পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্যাসোওয়ারি ।

  • Itzitsatsa (Cassowary) s fo (Kiwi) নামে দুই প্রকার পার্থীর সন্ধান পাওয়া গিয়াছে এগুলির শরীর লোমের ন্যায় পালকে আবৃত। ইহারা উড়িতে পারে না, ক্যাসোওয়ারি দেখিলে মনে হয় তাহার ডানার হাড়গুলি মজুত আছে কেবল পালকগুলিই নাই। কিউইএর ডানার কোনো সন্ধানই পাওয়া যায় না। .

কিউই আকারে কিছু ক্ষুদ্র, ইহার শরীরের গঠন খুব দৃঢ় এবং ইহার পায়ের নখগুলি এত তীক্ষ যে তাহা দ্বারা কাহারো শরীরে আঘাত করিয়া সে অনায়াসেই গভীর ক্ষত উৎপন্ন করিতে পারে। কিউই রাত্রিচর পার্থী, আলোক দেখিলেই অত্যন্ত ক্ষেপিয়া উঠিয়া যেদিকে যাহা পায় তাহাই আক্রমণ করে। কিউই অতি প্রকাও প্রকাও ডিম প্রসব করে। স্ত্রী পাণীগুলি ডিমে তা দেয় না, পুং পার্থীগুলি সে কাজ কবিয়া থাকে। - - ক্যাসোওয়ারির মস্তকের উপর বেশ সুন্দর একটি পালকগুলি কালো রঙের এবং সাধারণ পার্থীর পালাকের মত নহে, অনেকটা লোমের ন্যায়। ইহারা উড়িতে পারে না ; করে। ইহারা বড় একটা বাহিরে আসেন বলিয়া এবং ইহাদের নিকটবর্তী হওয়া কঠিন বলিয়া পূর্ণ বয়স্ক ক্যাসোওয়ারি ধরা একরূপ অসম্ভব। ইহাদের পা ছুড়িয়া আঘাত করিবার শক্তি খুব বেশী ; মাথা ও শরীরকে যতদূর পারে উপর দিকে তুলিয়া সকল সময়েই সামনের দিকে পা ছুড়িয়া | থাকে। বিংশ শতাব্দীর রবিন্সন ক্রুশো। ( ওয়াইড ওয়ারল্ড ম্যাগাজিন হইতে ) ১৯০৪ খৃষ্টাব্দের ২১শে জুলাই “ব্রায়ারহলম্” নামক একখানি মুদৃঢ় ও স্বধৃত ছোট জাহাজ আঠারো জন নাবিকসহ লওন হইতে তাসমিনিয়া দ্বীপের হবাট নগরে যাত্রা করে । অধ্যক্ষ কাপ্তান রিচ মহোদয় সুদক্ষ নাবিক বলিয়া সুপরিচিত—তাসমিনিয়া অঞ্চলের সমুদ্র তাহার সুবিদিত। নিদিষ্ট দিন অতিবাহিত হইয়া গেল তথাপি জাহাজখানি হবার্ট নগরে উপনীত না হওয়ায় নৌ-বিভাগের কৰ্ম্মচারীরা বিস্মিত হইলেন। জলযানস্থ নাবিকদের আত্মীয়বর্গের উৎকণ্ঠ ততই বাড়িতে লাগিল। অবশেষে যখন ১৮ই জানুয়ারী সরকার পক্ষ ঘোষণা করিলেন-–“ব্রায়ার হলস্ জাহাজের কোনো সন্ধানই পাওয়া যাইতেছে না” তখন সকলে একেবারে নিরাশ হইল। " উক্ত ঘোষণার কয়েক দিন পরে একদল মংগুজীবী । হবাট নগরে উপনীত হইয় প্রকাশ করিল যে, পোর্টডেভির , নিকটে তাহার একখানা জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে । এই ভীষণ সংবাদ নগরের অধিবাসীদিগকে । পাষ্টয়াছে। 'টােপর আছে ; ইহার গলদেশও খুব স্বন্দর। ইহাদের শক্তিশালী পা দুটির সাহায্যেই ইহার গমনাগমন । যতই দিন কাটিয়া যাইতে লাগিল । ১ম সংখ্যা । ] চিন্তাকুল করিয়া তুলিল। পোর্টডেভি , তাসমিনিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাজধানী হইতে একশত বিশ মাইল দূরে অবস্থিত। তথায় লোকের বসতি নাই—উক্ত প্রদেশ পথশূন্ত গভীর অরণ্য ও দূরতিক্রম্য নদী দ্বারা লোকনিবাস হইতে বিচ্ছিন্ন । এই অঞ্চলে আহারের উপযোগী কোন দ্রব্য, এমন কি শিকারযোগ্য পশু পৰ্য্যন্ত মিলে না । নগরবাসীরা ভাবিল ব্রায়ারহল পোর্টডেভির নিকটে জলমগ্ন হইয়া থাকিলে, ঐ জাহাজের দুই একজন নাবিক সন্তরণের দ্বারা তীরে উঠিয়া থাকিবে ইহা অসম্ভব নহে ; যদি কেহ ঐক্কপ করিয়া উপকূলে উঠিয়া থাকে, সেই জনশূন্ত প্রদেশে তাহার কি ভয়ঙ্কর দুর্গতিই না উপস্থিত হইয়াছে ! জনসাধারণ এই ব্যাপারটা লইয়া গবর্ণমেণ্টকে এমন করিয়া চাপিয়া ধরিল যে যথেষ্ট সাক্ষ্য না পাইয়াও গবর্ণমেণ্ট কল্পিত ধ্বংসক্ষেত্রের অনুসন্ধানের জন্য