পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به سb ്SumitaBot (আলাপ)................. করেন । তাহার পর বীপের কুলে উপনীত হইয়া সেই - স্থানে উপনিবেশ সংগঠন কার্য্যে সমস্তশক্তি নিয়োগ করেন। স্বতরাং অজস্তার এই সকল নেচিত্র যে ঐ যুগের ভারতবাসীর সমুদ্র যাত্রা ও সামুদ্রিক বাণিজ্যের পরিচায়ক তাহাতে অনুমাত্র সন্দেহ থাকিতে পারে না। গ্রিফিথস সাহেবের মতেও এই গুলি ভারতের প্রাচীন বাণিজ্যের সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে— "They are a vivid testimony to the ancient foreign trade of India." এই স্থলে যে দুইখানি চিত্র প্রদত্ত হইল তাহার বিবরণ গ্রিফিথস্ সাহেবের ভাষায় দেওয়া গেল :– “The first is a sea-going vessel with high stem and stern with three oblong sails attached to as man upright masts. Each mast is surmounted by a 黯 and there is carried a lug-sail. The jib is well-filled with wind. A sort of bow.sprit, projecting from a kind of gallows on deck is indicated with the out-flying ib, square in form, like that borne till recent times by ouropean vessels. The ship appears to be decked and has ports. Steering oars hang in sockets or row locks on the quarter and eyes are painted on the bows. There is also an oar behind; and under the awning are a number of fore and aft.” যুক্তিকল্পতরু নামক নেী-সংক্রান্ত সংস্কৃত গ্রন্থানুসারে এ জাহাজ অগ্ৰমন্দির শ্রেণীর । দ্বিতীয়ট রাজার বিহার-নৌকার চিত্র । Griffith ইহার এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন—

  • it is like the heraldic lympad with painted eyesat stem and stern, a pillared canopy amid-ships and an umbrella forward; the steersmen being accommodated on a sort of ladder which remotely suggests the steersman's chair in the modern Burmese row boats; while a rower is in the bows.”

এই নৌকা খানি মধ্যমন্দির শ্রেণীর। যুক্তিকল্পতরুতে মধ্যমন্দির নৌকা রাজগণের বিলাস যাত্রার জন্য ব্যবহৃত হইত বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে। - এই দুইখানি চিত্র আমার শ্রদ্ধাস্পদ বন্ধু খ্যাতনাম চিত্রকলাবিং ক্রযুক্ত নন্দলাল বস্ব মহাশয় অনুগ্রহ করিয়া অঙ্কিত করিয়া দিয়াছেন। তিনি সম্প্রতি অজস্তায় মাইল সেখানকার সমুদয় চিত্রগুলি দেখিয়া আসিয়াছেন। শ্রীরাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়। জাতীয় শিক্ষা পরিষৎ । jars while two small platforms proječi প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩১৭ । জ্যোতির্ষিক যৎকিঞ্চিৎ ৷ - ১ । হালির ধূমকেতু । আশা ছিল ফাল্গুনের শেষে হালির ধূমকেতুটিকে খালি চোখে দেখা যাইবে, কিন্তু আমরা বহু চেষ্টাতেও উহাকে দেখিতে পাই নাই। অবশু দূরবীণে ১০ই মার্চ অবধি দেখা গিয়াছিল। এখন এটি যেমন