পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

رنسزا জয়দেবের মত কবি-চণ্ডীদাসের মত কবি—যাকাদের ভগবfচ্চস্তার পবিত্র-ধার স্বর্গের সুবর্ণ-দ্বার স্পর্শ করিয়া জগৎকে স্তম্ভিত করিয়াছে—যাঙ্গদের কীৰ্ত্তি, র্যাহীদের কবিত্ব, নিম্নতলে জগতাতলের উদ্ধে, বহু উদ্ধে—মূৰ্ত্তিমস্ত বিরাট ও বিশাল আকার ধারণ করিয়া জগতের ধাৰ্ম্মিক, প্রেমিক ও সাহিত্যিকগণের সমন্ত্রম লুব্ধ-দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছে— তাছারা কখনই একক জন্মগ্রহণ করেন নাই—করিতেও পারেন না । তাহাদের চ দিকে—উত্তরে ও ভবিষ্যতে, পূৰ্ব্বে ও পশ্চাতে—অগণিত কবি জন্মগ্রহণ করিয়া সমুচ্চ ক্ষেত্রতল সৃষ্টি করিয়াছেন- তদুপরি আবার কত কবি, স্থায়ী কীৰ্ত্তিলাভ করিয়া শিখরমালার সৃষ্টি করিয়াছেন— যুগের পর যুগ, এইরূপে কতকাল স্বষ্টি-কার্য্যের পর, আমরা অভ্ৰভেদী যশ:স্তম্ভের অধিকারী জয়দেব ও চণ্ডীদাস প্রভৃতি কবির সাক্ষাৎকার লাভ করিয়া ধন্ত হইয়াছি । কিন্তু এইসকল অজ্ঞাতনামা কবিবৃন্দের পরিচয় বা র্তাহীদের জীবন-ব্যাপী কঠোর সাধনার ফল অমূল্য রত্নরাজি বিবিধ গ্রন্থমালার বিষয় আমরা কিছুষ্ট অবগত নহি । সম্প্রতি, এইসকল লুপ্ত রত্নোদ্ধারের প্রচেষ্টা জাগিয়া উঠিয়াছে---ইহারই ফলে আমরা অদ্য একজন অপ্রকাশিতনাম গ্রন্থকার ও তাহার গ্রন্থের পরিচয় প্রদানে সমর্থ হইলাম । আমাদের প্রস্তাবোল্লিখিত “ভবানীমঙ্গল” নামক স্ববৃহৎ কাব্যগ্রন্থখানির সংবাদ, সৰ্ব্বপ্রথম চতুর্দশবর্ষ পূৰ্ব্বে ১৩০৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যা “পরিষৎ পত্রিকায়”, অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, এম, এ, মহোদয় কর্তৃক, পাকুড়রাজ পৃথুচন্দ্র-বিরচিত "গৌরী-মঙ্গল” কাব্যের পরিচয়প্রসঙ্গে প্রকাশিত হয় । এই ‘গৌরীমঙ্গল’ নামক অপ্রকাশিত কাব্যে স্থানবিশেষে বিবিধ কাব্য ও তৎসমুদয়ের রচয়িতাগণের পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে, তাহার মধ্যে একস্থানে লিথিত আছে— গঙ্গানারায়ণ ব্লচে ভবানীমঙ্গল । কিৰীটমঙ্গল আদি হইল সকল। এই দুই ছত্র পাঠ করিয়া বঙ্গীয় সাহিত্যসেবিগণ, গঙ্গানারায়ণ-বিরচিত “ভবানীমঙ্গল” গ্রন্থের পরিচয় প্রাপ্ত হন । ইহার পর শ্রদ্ধেয় মুহৃদ খ্রীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয় প্রবাসী—ক | ৰ্ত্তিক, هنر (نک فد ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড র্তাহার “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” নামক সুবিখ্যাত গ্রন্থের ভূমিকায় ত্ৰিবেদী মহাশয়ের প্রবন্ধের অংশমাত্র উদ্ধৃত করিয়। গঙ্গানারায়ণ-রচিত “ভবানীমঙ্গলের” নাম, কালের করাল গ্রাস হইতে রক্ষা করিবার প্রয়াস পাষ্টয়াছেন। এই দীনতম লেখককেও তাহার “সাহিত্য-সেবক” নামক চরিতাভিধান গ্রন্থে, এষ্ট গঙ্গানারায়ণ-বিরচিত “ভবানীমঙ্গল” গ্রন্থের উল্লেথমাত্র করিয়া নিরস্ত কষ্টতে হইয়াছে। “ভবানীমঙ্গল” পুথির উদ্ধারকর্তা, বীরভূম সাহিত্যপরিষদের অকৃত্রিম বন্ধু গণপুর-নিবাসী শ্ৰীযুক্ত শচীপতি চট্টোপাধ্যায় মহাশয় আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতার পাত্র। শুদ্ধ আমাদের কেন, তিনি সমগ্র সাহিত্যসেবিগণের স্বতঃউচ্ছসিত রূতজ্ঞতা অর্জন করিতে সমর্থ হইয়াছেন। গঙ্গানারায়ণেৰ বংশধর বীরভূম রামপুরহাটের উকীল শ্ৰীযুক্ত জ্ঞানদাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মহাশয়, গঙ্গানারায়ণের জীবনীসংগ্রহে যথেষ্ট সহায়তা করিয়াছেন, তজ্জন্ত র্তাহার নিকট আমরা চিরঞ্চণী রছিলাম। এখন আমরা “ভবানীমঙ্গল”-রচয়িতা কবি গঙ্গানারায়ণের পরিচয় প্রদানের চেষ্টা করিব । কবি গঙ্গানারায়ণ র্তাহার গ্রন্থমধ্যে ভণিত-প্রসঙ্গে নানাস্থানে বিক্ষিপ্তভাবে এইরূপ পরিচয় প্রদান করিয়াছেন— (১) সুষেণ-জগদানন্দ গঙ্গানন্দ আর । ফুলির কুলের চূড়া বিদিত সংসার । সুষেণ সস্তুতি দ্বিজ গঙ্গানারায়ণ । ভবানী মঙ্গল গান করিল রচন ॥ (২) ফুলিয়া কুলের মণি সুষেণ পণ্ডিত গণি ক্রমে কহি সঙ্কতির নাম । শিবাচার্য গোপেশ্বর ৰিশ্বেশ্বর তারপর জনাৰ্দ্দন-সুত রামরাম ৷ নিবাস ম্যাটারী গ্রাম পিতামহ রামরাম তিতুরাম তাতার নন্দন। তার কুত রাম নিজ গঙ্গানারায়ণ দ্বিজ উমাগীত করিল রচন ॥ (৩) ফুলিয়া কুলের মণি সকল সভাতে জিনি তিতুরাম মুখুৰ্য্যা সৎকৃতি । তার স্বত রাম নিজ গঙ্গানারায়ণ দ্বিজ বিরচিল ভাবি ভগবতী । ইহা হইতে আমরা গঙ্গানারায়ণের উৰ্দ্ধতন ছয় পুরুষের নাম প্রাপ্ত হইতেছি । এইস্থানে আমরা কবি গঙ্গানারায়ণের একটি বিস্তৃত বংশতালিকা প্রদান করিলাম—