পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૪૨.8 ব্যস্ত ছিল, কিন্তু যখন বহিঃশত্র হইতে আর তুটা ভয়ের কারণ রছিল না, তখন সমাজ আপনার অন্তভুক্ত দুৰ্ব্বল ব্যক্তিগণকে রক্ষা করিতে যত্নশীল হইল । ड्रेशश् छेन्नड সমাজের লক্ষণ বলা যাইতে পারে। বিংশ শতাব্দীর কয়েক সহস্ৰ বংগৰ পূৰ্ব্বে, কয়েকটা নদীতীরবাসী মানবসমাজ সমধিক উন্নতি লঙ্ক করিয়াছিল । সিন্ধু ও গঙ্গাতীরে আর্যগণ, পীতনদীতীরে চীনগণ, নীলনদীতীরে মিশরগণ এবং ইউফ্রেটজ নদীতীরে ব্যাবিলনীয়গণ-অনেক জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করল এবং প্রাসাদ, পরিচ্ছদ প্রভৃতি নানা বিলাসের উপকরণ নিৰ্ম্মাণ করিল। ठिक कि किं कब्रिट* $ नकल স্থলে সভ্যতার আবির্ভাব হইল তাহ নির্ণয় করা আপাততঃ অসম্ভব, তবে স্বাস্থ্যকর জলবায়ু এবং উৰ্ব্বর ভূমি যে একটা কারণ সে বিষয়ে गकई नाई-6कनन गt१छे श्रांडेड:श्राहेश স্বস্থ না থাকিলে কোন সভ্যতাই আসিতে পারে না। কয়ট প্রাচীন জাতির মধ্যে আর্যগণই সৰ্ব্বপ্রথম সভ্য হয়েন এবং তাহারা যে পরিমাণে সভ্যতা লাভ করিয়াছিলেন অন্যান্ত জাতি সেরূপ পারেন নাই । কিন্তু কয় সহস্ৰ বৎসর ঐশ্বর্যাভোগের পর ছে কয়ট সমাজ হীন বল হইয়া পড়িল। তথন মরুভূমিবাসী অসভ্য জাতিগণ আসিয়া তাহাদিগকে ধ্বংস করিয়া ফেলিল । ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে কত শিল্প কত জ্ঞানবিজ্ঞান নে ন9 হইয়া গেল তাহার কে ইয়ত্ত করবে: উপরোক্ত সমাজগুলির অপেক্ষ বয়ঃকনিষ্ঠ হইলেও গ্ৰীক সমাজ উন্নতিপথে অনেকট অগ্রসর হইয়াছিল। তাহারাও অসভ্য অথচ বীৰ্য্যবান জাতি কর্তৃক ধ্বংস झडेग्न ८ोल । পরে আরবজাতি আৰ্য্য ও গ্রীকরণের জ্ঞানভাণ্ডারের উত্তরাধিকারী হইল। তাহদের নিকট হইতে এবং গ্ৰীক, সাহিত্য পাঠে পাশ্চাত্য ইউরোপ জ্ঞান শিক্ষ করিল। খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দী হইতে ফ্রান্স, ইংলণ্ড ও জৰ্ম্মাণীতে জ্ঞানচর্চার স্বত্রপাত হইল। খৃষ্টীয় উনবিংশ শতাব্দীতে ঐ কয় দেশে বিজ্ঞান সমধিক উন্নতি লাভ করিল। এই শতাব্দীর তিনটা আবিষ্কার মানবের চিন্তাম্রোতকে প্রধানতঃ নিয়মিত করিয়াছে। প্রথম, সমস্ত জাগতিক প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ । -```.*\.--്.-,-ു. [ ১০ম ভাগ । পদার্থই কতকগুলি মূল পদার্থের পরমাণুর সমষ্টি মাত্র। বিভিন্ন পরমাণুগুলি আবার এক অভিন্ন স্থঙ্গাণুর সমষ্টি । দ্বিতীয়তঃ, তাপ, আলোক, তড়িৎ, গতিশক্তি প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার শক্তি একই শক্তির রূপান্তর মাত্র। পদার্থ ও শক্তি দুইই অবিনশ্বর। তৃতীয়তঃ, জীবের নানা মূৰ্ত্তি গ্রহণ জীবনসংগ্রামের অনিবাৰ্য ফল। শেষোক্ত বিষয়টার আলোচনা পূৰ্ব্বেই করা হইয়াছে। এখানে প্রথম দুইটার । সম্বন্ধে কিছু বলা আবখ্যক । কোনও কোনও বৈজ্ঞানিকের চেষ্টা পদার্থ ও শক্তি এই দুইটার সাহায্যে সমস্ত জগৎ প্রহেলিকার উদ্ভেদ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই