পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ১ম সংখ্য। ] SumitaBot (আলাপ) ১৮:০৭, ২৫ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S S S S S S S S S S S S S S না-আমাদের অদৃষ্ট্রের দোষ। ষ্টেশনের কাছে আমাদের এক বন্ধু আছেন, সেখানে গিয়েই স্নানাহার করব এখন। ওরে-বেয়ারাগুলো কোথায় গেল ?” - a অতিথিগণকে থাকিবার জন্য পীড়াপীড়ি করেন, গোপীকান্তেরও মনের অবস্থা এরূপ ছিল না । তাহার কেবল মনে হইতেছিল, একবার মোহিতের নাগাল পাইলে, এম্পার কিওম্পার ঘাহা হউক একটা করিবেন। ক্রোধে তাহার কণ্ঠরোধ হইয়া আসিতেছিল। নিশ্বাস ঘন ঘন পড়িতেছিল। পান্ধী আসিলে, বাৰু দুইটি বিদায়গ্রহণ করিলেন। প্রতিবেশী ব্যক্তিগণও এই ঘটনার গল্প করিবার দুঃসহ আবেগ হৃদয়ে বহন করিয়া মৃদুমন্দ পদক্ষেপে স্ব স্ব গৃহাভিমুখে প্রস্থান করিলেন। •গোপীকান্ত তখন ক্ষুধিত ব্যান্ত্রের ন্যায়, ভ্রাতার অনুসন্ধানে ধাবিত হইলেন। --- ক্রমশ: শ্ৰীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। বিরহ কাব্য । মেঘদূত সম্বন্ধে বঙ্গদর্শনে কিছুকাল হইল একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছিলাম। আমার একজন বন্ধু বলেন ঐ প্রবন্ধে আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যার মাত্রা কিছু অধিক দেখা দিয়াছে এরূপ অভিযোগ অামার বিরুদ্ধে উপস্থিত হইয়াছে। যেখানে যে ব্যাখ্যা স্বভাবতই আসিতে পারে না, সেখানে তাহার অবতারণা দোষের, সন্দেহ নাই। আমি মেঘদূত সম্বন্ধে যে আলোচনা করিয়াছিলাম তাহাতে কষ্ট, কল্পনা যদি কিছু থাকে তবে আমাকে অপরাধী হইতেই হইবে। ভাল কাব্য মাত্রেরই একটি গুণ আছে তাহার মধ্য হইতে নানা লোক নানা ভাব গ্রহণ করিতে পারেন। সুতরাং তাহার অনেক প্রকার ব্যাখ্যা হইতে পারে এবং সবগুলিকেই সত্য বলিয়া স্বীকার করিয়া লইতে কোনে ক্ষতি নাই। বিজ্ঞান এবং তত্ত্বজ্ঞানের সহিত কাব্যের এইখানে প্রভেদ আছে। 있 বিরহ কাব্য । এই মোত কানােরমধ্যে আমি যে একটি বিশেষ রসের জাস্বাদু পাইয়াছি তাই কোনো একটি গভীর তাকে স্পর্শ করে বলিয়াই তাহাকে কাল্পনিক বলিয়া পরিহার। করিতে পারি না। - * সাধারণত কোনো কৰি কোমর বুধিয়া কাব্যের মধ্যে তত্ত্বকথা প্রকাশ করিতে স্থান না। অন্তত মেঘদূতের মধ্যে সেরূপ চেষ্টার লেশমাত্র লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু রস । যেখানে গভীর হয় সেখানে আপনিই তাহ কোনো একটি চিরন্তন তত্ত্বকে সৌন্দর্য্যের মধ্যে উদঘাটিত করিয়া দেয়তখন কেবলমাত্র সৌন্দৰ্য্য ভোগ নহে সঙ্গে সঙ্গে সেই তত্ত্বটির উজ্জল ধারণা আমাদের পক্ষে উপাদেয় হইয় উঠে। বস্তুত বিশুদ্ধ তত্ত্বই কাব্যের বিষয় নহে, তাহ রসরূপে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিলে তবেই তাহাকাব্যে স্থান পার। যখন কোনো কাব্যে সেইরূপ পরিপূর্ণতার ছবি দেখিতে পাই খন তাহার ব্যাখ্যায় একইকালে রস ও তত্ত্ব সম্মিলিত হয়, তাহাতে কোনো দোষ হয় না। o মেঘদূতে যক্ষ কেবল মাত্র তাহার প্রণয়িণীর জন্ত বিলাপ করিতেছে একথা বলিতে আমার মন লায় দেয় না। মেৰদূত যদি কেবল এইরূপ একটি সাধারণ বিরহ বর্ণনা হইত তবে তাহাকে আমি দোয় দিতাম না,-কারণ কাব্যে BBBB DDD BBB BB BBB BBBBBB BB BBBB করিতে চায়, প্রণয়ীর বিরহও কবির কবিত্বে সার্থক হইবার অপেক্ষ রাখে। কিন্তু মেঘদুত কাব্যে সাধারণ বিরহবেদনাকে অতিক্রম করিয়াও একটি বিশেষত্ব আছে। - প্রথমে দেখিতে হইবে মেঘদূতে যে ব্যক্তি বিলাপ করিতেছে ও যাহার জন্ত বিলাপ করিতেছে তাছাজের পরস্পরের অবস্থানটি কিরূপ। একজন আছে মর্ত্যের জনশূন্ত পৰ্ব্বতশিখরে, আর একজন আছে স্বর্গের ঐশ্বৰ্য্যমণ্ডিত সৌন্দর্য লোকে। পৰ্ব্বতশিখর জিনিষটাই বিচ্ছিন্নতার মূৰ্ত্তি। যে ব্যক্তি এই অভ্ৰভেদী শিখরের উপরে নির্বাসিত হইয়া আছে সে জগৎসংসারের সমস্তের সঙ্গেই বিচ্ছিন্ন হইয়াছে। এই জন্যই মেঘদূতে যে বিরহ বর্ণিত হইয়াছে তাহ কেবলমাত্র প্রণয়িণীর জন্ত প্রণয়ীর বিরহ, নহে, তাহার মধ্যে এই : বিশ্বের বিরহটি রহিয়াছে। - -