একখানি ষ্টিমার পাঠাইলেন। অনুসন্ধানকারীরা প্রচুর ধ্বংসাবশেষ অধিষ্কার করিল কিন্তু জীবিত বা মৃত ব্যক্তির কোনে সন্ধান পাইল না। পোর্টডেভির সমুদ্রোপকুলে অবতরণ করিয়া তাহারা বহুদূর অগ্রসর হইয়াছিল। বন্দুকের শব্দ ও নানারূপ সঙ্কেতধ্বনি করিয়াও তাহারা কোনো লোকের খোজ করিয়া উঠিতে পারিল না। প্রত্যাবৰ্ত্তনের- সময়ে পোর্টডেভির অনতিদূরে একখানি ক্ষুদ্র পটাবাস তাহাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ; ঐ ছোট শিবিরের মধ্যে পত্র রচিত শয্যা এবং উহার সম্মুখে কয়েকটা শৃঙ্গ টিন পাত্ৰ দেখিয়া তাহারা বিস্মিত হইল। তাহাদের আবিষ্কৃত গুহটিতে একজনের অধিক লোক বাস করিতে পারে না। নিকটে একস্থানে বালুকার উপরে তাহারা কতকগুলি চিহ্ন দেখিতে পাইল । যেমন কম চওড়া সৌধীন জুতার ঐরূপ চিহ্ন হওয়া সম্ভব নাবিকেরা সাধারণত তেমন জুতা ব্যবহার করে না—এই চিহ্নগুলি অনুসন্ধানকারাদিগকে কিঞ্চিৎ হতবুদ্ধি করিয়াছিল। তাহদেব পুঙ্খানুপুঙ্খ সন্ধান ব্যর্থ হইল—ক্ষুঃমনে শূন্তহস্তে তাহারা হবাট নগরে ফিরিয়া আসিল । অনুসন্ধানকারীদিগের মন্তব্য যথাকালে প্রচারিত হইল— জনসাধারণ তাছাদের প্রতিবেদন . পাঠ করিয়া কিছুমাত্র সন্তুষ্ট হইল না। সাধারণের মনস্তুষ্টির নিমিত্ত q ংকলন ও সমালোচন—বিংশ শতাব্দীর রবিন্সন ক্রুশে। 8 & গবর্ণমৃেদ্ট দ্বিতীয়বার একখানি টমার পাঠাইলেন। এবারে সেই ক্ষুদ্র পটমগুপবাসী আবিষ্কৃত হইলেন না। অনুসন্ধানকারীরা দৃঢ়তা সহকারে প্রকাশ করিলেন–“ব্রায়ারহলম্ জাহাজের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি জীবিত থাকিতে পারে না।” এতদিন সাধারণের মধ্যে যে উগ্র আন্দোলন চলিতেছিল সরকার পক্ষীয় দ্বিতীয় অনুসন্ধান যাত্রা নিষ্ফল হওয়ায় এখন তাহার মন্দিভূত হইয়া গেল। ব্রাঙ্গলকোভ পোর্টডেভির একটা খাড়ি বা প্রবেশদ্বার। ৯ই ফেব্রুয়ারী একদল ধীবর “ব্রিটেনিয়া" নামক একখানি বোটে এইখানে মৎস্ত ধরিবার জন্ত গিয়াছিল। কৌতুহলী ধীবরের একদিন প্রাতে দুইখানি ডিঙ্গিতে চড়িয়া ব্রায়ারহলমের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে চলিল। সমস্ত দিন ইতস্তত: অনুসন্ধান করিয়া কিছুই দেখিতে না পাইয়া শ্রান্ত-ক্লান্ত দেহে তাছার অপরাহ্নে বোটের দিকে ফিরিয়া যাইতেছিল। একটা পাৰ্ব্বত্য বাক অতিক্রম করিবার সময়ে সহস৷ একজন ধীবর তীরে পদ-চারণ শব্দ শুনিতে পাইয় বলিল—“তীরে কি একটা শব্দ শোনা বাইতেছে।” সকলের দৃষ্টি যুগপৎ উপকূলের দিকে পতিত হইল— তাহার তীরে একজন মনুষ্যকে দেখিতে পাইয়া বিস্থিত হইল। একজন ধীবর লাফাইয়া তীরে উঠিয়া তাহার দিকে দৌড়িয়া গেল। তীরবর্তী ব্যক্তি চীৎকার করিয়া বলিলেন—“ব্রায়ারহলম্।” ঐ নামটা শুনিয়া ধীবরদের আনন্দের সীমা রহিল না। ইতিমধ্যে ধীবরেরা আসিয়া ব্রায়ারহলম জাহাজের একমাত্র হতাবশিষ্ট ব্যক্তিকে বেষ্টন করিয়া দাড়াইল এবং পুনঃ পুন: করমর্দন করিয়া তাহাকে সাদর সম্ভাষণ জানাইতে লাগিল । পরিচয় পাইয়া ধীবরেরা জানিল—জলমগ্ন যানের একমাত্র জীবিত এই ব্যক্তির নাম ওস্কার লারসেন–র্তাহার নিবাস নরওয়ে দেশে—ব্লয়স উনত্রিশ বৎসর। এই সময়ে তাহার শরীরে চৰ্ম্মরোগ থাকিলেও স্বাস্থ্য মোটামুটি ভাল ছিল । তাহার স্বন্ধে কয়েকটি থলিয়া দেখা গিয়াছিল— प्ले सुनििरङ कलिग्रा उिनि श्राशयी दश्न कबिएउन । श्ौर्ष তিনমাসকাল নির্জন দেশে দুঃসহ জীবন যাপনের পর দ্বীপরদিকে দেখিয় তিনি যে আনন্দ লাভ করিয়াছিলেন তাহা বর্ণনা করা অসম্ভব। • -