পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩১৭ । ১০ম ভাগ । -- SMSMS SMSMMSMMSMSMSMSASAASAASAASAAAS সে নিশ্বাস বন্ধ হইয়া মব্রুিয়া যায়, এটা সম্ভবত এটু বোধ হইতেই জন্মিয়াছে। - অনেকে বিড়ালকে বড়ই ভয় করে। বিড়াল দেখিলেই লাফাইয় উঠে এমন লোক অনেক আছে। কেহ কেহ আবার নিকটে ঝিড়াল আছে এইরূপ সন্দেহ করিয়াই এরূপ বিচলিত হইয় উঠে যে সন্দেহ ভঞ্জন ন হইলে তাহারা প্রকৃতিস্থ হইতে পারে না। ডাঃ উয়ের মিচেল বিড়ালভীতির একটি সুন্দর বর্ণনা দিয়াছেন। তিনি অনেক চেষ্টার পর জানিতে পারিয়াছেন যে বিড়ালভাতের বিড়াল নিকটে আসিলে তাহাকে না দেখিয়াই যেন গন্ধ পাইয়া নিকটবৰ্ত্তী স্থানে তাহার অস্তিত্ব বুঝিতে পারে। গন্ধ পাওয়া বলিলে আমরা যাহা বুঝি এটা ঠিক তাছা নছে ; নাসিকার ভিতরে একটা বোধ জন্মে মাত্র তাহাতেই বিড়ালতীতের অস্থির হইয়া উঠে। বিড়াল নিকটে আসিলে এই সকল লোক নানারূপে রোগচিছু প্রকাশ করে। তখন তাহদের বিশ্বাস গ্রহণ কষ্টকর হয়, ভীতি ও বিরক্তির ভাব প্রকাশ পায়, মুখ ফ্যাকাসে হইয়া যায় এবং সাময়িক অন্ধত প্রভৃতি আরো অনেক প্রকার লক্ষণ দেখা দেয়। ডাঃ মিচেল তাহার এক বিড়ালভৗত আত্মীয়ের প্রসঙ্গে বলিয়াছেন —আমার পিতা একদিন একটি বিড়ালকে কিছু আহার দিয়া একটি ছোট বাক্সের মধ্যে আবদ্ধ করিয়া তাহার পাঠাগারে রাপিয়াছিলেন । আমাদের সেই বিড়ালভীত বাবুটকে সেই ঘরে ডাকিয় আনিয়া বসানো হইল। তিনি আসিয়া একটু বসিলেই হঠাৎ তাহার মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল, তিনি কম্পিত কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন,—“এই ঘরে বিড়াল আছে, আমি এথানে থাকিতে পারিব না।” পিতা বলিলেন,—“কৈ, এ ঘরে আবার বিড়াল কোথায় ? দেখ তো, বোধ হয় বাহিরে বিড়াল আসিয়াছে।” কিন্তু এ কথায় তাহার ভীতি গেল না, তিনি আত্মসম্বরণ করিতে না পারিয়া তৎক্ষণাৎ চুটিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন। বাহিরে গিয়াই অবশু প্রকৃতিস্থ হইয়াছিলেন। আরগুলা ও মাকড়সা মানুষের কি আর অপকার করিতে পারে ? কিন্তু অনেকেই এই দুইটি জীব দেখিয়া লম্ফ ঋক্ষ প্রদান করিয়া বীরত্ব প্রকাশ করিতে দেখা গিয়াছে। তারপর ভূতের ভয় এইরূপ আতঙ্কের একটি সংস্কৃত সংস্করণ । মাত্র ; তবে তাহার প্রসার প্রতিপত্তি এগুলির যে কোনটি মূপেক্ষ অনেক বেশী। বিড়ালভীতিতে একটা বিড়ালের প্রয়োজন আছে কিন্তু ভূতের ভয়ে যাহার জন্য ভয় তাহার অস্তিত্বেরও কোনো আবখ্যকতা নাই ; একটা গাছ কিম্ব। একটা কোপ হইলেই হইল। যুক্তিতে ভূতের ভয় আদৌ টেকে না কিন্তু তবু অনেকেই বলেন, সন্ধ্যার পর পথের ধারের মুড় বটগাছের তল দিয়া একলা যাইবার সময় গাটা কেমন ছমৃ ছম্ করিতে থাকে ; পা যেন আর উঠিতে চায় না । জ্ঞ । বানরের মনোরক্তি। ( চেম্বার্স জনালে প্রকাশিত Monkeyana নামক প্রবন্ধ হইতে । ) জীবজগতের মধ্যে বানরের সঙ্গে মানুষের যেরূপ শরীর গত সাদৃগু আছে এমন আর অন্য কোনো প্রাণীর সঙ্গে নহে। এই জন্য অনেক দিন হইতেই বানরের সঙ্গে মানুষের একটা সম্বন্ধ কল্পিত হইয়া আসিতেছে। ডারবিনের *(tot los TzitatUSE (Monboddo) zijna as ব্যক্তি বানর হইতে নরজাতির উৎপত্তি বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস করিতেন, এই বিশ্বাস এখন এতদূর বদ্ধমূল হইয়াছে যে কিছুদিন পূৰ্ব্বে গাৰ্ণার (Garner) নামক এক ব্যক্তি বলেন যে মানুষের মত বানরদেরও একটা ভাষা আছে— সেই ভাষা শিক্ষা করিতে পারলে কোন কোন আদি ধাতু হইতে মানব ভাষা উৎপন্ন হইয়াছে তাহ। তিনি আবিষ্কার করিতে পারিবেন। কেবল শরীরের দিক দিয়া নহে মানসিক ব্যাপারেও মানুষের সঙ্গে ইহাদের সাদৃশু দেখিলে অবাক হইতে श्झ, দৃষ্টান্তস্বরূপ লেখক কয়েকটি বিশ্বস্ত ঘটনার উল্লেখ করিয়াছেন । - সার গোর আউন্সলি (Sir Gore. Ouseley) afor একজন বিখ্যাত রাজনীতিজ্ঞ যে জাহাজে করিয়া পারস্তে যান সেই জাহাজের কাপ্তেনের একটি পোষা বানর ছিল, বানরটির স্বভাব এমন সুন্দর ছিল যে জাহাজ সৃদ্ধ লোকই ১ম সংখ্য । ] সংকলন ও সমালোচন—বানরের মনোবৃত্তি । Vව් . ੋਂ ভালবাসিত। কিন্তু তার জাতিগত দুষ্টামিও পরদিন, জাহাজ হইতে লাকাইয়া পড়িয়া তার সঙ্গীর এক আধটু ছিল, একদিন বানরটা আউগুলির জন্ত আনীত একটা ছাগলকে কৌশল করিয়া দোহন করার চেষ্টা করে, দুধ ধরিবার পাত্র না পাইয়া নাবিকের টুপি দিয়াই কাজ চালাইতেছিল, এমন সময়ে ধরা পড়িয়া কাপ্তেনের কাছে নীত হয়। কাপ্তেন এক সপ্তাহের জন্ত সকলের সঙ্গে তার আলাপ বন্ধ করিয়া দেন, যার তাকে পূৰ্ব্বে ভালবাসিত সেই সমস্ত নাবিকের কাছে সে কতরকম আব্দারের অঙ্গভঙ্গী করিতে লাগিল কিন্তু কেউ একবার তার দিকে ফিরিয়াও তাকাইল না, দুই দিনের পরেই এরূপ ব্যবহার তার পক্ষে অসহ বোধ হইল, তৃতীয় দিন প্রাতঃকালে সে স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক সমুদ্রে ঝাপ দিয়া প্রাণত্যাগ করে। নিম্নলিখিত ঘটনাটিও ঐরূপ অভিমান সংক্রান্ত । ইংলণ্ডের একখানি জাহাজে দুইটি বানর ছিল, একটি বড় আর একটি ছোট, তারা দুজনে নাবিকের পোষাক পরিয়া ডেকের উপরে ঘুরিয়া বেড়াইত এবং কাপ্তেনের সঙ্গে দেথা হইলে গম্ভীরভাবে সেলাম করিত, নাবিকের যে যে কৰ্ম্ম করিত সবই ইহারা দুই বন্ধুতে যথাযথভাবে অনুকরণ করিত, কিন্তু দুটিরই বড় চুরির অভ্যাস ছিল, বড়টা জিনিষপত্র লইয়া আসিত আর ছোটটা তাহা লুকাইয়া রাথিত, একবার কাপ্তেনের সোণার নস্তাধার হারানো যায়, বানর দুইটাকে খুব হাচিতে