প্রবাসী জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ । نن و د ' S DDDDD DD DD DS DDDD ttBS BBBS S S ছিলেন। একটি কুকুর যেমনি তাহার উপর লাফাইয়া পড়িবে অম্নি তিনি পশ্চাতের পায়ের আঘাতে তাহাকে ভূতলশায়ী করিলেন। ঠিক সেই মূহূর্তে অন্য কুকুরটাও সেই স্থানে আসিয়া পড়িল । ভয়ে আমার সমস্ত শরীর সঙ্কুচিত হইয়া গিয়াছিল। মা একটু অঙ্কুট ধ্বনি করিয়া সেই কুকুরটাকে এক আঘাতে ভূতলশায়ী করিলেন । কুকুরটা রক্তাক্ত কলেবরে মাটিতে পড়িয়া গড়াগড়ি যাইতে লাগিল। মা আর এক মুহূৰ্ত্তও বিলম্ব না করিয়া আমাকে লইয়া সে স্থান হইতে পলায়ন করিলেন । কিন্তু বাবার সঙ্গে আর আমাদের দেখা হইল না। শিকারীর বন্দুকের গুলিতে সেইদিন আমার পিতার জীবন লীলা শেষ হইয়াছিল। আর এক দিনের কথা । তথন আমি বেশ বড় হইয়াছি। এক দিন গ্রীষ্মের প্রাতে ঝোপের মধ্যে একাকী আরামে নিদ্রা যাইতেছিলাম। সমস্ত বনটি নীরব, নিঃস্তব্ধ । হঠাৎ মানুষের গন্ধে আমার ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। চোখ মেলিয়া দেখি সত্য সত্যই, প্রায় পঞ্চাশ হাত দূরে একজন শিকারী এবং তাহার পশ্চাতে কয়েকটি শিকারী কুকুর । - মুহূৰ্ত্তমধ্যে আমি পশ্চাতের দুই পা ও লেজের উপর ঠেস দিয়া দাড়াইয়া উঠিলাম। তারপর আর ক্ষণমাত্র বিলম্ব না করিয়া, প্রায় বিশ ফুট লম্বা এক এক লাফে, একটি ক্ষুদ্র নদীর তীর দিয়া ছুটিয়া চলিলাম। কুকুরের ঠেস দিয়া দাড়াইয়া উঠিলাম।” দলও আমার পিছনে পিছনে ছুটয় চলিল । পড়িয়া ব্রজের দ্যায় আমার ঘাড়ে কামড় বসাইয়া দিল । BB BB BBBB BBBB BBB D BB B BBB BtDD ttDDD DDD DD BBBBS BB BB BBB BBB DD DDBS BBB BB BS BB BBBB BBB DDDD DDDD বাবার উপদেশ সত্বেও আমি আমাদের জাতিগত দোষটি বক্ষস্থল চিরিয়া দিলাম , তাহার কুকুরলীলা সেইখানেই সংশোধন করিতে পারি নাই। তাহাই আমার বিপদের সমাপ্ত হইল । কারণ হইল। আমি লাফাইয়া লাফাইয়া চলিবার সময় বার অন্য কুকুরগুলি সে স্থানে আসিবার পূৰ্ব্বেই আমি তীরে বার পিছনের দিকে ফিরিয়া ফিরিয়া দেখিতেছিলাম। হঠাৎ BBBB BBB BBB BBB BBB BBB BB BBBS BBB BB BBS Bt BB BBBB DDD DD পড়িলাম। সে আঘাত আমি সাম্লাইতে পারিলাম না। তদভিমুখে চুটিয়া চলিলাম। বু গড়াইতে গড়াইতে অৰ্দ্ধ স্থতাবস্থায় একেবারে জলের মধ্যে নয়, তাহারাও আমার পিছনে পিছনে দৌড়িয়া চলিল। গিয়া পড়িলাম। • অল্পক্ষণের মধ্যেই আমি সেই জলাশয়ের তীরে অসিয়া -এই সুযোগে একটি কুকুর জলের মধ্যে লাফাইয়া উপস্থিত হইলাম। তখন আমার জীবন সম্বন্ধে অনেকটা “মুহূৰ্ত্তমধ্যে আমি পশ্চাতের দুই পা ও লেজের উপর _ • . T ২য় সংখ্যা । ] উঠিয়া পড়িলাম। পূৰ্ব্ব হইতেই একটি জলাশয়ের কথা । কুকুরগুলিও দমিবার পাত্র | “শিকারীকে দুই হাতে জড়াইয়া ধরিলাম।” ভরসা