পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পত্তি, গৃহ প্রভৃতি দুান করিতে লাগিলেন। পরবর্তী যুগে চতুর্দশ বৎসর হইতে অষ্টাদশ বৎসর বয়ঃক্রম কাল পৰ্য্যন্ত যে চারি বৎসর ছাত্রের ভ্রমণকারী সোফিষ্টদিগের নিকট কাটাইত এখন সেই সময়ে এইসকল নবপ্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করিতে লাগিল। বিদ্যালয়সমূহ স্থায়ী হইয়া বড় বড় পণ্ডিতদিগকে কেন্দ্র করিয়া সহকারী শিক্ষক, ও গবেষণেচ্ছু উন্নত ছাত্রসমূহের সমবায়ের সুবিধা করিয়া দিয়াছিল। এথেন্স প্রকৃত প্রস্তাবে বিশ্বের বিদ্যালয় হইয়া তৎকালীন চিন্তাজগতের রাজধানী হইয়াছিল। শ্ৰীবিনয়কুমার সরকার, অধ্যাপক, বেঙ্গল হাশঙ্গাল কলেজ, কলিকাতা । সফলতা । জোড় করে উদ্ধ নেত্ৰে চাহি বারম্বার দেহ দেহ শক্তি এবে মুক্তি লভিবার । পুঞ্জীভূত হলে শক্তি অন্তর-গুহায় । চৌদিকে তাহার তেজ আপনি ছড়ায় । জ্ঞান কৰ্ম্ম স্বাধীনতা সকলি সুলভ মুক্ত-তেজ হৃদি মাঝে হইলে উদ্ভব । অন্তর উজ্জ্বল যার মুক্ত দীপালোকে ধন্ত সেই নর-শ্রেষ্ঠ এই নরলোকে ; কৰ্ম্মমুক্ত জ্ঞানদীপ্ত হৃদি তৃপ্ত তার মঙ্গলে সমাপ্ত তিনি-লঘু সৰ্ব্ব ভার, ধৈৰ্য্য বীৰ্য্য শক্তি শান্তি তাহাতে উদয়, জন্ম মৃত্যু সব তার সফলতাময়। মানব-জন্মের এই পরম বৈভব কৃতাঞ্জলি হয়ে আজি মাগিছে মানব । শ্ৰীহেমলতা দেবী । প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ । MSMMSMMSMMSMSMSM SMSMSMSMSASAM MMMMMS { ১০ম ভাগ । জ্যোতির্ষিক যৎকিঞ্চিৎ ৷ হ্যালির ধূমকেতু । আগামী ৫ই জ্যৈষ্ঠ ( ১৯শে মে ) তারিখে যখন আমাদের পৃথিবী হালির ধূমকেতুর পুচ্ছের ভিতর প্রবেশ করিয়া চলিতে আরম্ভ করিবে, সে সময় আমাদের বায়ুমণ্ডল ও স্বৰ্য্যকে ভাল করিয়া পরীক্ষা করিতে পারিলে, ধূমকেতুর আকার প্রকার ও গঠনোপাদান সম্বন্ধে অনেক নুতন কথা জানিবার সম্ভাবনা আছে। সুপ্রসিদ্ধ জ্যোতিষী ডাক্তার এলেন সাহেব বলিতেছেন, ধূমকেতুর পুচ্ছ দ্বারা আমাদের বায়ুমণ্ডল একবার আচ্ছন্ন হইয়া পড়িলে, সমগ্ৰ পুচ্ছটাকে > || ধূমকেতু ফিরিয়া লইয়া যাইতে পারিবে না। উহার অতি- , লঘু কণাগুলি কিছুদিন ধরিয়া নিশ্চয়ই বায়ুমণ্ডলে ভাসিয়৷ বেড়াইবে । অধ্যাপক টনার সম্প্রতি রয়াল সোসাইটির এক অধিবেশনে হালির ধূমকেতুর যে আলোচনা করিয়াছেন, তাহাতে ইনিও ঐ কথার উল্লেখ করিয়াছেন। উভয়েই বলিতেছেন, ৫ই জ্যৈষ্ঠ হইতে আরম্ভ করিয়া তিন চারি দিন আমরা যদি বড় বড় পাত্রে আকাশের বায়ু আবদ্ধ করিয়া রাথিতে পারি, তবে হয়ত বিশেষ পরীক্ষায় উহাতে ধুমকেতুর পুচ্ছের অতি স্থঙ্ক কণাগুলিকে