পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩১৭ । כאט\ ক্লেশ দূর করে।” ੋਣ । হইয়া উৎসবের সমাপ্তি श्हेम्नांझेिल । - বৃষ্টিকারী যাদুকরদের প্রত্যেকের নিকটে ছোট বড় নানা. আকারের কতকগুলি কালে প্রস্তর থাকে। গৃহাভ্যন্তরে কৃষ্ণ বর্ণ বস্ত্রাচ্ছাদিত একখানি আসনের উপর সে ঐ প্রস্তর থওগুলি সাজাইয়া রাখে। বৃষ্টির জন্য যেদিন ক্রিয়ানুষ্ঠান করা হয় তাহার পূর্ব দিন যাদুকর প্রস্তরগুলিকে आत्रt१ वाश्ञि कब्रिग्ना भूढ़ेब्र भाथन भाथा३१ cनद्र। পরলোকগত কোনো প্রসিদ্ধ সর্দারের সমাধি ক্ষেত্রে বৃষ্টিকরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। যাদুকর তাহার প্রস্তরগুলি সমাধির উপর স্থাপন করে। তথায় ঔষধ মিশ্রিত একটা জলপাত্রে এডুণ্ডের ডাটা দ্বারা ফুৎকার করিয়া যাদুকর শব্দ করিতে থাকে। তাহার এই প্রক্রিয়ায় বর্ষ ন হইলে সে দ্বিতীয় একটি অবলম্বন করে। পাথর খণ্ডগুলির মধ্য হইতে একটি লুকাইয়া রাথিয়া যাদুকর বলিতে থাকে—"বৃষ্টি পলায়ন করিয়াছেন—এখন তোমরা ইচ্ছা করিলেই তিনি আঃি তে পারেন।” যাদুকরের এই বাক্যের কি তাৎপৰ্য্য আগস্থকেরা প্রতে কে তাহ বেশ বুঝিতে পারে, তখন প্রত্যেক কুটারবাসী একটি শুরিং ছাগ আনিয়া তাঙ্গকে উপহার দেয়। উপহার হস্তগত হইবার পরে চতুর বৃষ্টিকারী একটি কৃষ্ণ মেষ বলি দিয়া উহার যকৃৎ দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া-গৃহের দুই প্রান্তে রাথিয় দেয়—মধ্যস্থলে এক বাটী ছাই স্থাপন করা হয়। যে সকল প্রেতাত্মা বৃষ্টি রোধ করিয়াছে তাহদের জন্য উল্লিখিত আহার্য রাখিয়া উপস্থিত লোকের মেষ মাংস ভোজন করে । এই সময়ে যাদুকর গৰ্ব্ব করিয়া বলিতে থাকে যে রাত্রি প্রভাত হইবামাত্র সে চারিদিক হইতে সুসংবাদ পাইবে বলিয়া আশা করে । এই দেশের অধিবাসীদের মধ্যে আর এক প্রকারের বৃষ্টিকরণ প্রক্রিয় দেখা গিয়াছে যাদুকর পুরোহিত উৎসব ক্ষেত্রের বামভাগে নানাদৈবগুণযুক্ত এক প্রকার এক বৃক্ষের শাখা পুতিয়া দেয়। একটা বাছুর বলি দেওয়ার জন্ত আনীত হয়-দুই ব্যক্তি ঐ বাছুরটাকে ধরিয়া দাড়াইয়া থাকে-পল্লীর প্রধান প্রধান ব্যক্তি পালাক্রমে ঐ বছরের তলদিয়া এক পাশ্ব হইতে অন্ত পাশ্বে গমন করে। এই [ ১০ম ভাগ । সময়ে তাহদের প্রত্যেককে শপথ করিয়া এই কথা বলিতে হয় যে তাহারা কেহ বৃষ্টি রোধ করে নাই। যাদুকর কিঞ্চিৎ থাকিয়া একটা কৃত্রিম প্রবাহ হইতে চক্‌ চক্‌ শব্দ করিয়া জলপান করে । বাছুরের তল দিয়া সকলের চলিয়া যাওয়া হইলে পর উপস্থিত ব্যক্তিদের প্রত্যেকে পূৰ্ব্বোক্ত কৃত্রিম প্রবাহ হইতে জলপান করে। অতঃপর বাছুরট ও একটা কৃষ্ণবর্ণ মেষ বধ করিয়া ভোজন করা হয়। নাড়ী ভূড়িগুলি প্রেতাত্মা- . দের জন্ত ইতস্তত: ছড়াইয়া রাখা হয়। কোনো কোনো বৃষ্টিকারীর নিকট একখানি বংশদও দেখা যায়। তাহারা ঐ দণ্ড পিতা কিংবা পিতৃব্যের নিকট