হইল, তাই একটু স্থির হইয়া দাড়াইলাম। বড়ই শ্রান্ত হইয়া পড়িয়ছিলাম। - যে কুকুরটা অগ্রে ছিল সেটা গর্জন করিয়া আমার দিকে ছুটিয়া আসিল । সে সম্মুখে আসিবা মাত্র ; মা যেমন ছেলেকে কোলে লয় আমি সেইরূপে তাহাকে দুই হাতে জড়াইয়া ধরিলাম । ! রহিল না । - আমি তাহাকে কোলে করিয়া ধীরে ধীরে জলাশয়ে | অবতরণ করিলাম । গলাজলে নামিয়া তাহাকে জলের নীচে নিমগ্ন করিয়া দুই পায় খুব শক্ত করিয়া চাপিয়া ধরিয়া রাখিলাম। বেচারা আমার হাত হইতে মুক্তি পাইবার কত চেষ্টাই করিল কিন্তু তাহার সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ হইল । : কিছুক্ষণ পরে তাহার প্রাণের আর কোনো লক্ষণ দেখিলাম o না। তখন তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া অন্ত কুকুরগুলির দিকে ফিরিলাম। দেখিলাম তাহদের অগ্রবত্তীর এই দশা বেচারার আর নড়িবারও শক্তি - সংকলন ও সমালোচন—ক্যাঙ্গারুর আত্ম কাহিনী । >8? দেখিয়া আমাকে আক্রমণ করিতে আর তাহাদের সেরূপ উৎসাহ নাই। তাহারা তীরে দাড়াইয়া খুব তর্জন গৰ্জ্জন করিতেছিল। আমিও গলাজলে গা ডুবাইয়া নিশ্চিন্ত মনে তাহদের নিরীক্ষণ করিতে লাগিলাম। এমন সময় শিকারী জলাশয়তীরে আসিয়া উপস্থিত হইল। ঘোড়া হইতে অবতরণ করিয়াই সে কোমর হইতে পিস্তল বাহির করিল। পিস্তল জিনিষটি আমার নিকট অপরিচিত ছিল না ! আমাদের জব্দ করিবার মানুষের ইহাই একমাত্র অস্ত্র । আমি দুই লাফে তীরে উঠিয়াই শিকারীকেও কুকুটির স্তায় দুই হাতে জড়াইয়া ধরিলাম। তাহাকে আর পিস্তল ছুড়িবার অবসর দিলাম না। তারপর, কুকুরটিকে যেমন করিয়া জলে নিমগ্ন করিয়াছিলাম তাহাকেও সেইরূপ ভাবে জলমগ্ন করিলাম। সেই মুহূর্বে তীর হইতে দুইটা কুকুর দুদিক হইতে আমাকে আক্রমণ করিল। আমি তখন তাহাকে ছাড়িয়া কুকুর দুটিকে আক্রমণ করলাম। আমার হাত হইতে মুক্তি পাইয়া শিকারী চট্ পট্ তীরে উঠিয়া ঘোড়ার অন্বেষণে চলিয়া গেল। শিকারীর হাত হইতে পিস্তলটি জলে পড়িয়া গিয়াছিল ; তাহা আমি দেখিয়াছিলাম। সুতরাং তাহার নিকট হইতে আমার বিপদের আর কোনো আশঙ্কা ছিল না । তখন কুকুর দুটিকে হাতের কাছে পাইয় তাহাদিগকে একটু শিক্ষা দিবার লোভ সম্বরণ করিতে পারিলাম না। একটাকে জলের নীচে নিমগ্ন করিলাম আর একটা পশ্চাতের পায়ের আঘাত খাইয়া জলের নীচে গড়া গড়ি যাইতেছিল। শত্রুদলকে এইরূপে পরাজয় করিয়া আমি আমার স্বস্থানে ফিরিয়া গেলাম। তখন আমার জয়োল্লাস দেখে কে ! সৰ্ব্বদা বিপদের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে হইলেও বৎসরের এক সময় আমরা খুব আনন্দ উপভোগ করি। বসন্তের আগমনে তখন বনের গাছ পালাগুলি নুতন কচি পাতায় ও মুকুলে সবুজ হইয় ওঠে সে সময়েই আমরা সন্তান প্রসব করি। সেই সময়টা আমাদের বেশ আনন্দে কাটে। —আজ এই পৰ্য্যস্ত। তে।
