিয়া আমার কৰ্ম্মক্লান্ত এবং অশান্তিপূর্ণ ঘণ্টাগুলি বেশ একরকম কাটাইয়া দিতেছিল । আমি তন্দ্রাবিজড়িত অলস নয়নপল্লব ঈষদুষ্মীলিত করিয়া আমার অস্তিত্ব সম্বন্ধে তাঙ্গার সন্দেহ ভঞ্জন করিতেছিলাম । তন্মধ্যে একটা গল্পে আমার অতিমাত্র বিস্ময় উৎপাদন করিল। আমি একটু সজাগ হইয়া তাঙ্গ মনোযোগপুৰ্ব্বক শ্রবণ করিয়া ফেলিলাম । - পরিচালক বলিল যে "রেটেল” (Rattle) সৰ্প যখন অতিমাত্রায় ক্রুদ্ধ হয় তখন তাতারা আত্মহত্যা করিয়া থাকে। তাহারা দস্ত দ্বারা পৃষ্ঠদেশ ছিড়িয়া ফেলে এবং ক্ষতস্থানে মুথ প্রবেশ করাষ্টয়া তীব্র বিষধারা ঢালিয়া দেয়। এইরূপে অল্পক্ষণ মধ্যেই সর্প টাঁর মৃত্যু ঘটে আমি এই গল্পটার সত্যতা সম্বন্ধে পরীক্ষা করিবার নিমিত্ত অত্যন্ত উৎসুক হইয় পড়িলাম। সুখের বিষয় এই যে এইরূপ ঘটনা প্রত্যক্ষ করিবার সুযোগ পাইতেও আমার কিছুমাত্র কষ্ট পাইতে হইল না। অনতিবিলম্বেই আমরা একটা ফঁাদের (Trap) নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখিলাম একটা প্রকাও হীরকখৃষ্ঠ র্যাটেল (Rattle) সৰ্প ভীষণ গর্জন করিতে করিতে সংগ্রামলালসায় ঘন ঘন ফঁাদের রজ্জতে দংশন করিতেছে। শ্রমকন্তু হইয়া সপট মাথা উপর দিকে করিয়া ঘন ঘন