দুইটার স্বরূপ কি সে সম্বন্ধে কেহই কিছু জানেন না—সকলেই আন্দাজে চিল মারেন মাত্র। যেমন কাহারও মতে পরমাণুগুলি ঈথররূপ সমুদ্রের মধ্যে ঘূর্ণিপাক মাত্র, অতএব পদার্থ বলিয়৷ কিছুই নাই সমস্তই শক্তির খেলা। আবার একদল বলেন, কতকগুলি স্বঙ্গাণু আছে, তাহার সমষ্টিই পরমাণু, এবং । এই গাণুগুলির সঞ্চালনই তড়িৎ অতএব তড়িৎ শক্তির মূলেও পদার্থ রহিয়াছে। আর এই যে ঈথরটা লইয়া এত গণ্ডগোল— যাহার কম্পনেই নাকি আলোক, তড়িৎ প্রভৃতির উৎপত্তি—তাহার বিষয়েই কিছু ভাল করিয়া বুঝা बांग्र न । श्रेथब कैभिग्ना थारक 4द९ डांश इहेrउहे আলোকাদি শক্তির উৎপত্তি এইটুকু মাত্র উপলব্ধি হয়। লর্ড সালিসবেরী (ইনি যেমন প্রসিদ্ধ রাজনৈতিক ছিলেন সেইরূপ একজন বৈজ্ঞানিকও ছিলেন ) একবার বিজ্ঞান বিষয়ে বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেন “ঈশ্বরের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট সংজ্ঞাটা এই—কাপিয়া থাকে এই ক্রিয়াটার কর্তার নাম ঈথর ।” এই সকল হইতে ইহা নিশ্চিত বলা যাইতে পারে যে উণবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান অত্যন্ত অসম্পূর্ণ এবং বৈজ্ঞানিক সত্য অনেক স্থলে কতকগুলি অনুমানের উপর নির্ভর করিতেছে—সে অনুমানগুলিও কালক্রমে পরিবর্তিত হইতেছে। কাজেই বর্তমানকালে, ব্ৰহ্মাণ্ডের স্বরূপ নির্ণয় ইরাশা মাত্র । এদিকে উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের সহায়তায় बिब अङ्गङ्की डेब्रडि जर्गाडि श्डेग्राप्छ। त्य উত্তালতরঙ্গময় সন্দ্র দর্শনে প্রাচনকালের মনুষ্য বিস্ময় ও ' ভয়ে ! ২য় সংখ্যা । ] ত্রস্ত হইয়া থাকিত, আজ তাহ পৃথিলীর প্রধান রাজপথ । মানব স্বেচ্ছায় বায়ুমণ্ডলে বিচরণ করিতেছেন এবং পৃথিবীর লুক্কায়িত রত্নরাশি লুণ্ঠন করিয়া ভোগ করিতেছেন। সূৰ্য্য তাহার চিত্রকর, তড়িৎ তাহার বার্তাবহ। যে সকল হাজার হাজার মণ ভারি লৌহখণ্ড লইয়া তাহারা গলাইয়৷ থাকেন এবং পিটিয়া পাত তৈয়ার করেন এবং যেরূপ প্রকাও দ্রব্যাদি লইয়া উত্তোলন ও বহন করেন তাহ দেখিলে বিশ্বকৰ্ম্মারও বিস্ময় জন্মিত সন্দেহ নাই। কিন্তু হায়, এত উন্নতি সত্বেও মানবের দুঃখ কষ্ট কমিয়াছে বলিয়া মনে হয় না। যে পরিমাণে মানসিক উন্নতি হইয়াছে, সেরূপ নৈতিক উন্নতি হয় নাই। এখনও সেই চিরন্তন জীবন-সংগ্রাম—মানুষে মানুষে মারামারি, থেয়োখেয়ী । বিজ্ঞানও এই মারামারির সহায়তা করিতেছে—একদিকে যেমন নিত্য নুতন অদ্ভুত শক্তিধর কামান নিৰ্ম্মিত হইতেছে অপরদিকে তেমনই রণপোতের কঠিন ও পুরু লৌহবৰ্ম্ম আবিষ্কৃত হইতেছে। সমাজের একদিকে বিলাস এবং অপরদিকে দারিদ্রা কষ্ট অতি বীভৎস দৃশ্বের রচনা করিয়াছে। যাহা হউক, ব্ৰহ্মাণ্ডের ইতিহাসে ইহা মুহূর্তের থেলা । আরও কত কোট, কত থৰ্ব্ব বৎসর কাটিয়া যাইবে, তখন মানুষ নামক জীবই ধরাপৃষ্ঠ হইতে লোপ পাইবে । আর পৃথিবীর পরমায়ুও অনন্ত নহে— ইহারও ধ্বংস অনিবাৰ্য্য। তবে ঠিক কিরূপে ধ্বংস হইবে বলা কঠিন। নিম্নলিখিতরূপে