পৃথিবীর নিকটবর্তী হইতেছে, সঙ্গে সঙ্গে তেমনি সূর্য্যেরও কাছে যাইতেছে। এজন্য আজকাল ধূমকেতুটিকে দূরবীণেও দেখা যাইতেছে না। আর কয়েক দিন পরে স্বৰ্য্যাস্তের পূৰ্ব্বেই অস্ত যাইবে। কাজেই এখন আর উহাকে খালি চোখে দেখার সম্ভাবন নাই । আগামী ২০ এপ্রিল হালির ধূমকেতু স্বর্য্যের নিকটতম হইয়া পিছাইতে আরম্ভ করিবে। সুতরাং অন্ততঃ ২৪ এপ্রিলের পূৰ্ব্বে উহাকে খালি চোখে বা দূরবীণে দেখার আর স্থযোগ নাই। এপ্রিলের শেষে পূৰ্ব্বগগনে স্তুর্যোদয়ের কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বেই উহার উদয় হইবে। জ্যোতিষিগণ আশা করিতেছেন আগামী মে মাসের শেষ দশ দিনেই সকলে ধূমকেতুটিকে মুস্পষ্ট এবং বৃহদাকারে দেখিতে পাইবেন। এই সময়ে এটি আবার পশ্চিমগগনে দেখা দিবে। আগামী ১৯শে মে তারিখে হ্যালির ধূমকেতু পর্য্যবেক্ষণের এক মাহেন্দ্র যোগ উপস্থিত হইবে। ঐ দিন প্রাতে ধূমকেতু ঠিক পৃথিবী ও স্বর্য্যের মাঝে আসিয়৷ দাড়াইবে। কোন জ্যোতিদ্ধ এই প্রকার অবস্থায় আসিয়া পড়িলে সূৰ্য্যবিম্ব জ্যোতিষ্ক দ্বারা ঢাকা পড়িয়া যায়। চন্দ্র স্বর্যাকে ঢাকিয়.এই প্রকারেই স্বৰ্য্যগ্রহণের উৎপত্তি করিয়া থাকে। আগামী ১৯শে মে, ঐ প্রকার একটা ছোটখাটাে স্বৰ্য্যগ্রহণ দেখিবার জন্ত জ্যোতিষিগণ আশা করিতেছেন। ধূমকেতুর পুচ্ছটা নিতান্ত অপদার্থ জিনিস। কাজেই পুচ্ছদ্বারা স্বৰ্য্য আচ্ছাদিত হইলেও আমরা খালি চোখে তাহার কোন পরিচয়ই পাইব না। উছার মূওটাই সৌরবিশ্বের কিয়দংশ ঢাকিয় ফেলিবে। সৰ্ব্বাঙ্গের মধ্যে এক মুগুটাই অস্বচ্ছ এবং কঠিন পদার্থ দ্বারা গঠিত। ১ম সংখ্যা । ] ما وأنة لة ه لا !

|

চন্দ্র প্রায়ই স্বৰ্য্য ও পৃথিবীর মাঝে দাড়াইয়া গ্রহণ উৎপন্ন করে। কিন্তু অপর দূরবর্তী জ্যোতিঙ্গ দ্বারা এই প্রকার স্বৰ্য্যগ্রহণ হওয়া, একটা খুবই দুর্লভ ঘটনা। শুক্র আমাদের চন্দ্র অপেক্ষা ত্যাকারে অনেক বড় হইলেও, পৃথিবী হইতে অনেক দূরে অবস্থিত। এজন্য এটি যখন মাঝে দাড়াইয়া স্বৰ্য্যগ্রহণ উৎপন্ন করে, তখন তাঁহা সাধারণ দর্শকের খুব চিত্তাকর্ষক হয় না। একটা কৃষ্ণ বিন্দুর স্থায় শুক্রগ্রহটি কয়েক মিনিটের মধ্যে স্বৰ্য্য-বিম্বের উপর দিয়৷ চলিয়া যায় মাত্র । কিন্তু এই কয়েক মনিট জ্যোতিষিগণ অমূল্য কাল মনে করিয়া থাকেন। পাঠক অবশুই অবগত আছেন স্বর্যের দূরত্বকেই অবলম্বন কৰিয়া—সমস্ত গ্ৰহ উপগ্রহ দূরত্ব গতিবিধি এবং আকার প্রকারাদি গণনা করা হইয়া থাকে। শুক্রোপগ্রহণ কালই (Transit of Wenus) স্বর্যোর দূরত্ব নির্ণয়ের একমাত্র শুভ অবসর। এক একটা শুক্রোপগ্রহণকে যথাশাস্ত্র দেখিবার জঙ্গ জ্যোতির্ষিগণ যে কত অর্থব্যয় এবং কত আয়োজন করেন তাহা শুনিলে বিস্মিত হইতে হয়। আটত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে ১৮৮২ সালে শেষ শুক্রোপগ্রহণ হইয়া গিয়াছে । আগামী ২০০৪ খৃঃ অব্দে আবার আর একটি উপগ্রহণ হইবে। সুতরাং দেখা যাইতেছে, সেই শুভদিনের জন্ত জ্যোতিষীদিগকে এখনো ৯৪ বৎসর প্রতীক্ষা করিয়া বসিয়া থাকিতে হইবে। ১৯শে মে তারিখে ধূমকেতুর যে