পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - - - - - - - - - -


কতকগুলি উজ্জ্বল রেখা দেখিতে পাওয়া যায়। এই রেখাগুলি কিসের চিহ্ন তাহা এখনও নিশ্চয়রূপে জান৷ গুলি ফাট উৎপন্ন হইয়াছিল, সেইগুলি দিয়া ভিতর হইতে গলিত ধাতু বহির্গত হইয়া এখন জমিয়া গিয়াছে ; তাছাই চাপে এরূপ ফাট উৎপন্ন হওয়া কিছুই অসম্ভব নহে । ন্যাসমিথ একটি কাচ গোলক লইয়া তাঙ্গতে ফাট উৎপন্ন করিয়৷ তাহার কথা যে সত্য হইতে পারে তাঙ্গ। দেখাইয়াছেন। আগ্নেয়গিরির উদগারে পৃথিবীর সময়ে সময়ে একপ্রকার ধূসর রঙের ধূলা বাহির হইতে দেখা গিয়াছে। এলগার অনুমান করেন ন্যাসমিথ যে श्रङारुत छठेउ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩১৭।


একবার চন্দ্রপৃষ্ঠে দুষ্ট একটি পরিবর্তন লক্ষা করিয়া মনে এখন উজ্জ্বল বেথার স্থায় দেখায়। চন্দ্রের আভ্যন্তরীণ । - - - - പ്പ - - - ১০ম ভাগ



ফাটগুলির কথা বলিয়াছেন চন্দ্রের অভ্যন্তর হইতে ধূলা বষ্টিগত হইয়া সেইগুলিকে বদ্ধ করিয়া দিয়াছে ; চন্দ্রপৃষ্ঠে রায় নাই, কাজেই সে ধূল উড়িয়া যায় নাই। সে ধূলার রঙ পায় শাদা, সেই জন্যই হয়তো রেখাগুলিকে উজ্জ্বল দেপায় । চন্দ্রপৃষ্ঠের আরো একটি দেখিবাব জিনিষ তাহার দীর্ঘ পালের স্থায় স্থানগুলি। এ গুলি ছোট পাট । নহে ; দুষ্ট একটি দুষ্ট হাজার মাষ্টল বিস্তৃতও আছে । এইগুলি বোধ হয় চন্দ্রের আগ্নেয়গিরিগুলি যখন সজাগ । ছিল তখনকার ভূমিকম্প হইতে উৎপন্ন হইয়াছে । এষ্ট সকল আগ্নেয়গিরি এখন নিৰ্বাপিত হইয়া গিয়াছে , আর । তাহাদের কোনো শক্তিরই পরিচয় পাওয়া যায় না। তই । হইয়াছে বটে যে চন্দ্রের দুই একটি আগ্নেয়গিরি এখনো বোধ হয় সজাগ আছে, কিন্তু এ সমস্ত তত উল্লেখ যোগ্য নহে । চন্ধ তাঙ্গার আগ্নেয়শক্তি তারাঠয়| এখন একটি শীতল পিণ্ডে পরিণত হইয়াছে । আকারে ক্ষুদ্র বলিয়া তাহার আভ্যন্তরীণ তেজ নিৰ্ব্বাপিত হইয়া গিয়াছে । পৃথিবীর অভ্যন্তর এখনো তত শীতল হইয়া পড়ে নাই ; তাই এথনো আমরা পৃথিবীতে আগ্নেয়গিরির উদগারের পরিচয় পাষ্ট । এ বিষয়ে চন্দ ও পৃথিবীর মধ্যে পার্থক্য এই যে পৃথিলীতে অনেকগুলি তাগ্নেয়গিরি নির্বাপিত হইয়া গেলেও এখনে দুষ্ট একটি সজাগ আছে, চন্দ্রের সকলগুলিই নিৰ্ব্বাপিত হষ্টয়া গিয়াছে। এমন একদিন আসিবে যে দিন পৃথিবীর আগ্নেয়গিরিগুলিও চিরদিনের মত শান্তমুর্কি ধারণ কবিবে। কয়েকটি অদ্ভূত জন্তু। পৃথিবীতে কয়েকটি জন্তু আছে যাহারা বিজ্ঞান নির্দিষ্ট বিশেষ জস্থশ্রেণীর বহিৰ্ভত, যাঙ্গর দুই তিন জঙ্গর জোড়াতাড়া। ইহাদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্র (Gnu) নামক স্তন্যপায়ী জীব বিশেষ উল্লেখ যোগ্য । ইহাদের লেজ শাদা, মাথ৷ ও শিং দুটা মহিষের মত হইলেও তাহাদের পশ্চাৎ দিকটা ১ম সংখ্যা । ]


- -

দেখিতে জেব্রার দ্যায়। তা ছাড়া তাদের ঘাড়ের উপর ঘোড়ার মত পাড়া খাড়া কেশর অাছে . কিন্তু ইহাদের স্বভাগের সঙ্গে ঘোড়া, জেব্রা বা গোরু মহিষের কোন সম্পর্কই নাই বরং অনেকাংশে অমিল দেখা যায়। দিগকে হরিণের সহিত শ্রেণীভুক্ত করা হইয়াছে কিন্তু হরিণের যেরূপ পলায়নে তৎপর ইহার সেরূপ নহে । তাড়া থাইলে ইহার ক্ষেত্র ছাড়িয়া পালায় না, বরঞ্চ ट्रेथ् 1 T. কস্তুরী-গোবয় । --- - - - - ਾ -- ও সমালোচন— কয়েকটা অদ্ভূত জন্তু । - - പ - -


- - ঘুরি ঘুরিয়া নানা ভঙ্গীতে শিকারীকে প্রদক্ষিণ করিতে । থাকে। এমন অবস্থায় শিকারী: দের হস্তে যে ইহাদের সত্বর বংশলোপের সম্ভাবনা আছে । তাহাতে সন্দেহ নাই । - - প্রাণীতত্ত্ববিদগণ বলেন যে ইহার হরিণ হইতে গোরুর । অভিব্যক্তির সাক্ষীস্বরূপ। তে fi আমেরিকার লোমশ কস্তুরীগবন্ধ (Musk-ox) Afz* s* ভেড়া হইতে গোরুর অভিব্যক্তির সাক্ষী । ইহাদের বাহিরের ভেড়ার মত হইলেও শিংও - দেহের আকৃতিটা গোরুর মত। গায়ের লোম কাটা দিলে ইহার লম্বা কান বাহির হইয় পড়ে এবং মােটের - উপর শরীরটাকে দেপিতে অনেকটা ভেড়ার মত দেখায়। কিন্তু ভেড়ার স্বভাবের সহিত ইহার কোন অংশে बिन দেখিতে পাওয়া যায় না বরং বিপরীত দেখা যায় । । শূকর জাতিদের মধ্যে খুজিলে যে এইরূপ ছুই ੰ খাপছাড়া জন্তু পাওয়া যায় না তাহা নহে। তন্মধ্যে । - - (Wart-Hog) অৰ্ব্ব দী-শূকর নামক জন্তুটি বড় অদ্ভূত। -- ইহাদের প্রকাও মাথা, চোখ দুটা কপালের - - কাছে ঘেঁষা, মুথের দুইধারে খড়গ, আবের মত ইষ্টট মাংসপিও দুই চোখের নীচে - এবং দুই খঙ্গের নিকটে আরো দুষ্টট আৰ -পৰ্ব্বাঙ্গে বোম নাই কেবল ঘাড়ে - o - এবং মেরুদণ্ডের উপরে লম্বা মোট চুল— = এমন কুৎসিত আকৃতির জন্তু আর দেখা