হওয়া অসম্ভব নহে। এখনই দেখা যাইতেছে বৃষ্টি ও বরফের জন্য পৰ্ব্বত এবং স্থলভাগ যে পরিমাণে ক্ষয় হইয়া যাইতেছে অগ্নমৃৎপাত দ্বারা বা পলি পড়িয়া সে পরিমাণ স্থল উন্নত হইতেছে না । ক্রমেই পৃথিবী শীতল হইতে চলিল, কাজেই অভ্যন্তরস্থ অগ্নি প্রভাবে নুতন স্থলের স্বষ্টি কিছুকাল পরে আর সম্ভবপর হইবে না । তখন স্থল ক্রমাগত ক্ষয়িত হইয় সমুদায় ধরাপৃষ্ঠ সমুদ্রের জলে প্লাবিত হইয়া যাইবে । কাজেই সে সময় কোনও স্থলচর জীব পৃথিবীতে থাকিবে না- কতকগুলি জলচর জীবমাত্র বাচিয়া থাকিবে । কিন্তু ইহাতেও ধ্বংস সম্পূর্ণ হইল না। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, সূৰ্য্যই পৃথিবীস্থ সমস্ত শক্তির আদি— সেই শক্তি বটেশ্বর ও বনখণ্ডেশ্বর । ১২৫ MMMMMMMMSSMMSMMMMSMMAMAMAJ হইতেই উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং তাহার উপরই প্রাণিগণের । জীবন নির্ভর করিতেছে। এখন এই স্বৰ্য্যও অনন্তকাল ধরিয়া তেজ বিকীরণ করিতে পরিবে না-একদিন উহার তাপ ভাণ্ডার ফুরাইবে সেদিন উহা একটা অন্ধকারময় পিণ্ডের দ্যায় হইয়া যাইবে। সেদিন এই সৌর জগৎ কেবল চক্ষুহীন নহে একেবারে প্রাণহীন হইয়া যাইবে । তখন কোনওরূপ সজীব পদার্থই পৃথিবীতে বৰ্ত্তমান থাকিবে না। এইরূপ কয়েকটা জ্যোতিহীন সূৰ্য্য বা নক্ষত্র ইতঃপূর্বেই আকাশে দেখা গিয়াছে। এই অন্ধকারময় নিৰ্জ্জীব স্বৰ্য আকাশে ঘুরিতে ঘুরিতে আর একটা ভ্ৰাম্যমাণ স্বর্য্যের সহিত আঘাত লাগিতে পারে। তপন সেই বিপুল সংঘর্যের ফলে স্বৰ্য্য দুইটা ভাঙ্গিয়া চূর্ণ ইয়া যাইবে এবং চূর্ণগুলি বাষ্পপুঞ্জভাবে আকাশে বিকীর্ণ হইয়া যাইবে । পরে আবার তাছা হইতে নক্ষত্র ও গ্রহাদির সৃষ্টি হইবে । এইরূপে এক জগতেৰ ধ্বংসের পর, তাহারই মাল মশলা লইয়া আবার এক জগতের স্মৃষ্টি হইবে। অনাদি অনন্তকালে এই অসীম আকাশে এইরূপ কতবার কত জগৎ স্বষ্টি, স্থিতি ও লয় হইয়া গিয়াছে এবং হইবে তাহ মানববুদ্ধির অগোচর। পৃথিবীবাসী মানব নামক ক্ষুদ্র জীব যাহাকে অৰ্ব্বদ বৎসর বা পরাদ্ধ বৎসর বলে, ব্রহ্মাণ্ডের ইতিহাসে তাহ মুহূৰ্ত্ত ও পল মাত্র। ঐসতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, এম, এ, বি, এস, সি। বটেশ্বর ও বনখণ্ডেশ্বর ৫ প্রয়াগের কুম্ভমেলার দ্যায় উত্তর পশ্চিম ভারতে বটেশ্বর নামক স্থানে প্রতিবৎসর একটী মেলা বসিয়া থাকে। প্রভেদ এই যে কুম্ভমেলা শুদ্ধ ধৰ্ম্মসংক্রান্ত, কিন্তু বটেশ্বরের

  • আমরা স্বাধীন অনুসন্ধান ও কিম্বদঙ্গী হইতে যাহা সংগ্ৰহ করিয়াছি প্রবন্ধে তাহাই লিখিত হইল। সরকারী রিপোর্ট প্রভৃতির স্থানে স্থানে এসম্বন্ধে সামান্ত পার্থক্য মাত্র দৃষ্ট হয়। বটেশ্বরের নাম সম্বন্ধে ফিউয়ার সাহেবের সার্ডে রিপোর্টে আছে :

"Batcsar, village from ot, the banyan tree near which was an image of Mahadev under the title of Valesarmath. The importauce of the place would seem to date from the time of Badan Singh, "Raja