আমরা সুস্পষ্ট দেখিতে পাইব । স্বঙ্গ শৃঙ্গ ছিদ্রযুক্ত পদার্থের ভিতর দিয়া পঙ্কিল জল টানিয়া লইলে জলের মল মাটি ঐ সকল স্বক্ষ ছিদ্রে আটকাষ্টয়া যায়। এই উপায়েই ত সাধারণত: জল ফিলটার করা হইয়া থাকে। ডাক্তার এলেন বলিতেছেন, ১৯শে মে তারিখ হইতে কয়েক দিন যদি কেহ সহর হইতে দূরে কোন স্থানে গিয়া, তথাকার নিৰ্ম্মল বায়ুকে কোন প্রকারে ফিলটার করিতে থাকেন, তাহা হইলেও হয় ত ধূমকেতুর পুচ্ছের কণাগুলিকে সংগ্রহ করা যাইতে পারিবে । এগুলি আকারে অতি ক্ষুদ্র এবং ওজনেও অত্যন্ত লঘু, সুতরাং আমাদের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ লাভ করিলেই তাহার গুরু পদার্থের স্থায় ভূপৃষ্ঠে আসিয়া পড়িবে না। ধীরে ধীরে থিতাষ্টয়া ভূসংলগ্ন বায়ুতে আসিয়া পৌছিতে হয় ত সপ্তাহাধিক কালও লাগিতে পারে । o - ২যু সংখ্যা । ] எக ১৮৩৫ সালে হালির ধূমকেতুর যথন শেষ छेझ# হইয়াছিল, তখন তাঙ্গাকে খুব বৃহৎ আকারে দীর্ঘকাল দেখা যায় নাই। ১৭৫৯ খৃঃ অব্দের উদয়ে যখন হ্যালির গণনার পরীক্ষ হইয়াছিল, তখনও তাহার আকার বৃহৎ a নাই । ১৬৮২ সালে স্বয়ং হালি যখন ইহার আবিষ্কার করিয়া কক্ষ নির্ণয় করেন, সে সময়েও যে ধূমকেতুটি খুব বড় হইয়া উদিত হইয়াছিল, এ প্রকার কথার উল্লেথ কোন স্থানেই দেখা যায় না। এই সকল কারণে অনেকে মনে করিতেছেন, হালির ধূমকেতুকে হয় ত এ যাত্রাতেও খুব বৃহৎ আকারে দীর্ঘকাল ধরিয়া দেখা যাইবে না। “প্রবাসীর” কয়েকজন পাঠক এই প্রকারে সন্দিহান হষ্টয়া, বিশেষ সংবাদ জানিবার জন্য পত্রও লিথিয়াছিলেন। সন্দেহ করিবার কারণ যে একবারে নাই, এ কথা আমরা বলিতে পারি না। কারণ ধূমকেতুর চলাফেরা ও আকার প্রকারে এত উচ্চ খলতা আছে যে, কিছুই অসম্ভব নয়। আমাদের গ্রহ উপগ্রহাদির ন্যায় কোন জমাট পদার্থ দ্বারা গঠিত হইয়া ধূমকেতুগুলি দি কোন এক নির্দিষ্ট আকার গ্রহণ করিতে পারিত, তবে ইহার কি আকারে দেখা দিবে তাহ পূৰ্ব্বেই ঠিক করিয়া রাখা চলিত। আধুনিক জ্যোতিষিগণ যাহা বলেন তাহা হইতে বুঝা যায়, ধূমকেতু মাত্রেই ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন উল্কাপিণ্ডের দ্বারা গঠিত, এবং প্রত্যেক পিণ্ডকে ঘেরিয়া কোন এক প্রকার অঙ্গার-ঘটিত বাষ্প সৰ্ব্বদাই ঐগুলিতে সঞ্চিত রহিয়াছে। পিণ্ডগুলি কত বড় তাহা স্থির করিবার উপায় নাই, তবে সেগুলি যে খুব ঘেঁষাৰ্ঘেষি করিয়া নাই তাহ অনুমান করা যায়। যাহা হউক, এই বিশাল উল্কাস্ত,প যখন স্বর্ঘ্যের কাছাকাছি হইতে আরম্ভ করে, তখন হুর্য্যেরই টানে সেগুলি পরস্পরকে ধাক্কা দিতে আরম্ভ করে। ধাক্কা পাইলে