পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা | নিশ্বাস ফেলিতেছিল, ইহাতে তাহার হৃদপিণ্ডের প্রসারণ কয়েক ফুট পৰ্য্যন্ত বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল । আমরা তাবুর একটা খুটা খুলিয়া কয়েক মিনিট সাপটকে অতিরিক্ত মাত্রায় খোচাইতে লাগিলাম, প্রতি মুহূর্তেই সাপটা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইতে লাগিল। অবশেষে ইখন সে দেখিল যে তাঙ্গর সমস্ত দংশনচেষ্টা ব্যর্থ হইতেছে, তখন আমার চালকের বর্ণিত ঘটনার দ্যায় সাপটা নিজের তীক্ষ্ণ দন্ত দ্বারা পৃষ্ঠদেশ ( মেরুদণ্ডের নিকট ) ছিড়িয়া ফেলিল এবং ক্ষতস্থানে মুখ প্রবেশ করাষ্টয় দিল । দেখিতে দেখিতে ১০ মিনিটের মধ্যেই সাপটা মরিয়া গেল, যদিও সপের আত্মহত্যা সম্বন্ধে আমার আর বিন্দুমাত্রও সন্দেহ ছিল না তথাপি আমার একটা সন্দিগ্ধ বন্ধুর সন্দেহ ভঞ্জনের নিমিত্ত এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেই আরগেন (Organ mountain) of strē Nfq arti H* #fsi এইরূপ পরীক্ষা করিয়াছিলাম । আমার গুহভিত্তিতে যে সপচৰ্ম্মখানা য়াছে তাঙ্গ দৈর্ঘ্যে ৫ ফুটের ও উপর হইবে । আমেরিকার সর্ব প্রকার সপের মধ্যে হীরকপৃষ্ঠ রেটেল (Rattle) সৰ্প ক আ ত্যন্ত ভয়ানক এবং তীব্রবিষধর । ইহার দৈর্ঘ্যে ৮ ফুট পৰ্য্যস্ত হইয়া থাকে । শ্ৰীমুরেন্দ্রনাথ মাইতি । ঝুলান রক্তি ভাষাশিক্ষা জগতের বিভিন্ন পদার্থ মানবচিত্তের উপর কার্যা করিয়া এক একটা ভাব ও চিন্তার স্বষ্টি করে। এই পদার্থসমূহ মানবের চিন্তার বিষয়। প্রাকৃতিক জগতের বিবিধ শ্রাব্য ও দৃপ্ত বস্তুর সংস্পর্শে আসিয়া মানব জল,স্থল ও নভোমণ্ডলের বিভিন্ন পদার্থের চিন্তা করে । এইরূপে সমস্ত স্থলবিশ্ব তাহার ভাবরাজ্যের আয়ত্ত হইয় পড়ে। সেক্টরূপ মানবের সমাজ, রাষ্ট্র, বৈষয়িক প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি মানববিষয়ক যাবতীয় পদার্থই এক একটী চিন্তার উদ্রেক করে। ইহাদের সংস্পর্শে আসিলে মনে এক একটী ভাবের উদয় হয়। মানবীয় ও প্রাকৃতিক উভয়বিধ জগতের সকল প্রকার তথ্য ও ঘটনা ব্যতীত মানব চিন্তা করিতে পারে না । মানবচিত্ত ভাষাশিক্ষা අ ව. ইহাদের দ্বারা আন্দোলিত হইয়া ইহাদেরই দ্বারা পূর্ণ হয়। ইহারাষ্ট ভাব ও ধারণার কারণ, ইহারাই ভাব ও ধারণার বিষয় । ভাব ও ধারণার বিষয়ীভূত বিশ্বের বিবিধ পদার্থ যখন চিত্তকে আঘাত করে তখন মানবের নিকট ইঙ্গাদের প্রকৃতি ও স্বরূপ প্রতীয়মান চয়, মানব ইহাদের পরিচয় প্রাপ্ত হয় । যখন কোন বিষয়ে চিন্তা করা যায় বা পৃথিবীর কোন পদার্থ যখন মনোরাজ্যের অন্তর্গত হয় তখন ইঙ্গদের ধৰ্ম্ম ও গুণগুলি ধরা পড়ে ; ইহার লক্ষণবিশিষ্ট হইয়া সীমাবদ্ধ ও নির্দিষ্ট হয় । এইরূপে গুণ ও ধৰ্ম্মের পরিচয় পাইয়৷ ইহাদিগকে বিশিষ্ট করা ভাব ও চিন্তার কার্য্য। পরিচয় প্রদান, স্বরূপের উপলব্ধি, ধৰ্ম্ম প্রকাশ এবং গুণের আরোপষ্ট ভাব ও চিন্তার প্রাণ। বৃক্ষ, পৰ্ব্বত প্রভৃতি জড় পদার্থ যখন চিস্তার বিষয় হয়, তখন ইহাদের স্থিতি পরিমাণ প্রয়োজনীয়তা প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান জন্মে। অন্তান্ত বৃক্ষাদির সহিত তুলনা সাধন করিয়া, অথবা নিজের সহিত সম্বন্ধ স্থাপন করিয়া অথবা বিশ্বের অন্তান্ত পদার্থের সহিত সংযোগ বিধান করিয়া মানব ইহাদিগকে বিশিষ্ট লক্ষণাক্রান্তু করিয়া তোলে। সেইরূপ সমাজেব বিবিধ কাৰ্য্যকলাপ সম্বন্ধে চিন্তার দ্বার। ইতাদের পৰুম্পরের তুলনা সাধিত হয়, এবং সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত হয় । ইহার ফলে সমাজের বিভিন্ন পদার্থগুলির পরিচয় স্থির ও নির্দিষ্ট হইয়া যায়। মানবের এমন কোন ভাবনা বা চিন্ত হয় না যাঙ্গার দ্বারা কোন না কোনও বিষয়ের গুণ বা ধৰ্ম্ম প্রকাশিত হয় না। তুলনা না করিয়া, সম্বন্ধ স্থাপন না করিয়া, লক্ষণ নির্ণয় না করিয়া, ধৰ্ম্মবিশিষ্ট না করিয়া, কোন ধারণাকার্য্য সমাধা হইতে পারে না । ভাৰ ও চিন্তার প্রকৃতিই এইরূপ যে ইহাদের বিষয়ীভূত মানবীয় ও প্রাকৃতিক বিশ্ব, সংযোগ তুলনা প্রভৃতির দ্বারা বিভিন্ন লক্ষণাক্রান্ত ও গুণবিশিষ্ট হয় । বিভিন্ন মানবের চিন্তাপ্রণালী ও জ্ঞান বৃদ্ধির পারম্পর্য্য ও পর্য্যায়গুলি আলোচনা করিলে দেখা যায় যে মানবের চিন্তাপদ্ধতির কতকগুলি সাধারণ নিয়ম আছে। প্রথমতঃ, এক সময় দুইটী বস্তু চিত্তের উপর কার্য্য করিতে পারে না । সুতরাং মানব একেবারে বিশ্বের সর্ববিধ পদার্থক্ট চিন্তার আয়ত্ত করিতে পারে না, সে এক সঙ্গে একই আয়াসে