হইতে পাইয়াছে। ঐ দণ্ডের মধ্যে “ঔষধ” লুকানো আছে বলিয়া প্রকাশ। যখন বৃষ্টি করাইতে হয় তখন তাহার দও-খানি জলে ভিজাইয়া রাখে। এই সহজ উপায়ে বৃষ্টি ন হইলে অন্য প্রণালী অবলম্বন করা হয়। - রেভারেও হেনরি কোল বলেন যে, তিনি আফ্রিকার যে অঞ্চলে বাস করেন সেই অঞ্চলের বৃষ্টিকারীদের মধ্যে মাধু সৰ্ব্ব প্রধান। তাহার বৃষ্টিকরণ প্রণালী, নিম্নলিখিতরূপ— যজমানেরা যখন বৃষ্টির জন্ত তাহার সাহায্য প্রার্থনা করে, তখন তাহারা তাহাকে একটি মেষ ও একটি ছাগ দিয়া থাকে মেঘটি বলি দেওয়ার জন্য, ছাগটি তাহার পারিশ্রমিক। মাণ্ডু তাহার যন্ত্রাদির পার্থে দুইটি ছোট পাত্রে করিয়া তিসিচুর্ণমিশ্রিত জল ও মধু রাথিয়া দেয়। জল ও মধু মুখে লইয়া সে তাহা চতুর্দিকে ছড়াইয়া মন্ত্র পাঠ করিতে থাকে। মেষটিকে বলি দিয়া উহার মাংস খণ্ড খণ্ড করিয়া পাতার উপর রাখা হয়। যাদুকর মাধু যে মন্ত্র পাঠ করে তাহার অর্থ এই—“হে আকাশস্থ প্রেতাত্মাগণ তোমার মেঘ হইতে বারিবর্ষণ করিয়া আমাদিগকে যথেষ্ট শস্যদান কর আমরা যেন অনাহারে প্রাণত্যাগ না করি । প্রেতাত্মাগণ, তোমরা ওখানে থাকিয় শস্তই আহার কর, আমাদিগকেও আহাৰ্য্য ও কৃষ্ণবর্ণ মেঘ দান কর।” ইহার পর যাদুকরের পত্নী এক জাতীয় উদ্ভিজ্জের পাত্রচূৰ্ণ সকলের নিকট পাঠাইয়া দেয়। ঐ চুর্ণ জলের সহিত মিশাইয়া সৰ্ব্বত্র ছড়াইয়া দিতে হয় । এইরূপ প্রক্রিয়ায়ও যদি বৃষ্টি না হয় তাহা হইলে বাদ্যবাদন করিয়া সকলে নৃত্য

হে ভূগর্ভস্থ গণনা করিয়া ঐ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে । ১ম সংখ্যা । ] করিতে থাকে। স্ত্রী পুরুষ সকলকেই এই নৃত্যে যোগ দিতে হয় । আফ্রিকার আদিম অধিবাসীদের মধ্যে এই বিশ্বাসও প্রচলিত যে কোনো কোনো ব্যক্তি মন্ত্রঔষধি দ্বারা বৃষ্টি রোধ করিয়া রাথিতে পারে। এইরূপ বৃষ্টি-রোধক ব্যক্তিকে তাহার ওয়াকোমী-স্কুল (Wakoma mvula) বলে । অনাবৃষ্টির সময়ে পল্লী-নায়কের অনুরোধে বৃষ্টিকারী যাদুকর যে ব্যক্তির সহিত সর্দারের বৈরিতা আছে অথবা যাহার নিকট সে ঋণগ্রন্থ, এমন কোনো ব্যক্তিকেই চতুর যাদুকর বৃষ্টিরোধক বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকে। এই খানেই তাহার আশ্চৰ্য্য ক্ষমতা প্রদর্শন শেষ হয় না। অতঃপর যাদুকর ভূগর্ভ অথবা কোনো পাহাড়ের ফাটাল স্থান হইতে পুরাতন শস্ত মিশানো একটি মাটির পিও বহির করিয়া বলে যে ঐ "বিষাক্ত দ্রব্য” লুকাইয়া রাখিয়া বৃষ্টিরোধক বর্ষ। বন্ধ করিয়া রাথিয়াছিল। বলা বাহুল্য ঐ পিণ্ডটি যাদুকরই পূৰ্ব্বাহ্নে যথাস্থানে রাখিয়া দিয়াছিল। বৃষ্টিরোধককে বাহির করিবার আর একরূপ প্রণালীও দৃষ্ট হইয়া থাকে। পল্লী-নায়কের আস্থানে প্রত্যেক কুটারবালী একটি করিয়া মুরগী লইয়া তাহার গৃহে গমন করে। বৃষ্টিকারী যাদুকর ঐ মুরগীগুলির গায়ে ঔষধ মিশ্রিত জল ছিটাইয়৷ দেয়—যাহার মুরগী মারা পড়ে সে ব্যক্তি বৃষ্টি রোধক বলিয়া ধৃত ও লাঞ্ছিত হয়। লুকানো বিষাক্ত দ্রব্য বাহির করিয়া দিয়া স্বীয় দোষ স্বীকার পূর্বক সে অব্যাহতি লাভ করে। এইরূপে ধরা পড়িয়াও যদি কেহ তাহার অপরাধ স্বীকার না করে তাহা হইলে সকলে উৎপীড়ন করিয়া সেই হতভাগ্যকে মারিয়া ফেলে। শস্ত কাটা শেষ হইলে এদেশে একটি উৎসব হয়। বৃষ্টিকারী যাদুকরই সেই অনুষ্ঠানের পৌরোহিত্য করে। কোনো একটি প্রকাশ পথের পাশ্বে একখানি বৃক্ষ শাখা পুতিয় তাহার নীচে মধুচক্রাকৃতি একটি কুটার নিৰ্ম্মিত হয়। নির্দিষ্ট দিনে পল্লী-নায়ক ও পুরোহিত প্রত্যুষে এখানে আসিয়া উৎসবের আয়োজন করে। পরে পল্লীবাসীর মিলিত হইয়া নৃত্যগীত পশু বলি দ্বারা উৎসব সম্পন্ন করিয়া থাকে ।


SumitaBot (আলাপ) ১৮:১২, ২৫ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)-------

সংকলন ও সমালোচন—পৃথিবীর ভার। ۹ نه বৃষ্টির উৎপত্তি সম্বন্ধে এদেশে একটি অদ্ভুত আখ্যান প্রচলিত আছে। বহু পূৰ্ব্বে জলের অভাবে পীড়িত হইয় একদা সরীস্বপ ও পশুরা দেবতার নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করিবার নিমিত্ত মিলিত হয়। বড় বড় পশুর পরামর্শ করিয়৷ স্থির করিল যে, তাহারা বৃষ্টি কামনা করিয়া সমবেতকণ্ঠে সকলে ক্রমাগত চীৎকার করিতে থাকিবে। তারপর এক এক জাতীয় পশু এক এক স্থানে দলবদ্ধ হইল। হস্তীর সকলের অগ্রনী হইয়াছিল। পশুদের কাতর আর্তনাদ দীর্ঘকাল চলিল, কিন্তু তাহাতে কোনো সুফল ফলিল না। কচ্ছপ, সর্প ও অপর সরীস্বপদের কাতর ক্ৰন্দনেও দেবতা প্রসন্ন হইলেন না। ভেকেরা এতক্ষণ পর্য্যন্ত একেবারে নীরব ছিল। পশু সরীস্বপগণের তিরস্কারে তাহারা উচ্চকণ্ঠে চীৎকার করিতে আরম্ভ করিল। গাঢ় মেঘে আকাশ ছাইয়৷ গেল ভেকদল তখন বলবান পশুদিগকে বড় বড় গৰ্ত্ত খুড়িবার জন্ত অনুরোধ করিল। নানাস্থানে গৰ্ত্ত খোড়া হইয়া গেলে পর মুসলধারে বর্ষা আরম্ভ হইল—গর্তগুলি জলপূর্ণ হইয়া হ্রদের উৎপত্তি হইল। মেদিনী বর্যাসিক্ত হওয়ায় উৰ্ব্বর হইয়া গেল। ভেকেরা পশুদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিল—“এখন হইতে প্রাস্তর হামল তৃণে আচ্ছাদিত হইবে—তোমরা ঐ তৃণ ভোজন করিয়া জীবন ধারণ করিবে ; যখন পিপাসিত হইবে তখন হ্রদের জলপান করিও।” ভেকদের ডাকেই বৃষ্টি-দেবতা সদয় হইয়াছিলেন বলিয়৷ তাহার হ্রদের মধ্যেই বাস করিতে লাগিল। তদবধি ভেকেরা জলাশয়েই বাস করিতেছে এবং এখনো তাহীদের ডাক বৃষ্টি স্বচনা করিয়া থাকে।

- পৃথিবীর ভার। কাগজে কলমে দেখা যায়, পৃথিবীর ভার ৬৯৯৩২••••০ ০০ ০০ ০০ ০০ ০০ ০০ ০ মন । কিন্তু এই সুদীর্ঘ অঙ্ক পুর্ভূক্তিটি হইতে আমরা কি বুঝি তাহা চিন্তা করিয়া দেখা আবশুক । এটা যে প্রকাও একটা কিছু তাছাতে কোনো সন্দেহ নাই, কিন্তু কত প্রকাও তাহা কেবল এই রাশিটিকে দেখিয়াই উপলব্ধি করা আমাদের সাধ্যাতীত। অন্ধের এই একটা