দেখিয়া সকলে তাহদেরই চোর ঠাওরাইল, কিন্তু নন্তের কোঁটাটা কোথাও খুজিয়া পাওয়া গেল না, শেষকালে দেখা গেল ছোট বানরটা একজন না বকের সিন্দুকের ভিতরে উকি মারিতেছে, সেইখানেই নস্তের কৌটাট পাওয়া গেল, আর একবার বড় বানরটা এক বোতল ভাল মদ চুরি করে এবং ছোটটা কাছে বসিয়া থাকিলেও তাকে কিছু না দিয়া বোতলটি নিঃশেষ করে, এত মদ খাইয়া তার অত্যন্ত নেশা হইল, সেই সময়ে জাহাজের পাশে একটা হাঙ্গর -সাতারাইতেছিল, সে ভাবিল একজন নূতন খেলার সাণী পাওয়া গেল বুঝি। তাই একেবারে সমুদ্রের জলে ঝাপাইয়া পড়িল, হাঙ্গরেরও তাকে মুখে পূরিতে বেশীক্ষণ লাগিল না, তার ছোট বন্ধটি জাহাজে দাড়াইয়া এই সমস্ত ব্যাপার দেখিতেছিল, সে শোকে অস্থির হইয়া উচ্চৈঃস্বরে চেচাইতে লাগিল এবং অনুসরণ করিল, এ রকম বন্ধুত্ব মনুষ্যসমাজেও দুর্লভ। বানরদের দুষ্টমি একেবারে অকারণ নহে-অনেক সময়েই তার গোড়ায় একটা কারণ থাকে। বাথ (Bath) সহরের একজন সৈনিকের একটা শেষ বানর ছিল। তার পাশের বাড়ীতে এক বিধবা স্ত্রীলোকের তিনটি দুষ্ট ছেলে ছিল, তাহারা তার গায়ে নানা রকম বাজি ছুড়িয়া মারিত এবং বাদামের খোসার মধ্যে লঙ্কা পুরিয়া থাইতে দিত, এই সমস্ত উৎপাতে বানরটা অত্যন্ত ত্যক্ত বিরক্ত হইয়া উঠিল এবং ইহার প্রতিশোধ নেবার সুযোগ অন্বেষণ করিতে লাপিল। ইস্কুলের ছুটি ফুরাইলে ছেলের যেদিন বোডিংএ চলিয়া গেল বানরটা তাহা দূর হইতে লক্ষ্য করিল এবং অতি সন্তপণে মহিলার বৈঠকখানার দ্বারে উপস্থিত হইল, আশে পাশে কাহাকেও না দেখিয়া সে নিৰ্ভয়ে ঘরে ঢুকিল এবং এক বোতল কালি লইয়া সমস্ত আসবাব পত্রে ছড়াইয়া দিল। এই দোষের জন্য তাকে ধরিয়া প্রভুর হাতে দেওয়া হয় এবং তিনিও তাকে উত্তম মধ্যম দিতে কমুর করেন নাই । এক এক সময়ে মামুসের মত অতি স্বক্ষ কারণে ইহাদের প্রতিহিংসাবৃত্তি উদ্রিক্ত হয়, একবার একজন ভদ্রলোক ‘পাগ্য নামক একটি বানরকে লইয়া তাহার একদল বন্ধুর সঙ্গে ষ্টীমারে করিয়া বেড়াইতে যান। সেই দলের মধ্যে একটি স্বন্দরী মেয়ে ছিল—সে বানর দেখিতে পারিত না ! তাই যাত্রীরা অনেক সময় তাকে ঘিরিয়া যখন গল্প স্বল্প করিত বানর সেখানে স্থান পাইত না। এক জায়গায় তারা কতকগুলি গুহা দেখিবার জন্ত নৌকায় করিয়া তীরে যায়, পাগ অলক্ষ্যে তাছাদের সঙ্গ লইল । এবং এক সুযোগে একটা কাকড়া ধরিয়া যুবতীর গোড়ালীর কাছে রাখিয়া দিল । * কাকড়াটাও দাড়া দিয়া এমন জোরে চিমটিয়া ধরিল যে মেয়েটি যন্ত্রণায় চীৎকার করিতে লাগিল, অবশু এজন্ত তাকে উপযুক্ত শান্তি পাইতে হইয়াছিল। বানরদের অনুকরণপ্রিয়তা চিরপ্রসিদ্ধ। সৈন্তাধ্যক্ষের একটি প্রিয় বানর ছিল। একদিন তার স্ত্রী ভোজন গৃহ হইতে একটা অদ্ভুত শব্দ শুনিয়া ব্যাপার কি একজন