পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& - দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্বের ১৪০ গুণ থাকে। নিকটে থাকার জন্তই চন্দ্র সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহের এত সুবিধা হইয়াছে। চন্দ্রের বায়ুমণ্ডল না থাকাও তাহাকে পর্যবেক্ষণ করিয়া দেখার অনেক সুবিধা হইবার আর একটি কারণ। চন্দ্রও যদি পৃথিবীর মত বায়ুমণ্ডলে আবৃত থাকিত তাহ হইলে তাহার সম্বন্ধে এত তথ্য সংগ্রহ করা কখনই সস্তব হইত না। বায়ুতে অনেক পদার্থ ভাগে, সেইজন্য দূর হইতে বায়ুমণ্ডল অনেকস্থানি অস্বচ্ছ পদার্থের ষ্ঠায় কাজ করিয়া দৃষ্টিকে বাধা প্রদান করে। একে গে পৃথিবীর প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩১৭ SSAS SSAS SSAS SSAS SSASMSMSMSMS SS ওল রহিয়াছে, তাহার উপর যদি আবার চন্দ্রেরও --- -- - -- -- ੰ { ১০ম ভাগ । চন্দ্রপৃষ্ঠের দুই একটি প্রধান প্রধান দ্রষ্টব্য বিষয় সম্বন্ধে এখানে কিছু বলা হইল । -- শুধু চোখেই একটুকু মনোযোগ পূৰ্ব্বক দেখিলে পূর্ণিমার দিনে চন্দ্রে অনেকগুলি কালো দাগ দেখা যায়। যখন দূরবীক্ষণ প্রস্তুত হয় নাই তখন লোকে এগুলিকে জলভাগের চিহ্ন মনে করিতেন। তখনই এগুলিকে সমুদ্র আখ্যা দেওয়া হইয়াছিল । এথন জানা গিয়াছে যে চন্দ্রে আদে জল নাই, কাজেই এগুলি সমুদ্র হইতেই পারে না ; তবে এগুলি যে চন্দ্র পৃষ্ঠে গভীর গুহার চিহ্ন তাহাতে কোনো ভুল নাই। কেহ কেহ বলেন, পূৰ্ব্বে এই গহ্বর চান্দ্র এপে নাইন্স ( চিত্রের উদ্ধভাগে ) বায়ুমণ্ডল থাকিত তাহা হইলে যত বড়ই দূরবীক্ষণ প্রস্তুত হউক না জ্যোতিষীরা চন্দ্রকে যেমন তন্ন তন্ন করিয়া জানিতে পারিয়াছেন এমন কখনই পারিয়া উঠিতেন না। বহু জ্যোতিষী চন্দ্রকে লইয়া গবেষণায় নিযুক্ত ছিলেন। তাহীদের এক এক জন এরূপ পরিশ্রম করিয়াছেন যে কথায় তাঙ্গদের যথেষ্ট প্রশংসা করা যায় না। র্তাহারা চন্দ্রের এক একটি অতি ক্ষুদ্র অংশকেও অবহেলা করেন নাই। গুলি সত্য সত্যই সমুদ্র ছিল ; এখন তাহদের জল চন্দ্রের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া সেখানে অন্যান্ত পদার্থের সহিত মিশ্রিত হইয়া কোনো যৌগিক কঠিন পদার্থে পরিণত হইয়াছে। কেহ কেহ আবার এই কথার প্রতিবাদ করিয়া এই মত অভ্যন্তর ভাগ হইতে গলিত ধাতু প্রস্তরাদি বহির্গত হইয়া এই স্থানগুলিকে আচ্ছাদিত করিয়াছে, তাই এ গুলিকে কালে দেখায় । এ স্থানগুলি যে চন্দ্রপুষ্ঠের অন্ত স্থানগুলি অপেক্ষ নীচু তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। এই