উপগ্রহণ হইবে, তাহাতে সূৰ্য্য মান হইবার সম্ভাবনা নাই। শুক্র বা বৃহস্পতির আকারের এক ক্ষুদ্র কৃষ্ণ বিম্ব স্বৰ্য্যের উপর দিয়া চলিয়া যাইবে । বিম্বের আয়তন ঠিক কতটা হইবে, তাহা এখন বলা কঠিন। ধূমকেতুর গতিবিধি এবং কক্ষ ইত্যাদির অবস্থান মোটামুটি ঠিক গণনা করা যায়, কিন্তু সেটি কি প্রকার আকার পরিগ্রহ করিয়া সুৰ্য্যের সন্মুখে উপস্থিত হইবে, তাহার গণনা চলে না। কাজেই স্বর্যের কতটা স্থান ধূমকেতুর মুণ্ডে আচ্ছাদিত হইবে, এখন তাহ বলা যাইতেছে না। - সূৰ্য্য-বিম্বের কোন অংশ ধূমকেতু সৰ্ব্বপ্রথমে স্পশ করবে, পরপৃষ্ঠার চিত্রের সাহায্যে পাঠক তাহা বুঝিয়া লইতে পারিবেন। চিত্রের "প" চিহিত অংশটা স্বর্য্যের ঠিক >> - জ্যোতির্ষিক যৎকিঞ্চিৎ ৷ b-> পশ্চিম অঙ্গ। কাজেই ইহারি তুতি নিকটে এবং একটু দক্ষিণ দিকে প্রথম স্পর্শ হইবে। ইহার পর চিত্রের শরচিন্ত্রিত পথ অবলম্বন করিয়া ঠিক একঘণ্টা কাল ধুমকেতু হুর্যোর উপর দিয়া চলিতে থাকিবে। “পূ” চিহূিত অংশটা স্বর্ঘ্যের ঠিক পূৰ্ব্বাঙ্গ। ঐ অংশেরই একটু দক্ষিণ ঘেঁসিয়া ধূমকেতুটি স্বৰ্য্যবিম্ব ত্যাগ করিবে। বহির্গমনের স্থানটিতে পাঠক শর-ফলক অঙ্কিত দেখিতে পাইবেন। উপগ্রহণের আরম্ভ শেষ এবং স্থিতি প্রভৃতি সম্বন্ধে যাহা কিছু জানা আবশ্বক জ্যোতির্ষিগণ ইতিমধ্যেই তাহার সকলি গণনা করিয়া রাপিয়াছেন। ১৮ই মে, গ্রীনউইচের ১৪ ঘণ্ট ২২ মিনিটের সময় স্পর্শ হইবে। গ্রীনউইচ ও কলিকাতার কালান্তর প্রায় ৫ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট। সুতরাং দেখা যাইতেছে আমাদের দেশে পরদিন অর্থাৎ ১৯ শে মে, বেলা প্রায় ৮টা ১৫ মিনিটের সময় স্পর্শ দৃষ্ট হইবে, এবং পূর্ণ একঘণ্টা কাল ধূমকেতুর কৃষ্ণ মুণ্ড বক্ষে ধারণ করিয়া বেলা ৯ টা ১৫ মিনিটের সময় স্বৰ্য্য মুক্তি লাভ করিবে । ইংলণ্ডে রাত্রি ২ টা ২২ মিনিটের সময় উপগ্রহণ আরম্ভ হইবে। কাজেই ইংলণ্ড বা যুরোপের অপর কোন অংশ হইতে এই দুর্লভ জ্যোতির্ষিক ঘটনাটি দেখা যাইবেন। আমাদের ভারতবর্ষ এবং প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জও অষ্ট্রেলিয়া হইতেই উপগ্রহণ বেশ ভাল দেখা যাইবে। ছোটখাটাে দূরবীণ থাকিলে, পাঠক তাহার সাহায্যে উপগ্রহণ সুস্পষ্ট দেখিতে পাইবেন। কালি মাখানে বা রঙিন কাচ দিয়া দেখিলেও হয় ত স্বৰ্য্যের উজ্জল দেহে ধূমকেতুর ঘোর কৃষ্ণবর্ণ মুণ্ডের সন্ধান পাওয়া যাইবে। ধূমকেতুর মুণ্ড ও পুচ্ছের গঠনোপাদন স্থির করিবার জচ এপর্য্যন্ত অনেক পরীক্ষণ হইয়া গিয়াছে। রশ্মিনিৰ্ব্বাচন যন্ত্র (Spectroscope) এই সকল পরীক্ষার প্রধান সহায় । ধূমকেতুর মৃছ আলোক সুকৌশলে যন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করাইয়া, তাহারি বর্ণছত্ৰ (Spectrum) পরীক্ষা করিয়া গঠনোপাদান নির্ণয় করা হইয়া থাকে। আগামী ১৯ মে তারিখে যখন ধূমকেতু স্বৰ্য্য ও পৃথিবীর মধ্যে আসিয়া সূর্যালোক অবরোধ করিবে, তখন কতকগুলি আলোকরশ্মি উহার পুচ্ছ এবং মুণ্ড দ্বারা নিশ্চয়ই অপহৃত হইবে। আমরা খালি চোখে হয় ত সেদিন স্বর্যালোকের এই ক্ষয়