সকল জিনিসই গরম হইয় পড়ে, এবং গরম হইলেই যাহা বাষ্প হইবার তাহা বাষ্পীভূত হইয়া বাহিরে আসিতে চায়। ধূমকেতু মাত্রেরই পুচ্ছ এই প্রকার বাপ এবং অতি স্বশ্ব উত্তাকণার দ্বারা গঠিত । আলোকের চাপ বা বিদ্যুতের বিকর্ষণে ধাক্কা পাইয়া ঐ জিনিসটা দূরে ধাবিত হইতে থাকিলেই পুচ্ছের রচনা হয়। সুতরাং দেখা যাইতেছে স্বয্যের আকর্ষণ বিকর্ষণের পরিমাণ, সৌর তেজের প্রাথর্যা ইত্যাদি জ্যোতির্ষিক যৎকিঞ্চিৎ। >సిరి নানা অনিশ্চিত ব্যাপারের উপর ধূমুকেতুর আকার প্রকার অনেকটা নির্ভর করে। কাজেই আগামী জ্যৈষ্ঠ মাসে হালির ধূমকেতুটিকে যদি খুব বৃহৎ আকারে না দেখিতে পাই, তবে বিঘ্নিত হুইবার কারণ নাই । ১৬৮২ সাল হইতে হালির ধূমকেতুকে যে তিনবার দেখা গিয়াছে, তাঙ্গার কোনটাতেই পৃথিবী ধূমকেতুর খুব নিকটবর্তী হয় নাই। গত ১৮৩৫ সালে সেটি ১৬ই নবেম্বর তারিপে হুর্য্যের নিকটতম হইয়াছিল। গত চৈত্রের প্রবাসীতে প্রকাশিত চিত্রের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেই পাঠক বুঝিবেন, সে বৎসর ধূমকেতু এই স্থানে আসিবার প্রায় এক মাস পূৰ্ব্বে পৃথিবী উহার নিকটতম হইয়াছিল । ধূমকেতু স্বৰ্য্য হইতে যত দূরে থাকে, আকর্ষণের অল্পতায় তাহার আকারও তত ক্ষুদ্র থাকিয়া যায়। স্বৰ্য্যের নিকটsa giza ( Perihelion ) *ffā# দাড়াইলেই এই শ্রেণীর জ্যোতিষ্কের সর্বাঙ্গের পূর্ণ বিকাশ হয়। কাজেই ১৮৩৫ সালে হালির ধূমকেতু যখন পূর্ণ বিকাশ লাভ করিয়াছিল, তখন পৃথিবী দূরে থাকায় কেহই উহাকে বৃহদাকারে দেখিতে পান নাই। এবার ৭ই বৈশাখ ধূমকেতু স্বৰ্য্যের নিকটতম হইয়া বেশ পুষ্টাঙ্গ হইয় রহিয়াছে, এবং পৃথিবী अडिक्लिनडे উহার নিকটবৰ্ত্তী হইতেছে। এইজন্ত মনে হইতেছে, ধূমকেতুর দর্শনে এবার কেহই হতাশ হইবেন না। ২১ বা ২২শে মে তারিখে পৃথিবী উহার খুব নিকটে আসিয়া দাড়াইবে । কাজেই ঐ মাসের শেষ সপ্তাহে অর্থাৎ ১৫ই জ্যৈষ্ঠের মধ্যে হালির ধূমকেতুকে বৃহৎ আকারে পশ্চিম গগনে দেখার খুবই সম্ভাবনা আছে। এবারে পৃথিবী ধূমকেতুর এত নিকটবর্তী হইবে যে, এই ব্যাপারে পৃথিবীর কিঞ্চিং কক্ষচুতির সম্ভাবনার কথাও কোন কোন জ্যোতিষীর মনে আসিয়াছে। জনৈক খ্যাতনামা মার্কিন জ্যোতিষী এই দুর্লভ অবসরে পৃথিবীর বিচলন নির্ণয় করিয়া ধূমকেতুর গুরুত্ব নিৰ্দ্ধারণ করিবারও আয়োজন করিতেছেন। কক্ষচুতি অবশুই ঘটবে। কিন্তু ধূমকেতু জাতীয় জ্যোতিন্ধের লঘুতার কথা মনে কৰিলে, এই স্খলন খুব ভাল যন্ত্র সাহায্যেও ধরা পড়িবে কি না সন্দেহ হয়। উদ্যোক্তারা যদি সফল হন তবে গ্ৰহগণের গতিবিধিতে এখনো যে-সকল রহস্ত রহিয়াছে,