উপগ্রহটির উপরে জল ঢালিয়া দিলে এই স্থানগুলিই সৰ্ব্বাগ্রে পূর্ণ হইবে। একটুকু ভাল করিয়া দেখিলেই দেখা যায় যে এই দাগগুলি সব স্থানেই যে সমান বর্ণের তাহাও নহে। এলগার বলেন যে তিনি কালে স্থানগুলির মাঝে মাঝে তুই একটি উজ্জ্বল স্থান লক্ষ্য করিয়াছেন। কোন কোন স্থানে পীতাভ ও ঈষৎ সবুজ চিহ্নও দেখা গিয়াছে। ইহার কারণ নির্দেশ করিতে গিয়া অনেকে বলেন, এগুলি হয়ত চন্দ্র পৃষ্ঠে উদ্ভিদের চিহ্ন। কিন্তু চন্দ্রে যখন বায়ু নাই তথন উদ্ভিদ বলিলে আমরা যাহা বুঝি তাহ চন্দ্ৰে থাকিতে পারে ন| | - - - এই সকল কালো স্থানগুলিকে এক একটি নাম দেওয়৷ হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে যেটি সৰ্ব্বাপেক্ষা, বড় তাহার নাম ওশিয়েনাস প্রোসলেরাম (Oceanus Procella - --- -- - --- ------ ---- - --- u - -- -- - - --- - - -


প্রচার করেন যে আগ্নেয় গিরির উদগারে চঞ্জের । ੰ ১ম সংখ্যা । ] S SAASAASSAAAASSSSSSMMMMMMS MSMMSMMSMMSMMSMSMS - rum)। ইহার আয়তন প্রায় যুরোপীয় রাসিয়ার সমান। যেটিকে দেখিলে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক মনে হয় যে এগুলি এক সময় সমূদ্র ছিল, তাহার নাম মারে ক্রিসিয়াম্ (Mar, Crisium), আমরা তাঙ্গার ছবি দিলাম। ছবিটি হইতে দেশ বুঝা যাইবে, স্বষ্টির প্রাক্কালে তরঙ্গের আঘাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে সমুদ্রের তটগুলি কিরূপ বন্ধুর হইয়া গিয়াছে। আগ্নেয়গিরির উদগারে চন্দ্রে যে সকল পরিবর্তন ঘটিয়াছে সেগুলি বিশেষ উল্লেখ যোগ্য । এষ্ট আগ্নেয়গিরিসন্থল স্থানগুলিকে অনেকটা প্রাচীর বেষ্টিত স্থানের ছায় বোধ হয়। এই প্রাচীরগুলি পৰ্ব্বত ভিন্ন আর কিছুই নহে। এইরূপ একটি স্থানকে টেলেমিয়াস নাম দেওয়া হইয়াছে, এই স্থানটির আয়তন প্রায় ওয়েলসের সমান। ইহার কাহাকেও দাড় করাইয়া দিলে পৰ্ব্বতগুলি তাহার দৃষ্টিপথে | পড়িবে না, সেগুলি তাহার দৃষ্টি পরিধির অনেক নীচে মাইল দুই মাইল পর্যন্তও উঠিয়াছে। এই সকল পৰ্ব্বতের - - দেথা যায় । এইরূপ স্থানগুলির মধ্যে প্লেটো নামক স্থানটিই সৰ্ব্বপ্রথমে চন্দ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এটিকে চিনিয়া লওয়া সহজ । চন্দ্রের উত্তর ভাগে ইহা মধ্যে মাঝে মাঝে গিরিসঙ্কটের মত এক একটা ফাকও | অবস্থিত। টেলিস্কোপে দ্রষ্ঠব্য পদার্থের ছবি উল্টা ভাবে ' পাওয়া যায় ; কাজেই টেলিস্কোপে চন্দ্রের ছবির নিম্নদিক অনুসন্ধান করিলেই প্লেটােৰ সন্ধান পাওয়া যাইবে। এই স্থানটি একটি মৃবৃহৎ চান্দ্রসমুদ্রের পাশ্বে অবস্থিত। | প্লেটোর তলদেশ দৈর্ঘ্যে প্রায় ৬০ মাইল বিস্তৃত এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের আর সকল স্থান অপেক্ষা অধিক অন্ধকারাবৃত। প্লেটোক চারিদিকে পৰ্ব্বতশ্রেণী বেশ সমোচ্চ । যথন এই পৰ্ব্বতগুলির ছায় তাহাদের তলদেশে সমতল অংশের উপর পড়ে তখন তাঙ্গ বড়ই স্বন্দর দেখায়। छस्त्रभृथ्रक cनोनयी मान করাই এই ছায়াগুলির বিশেষত্ব নহে, এষ্টগুলির সাহায্যেই বৈজ্ঞানিকেরা চন্দ্রের পর্বতগুলির উচ্চতা নিরূপণ করিতে পারিয়াছেন। কোন পদার্থের ছায়া মাপিয় তাহার উচ্চতা নির্ণয় করা যাইতে সংকলন ও সমালোচন–চন্দ্র । , মধ্যভাগ অনেকট সমতল এবং এত বৃহৎ যে ইহার মধ্যস্থলে । কতক অংশ মারে ইম্‌ব্রিয়ামে - থাকিবে। কোথাও কোথাও এই পৰ্ব্বতগুলির চূড়া এক o পারে। , в হুর্যের অবস্থা র। জ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠের পর্বতগুলির ছায়া মাপিয়া ও সেই সম কোন দিকে স্বৰ্য আছে, তাহ জানিয়া লইয়া উচ্চতা নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন। ছোট - স্কোপের সাহায্যে দেখিলেও চন্দ্রপৃষ্ঠে এরূপ इहे o ছায়া দেখা যাইতে পারে। মারে ইম্ব্ৰয়াম নামক চান্দ্র-সমুদ্রের তীরে আ অত্যুচ্চ পৰ্ব্বতশ্রেণী দেখিতে পাই তাহাকে ই এপেনাইন পৰ্ব্বতশ্রেণীর নামান্তকরণে চান্দ্র-এপেন নাম দেওয়া হইয়াছে। ইহার . একটি স্থান ১৮,০০০ ফুট উচ্চ এবং এই পৰ্ব্বতশ্রেণী অন্তত: ৪০০ বিস্তৃত। ইহার শুঙ্গের সংখ্যা শত শত। এই পৰ্ব্ব প্রবেশ করিয়াছে ; જાફે স্থানে ফাট সহ - এই পৰ্ব্বত বেষ্টিত গহ্বরের ছায় স্থানগুলিকে আঃে চিহ্ন বলিয়াই সকলে অনুমান করেন অনে ভূমিকম্প ও আগ্নেয় গিরির উগার ইষ্টতেই - - ཝ་ནི་ مسیحی উৎপন্ন হইয়াছে। বৈজ্ঞানিকের বলেন । * মের এই গৱেষ্টতে যে আবেগিরির সন্ধান পাওয়া বা তা সহিত চান্দ্র-এপেনাইনসের বিশেষ সম্বন্ধ আছে। । এই স্থানে আরও একটি গহ্বর আছে তাহার নাম কোপানিকাস। এটি একটি বিশেষ উল্লেখ যোগ্য স্থান; আগ্নেয়গিরি হইতেই নাকি এরূপ ठ्ठेग्नाटक्क একব - উদগারের পর কোন আগ্নেয়গিরি কিছুকাল श् िडग्नःि । থাকিলে অভ্যন্তর ভাগ চাইতে বহির্গত গলিত ধাতু প্রস্তৱাদি বাহিরে জমিয়া কঠিন হইয়া যাওয়াই সম্ভব; পরবর্তী উগারে পুরাতন স্তরের উপর আবও একটি স্তর জমিয়া একটি থাক সৃষ্টি করিতে পারে। এইরূপ আরও কয়েকবার ঘটিলে পৰ্ব্বত গাত্র সোপান শ্রেণীর ন্যায় হইবে । অনেকের মতে - চন্দ্রপৃষ্ঠে এইরূপ ঘটিয়াছে বলিয়াই কোপার্নিকাসে পৰ্ব্বত গাত্র এইরূপ বোধ হয়। -