পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8b" o --- বিদ্যালয়ে মঙ্গলভাবের শিক্ষা । বৰ্ত্তমান শিক্ষা প্রণালীর খুব একটা অভাব এই যে ইহা বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশের দিকে যতটা মনোযোগ দিয়াছে হৃদয়বৃত্তির উদ্বোধনের দিকে ততটা দৃষ্টি দেয় নাই। বিচিত্র জ্ঞাতব্য বিষয়ের তথ্য সংগ্ৰহ করিয়া জ্ঞানের কৌতুহল নিবৃত্ত হইতেছে, কিন্তু যাহা জানা হইতেছে তাহা ৰোধের ভিতর দিয়া সরস হইয়া উঠিতেছে না, তাহা কেবল মাত্র জীবনের একাংশমাত্র স্পর্শ করিতেছে, সমগ্র জীবনের সঙ্গে তাহার কোন যোগই ঘটতেছে না। শিক্ষার এই অসম্পূর্ণতার হাত হইতে নিস্কৃতি লাভের উপায় সম্বন্ধে আজকাল অনেকেই চিন্তা করিতেছেন তাহা আমরা অনেকবার দেখিয়াছি। সম্প্রতি আমেরিকার এলেনয় (Allinois ) প্রদেশের শাসন কৰ্ত্তার নিম্নলিখিত বিধানটি প্রণিধান যোগ্য :– “এই প্রদেশের প্রত্যেক সরকারী বিদ্যালয়ে প্রতি সপ্তাহে আধঘণ্টা কাল ছাত্রদের দয়া ও মৈত্রীর অনুশীলনে ব্যয় করিতে হইবে। ইহা ভিন্ন তাহাদিগকে পাণী ও পশুপালন শিক্ষা দেওয়া হইবে। সহৃদয়তার উন্মেষক গ্রন্থাদির অধ্যাপনায়, নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনার মধ্যে, জীবন্ত দৃষ্টাস্তের সাহায্যে অথবা নানাবিধ গল্পের ভিতর দিয়া এই মৈত্রী শিক্ষা দিতে হইবে। এই প্রদেশের কোনো সরকারী বিদ্যালয়ের অধীত বিষয়ের পরীক্ষাদির জন্য কোনও জীবকে কেহ শারীরিক ক্লেশ দিতে পারিবে না। জীব ব্যবচ্ছেদের জন্য কোনও জস্তকে ছাত্রদের সম্মুখে কেহ হত্যা করিতে পারিবে না। এই উদ্দেশে কুকুর ও বিড়াল হত্যা করা একেবারেই নিষিদ্ধ। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অথবা শিক্ষক তাহার মাসিক প্রতিবেদনে এই বিধান অনুযায়ী কিরূপ কাজ চলিতেছে তাহার উল্লেখ করিবেন। কোনও শিক্ষক এই বিধান অমান্য করিলে, তিনি তাহার বেতনের শতকরা পাচ টাকা হইতে বঞ্চিত হইবেন” । এইরূপ বিধান প্রচারের আবশ্বতা কি ? তাহা একবার বিচ্নে করা উচিত। আমরা জানি, যে মানুষের মধ্যে প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ । যে কতকগুলি পাশব প্রবৃত্তি দেখা যায় তাহ সে পূৰ্ব্বপুরুধের নিকট হইতেই উত্তরাধিকার স্থত্রে পাইয়াছে। নানাবিধ জন্তুর বিবিধ স্তরের ভিতর দিয়াই মানুষের বর্তমান বাহ আকার পরিণতি লাভ করিয়াছে। অতএব অন্তান্ত জীব জন্তুর সঙ্গে মানুষের এ জায়গায় একটা যোগ রহিয়াছে। এ সকল প্রবৃত্তি আমাদের মধ্যে আছে বলিয়াই এ সম্বন্ধে আমাদের নিশ্চিন্ত থাকিবার উপায় সংস্কারের পাশ হইতে মুক্তি দিতে হয়, বাল্যকাল হইতে অনেক তাড়নার পর যেমন তাহা সহজ হইয়া আসে, তেমনি উন্নত হৃদয়বৃত্তিকে জাগ্ৰত করিতে গেলে *এই সকল নিম্ন প্রবৃত্তির একান্ত বন্ধন হইতে হৃদয়কে কেবলি ছাড়াইতে হয়, নহিলে সমস্তই এক সঙ্গে তাল পাকাইয়া থাকে, বুদ্ধিতে পরম মার্জিত থাকিয়াও হৃদয়ে পরম জড় পদার্থ হইয়া থাকা কিছুমাত্র বিচিত্র নয়। অনেকে বলেন যে বিদ্যালয়ে পুস্তকের সাহায্যে নীতিশিক্ষা দেওয়া যায় না। ইহাতে বালকগণ কতকগুলি বড় বড় কথা শিথে মাত্র। তাহাদের নীতি গঠিত হয় না। এলেনয় প্রদেশের এই উপরোক্ত বিধানের আলোচনা উপলক্ষে অধ্যাপক হাওয়ার্ড মুর বলেন যে—“বিদ্যালয়ে লাটিন ও গণিত শিক্ষা দেওয়া যেমন সম্ভব-—দয়া ও মৈত্রী শিক্ষা দেওয়া তেমনি সম্ভব।” শুমার্জিত কল্পনার অভাবেই মানুষ অপরের প্রতি দুর্ব্যবহার করে । নানাবিধ গল্প ও প্রত্যক্ষ ঘটনার অবলম্বনে, সাহিত্য ও দৃষ্টাস্তের সাহায্যে বালকদের চিত্ত ও চিন্তাকে জীব জগতের মুখ দুঃখের দিকে আমরা প্রসারিত করিয়া দিতে পারি। বালক বালিকারা যেন বুঝিতে পারে যে, তাহদের প্রত্যেক কার্য্যের সহিত মানব ও মানবেতর জীব জস্তুর স্থখ দুঃখের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তাহার একটি সহানুভূতিপূর্ণ স্নিগ্ধদৃষ্টি পথপাশ্বের আশ্রয়হীন ভিখারীর প্রাণে আনন্দের তড়িৎপ্রবাহ সঞ্চার করিতে পারে, শিক্ষাদ্বারা নানাবিধ কাহিনীর মধা দিয়া শিশুদের মনে এই ভাবকে জাগ্ৰত করিয়া দিতে হইবে। একটা দৃষ্টান্ত দিলে কথাটি আরও পরিস্ফুট হইবে। শিকার প্রবৃত্তিটা মাহয় তাহার পূর্বপুরুষ হিংস্র পশুদের নিকট হইতে অর্জন করিয়াছে ; কিন্তু বালকদের যদি नाहे । । কল্পনাকে রুচিকে যুক্তিকে যেমন নানা জড়তা ও অন্ধ । ১০ম ভাগ । T

  • ২য় সংখ্য । ]

ੇਸ਼ Lives of the Hunted পড়িতে দেওয়া যায় তবে তাহদের প্রাণে নিহত পশুদের জন্ত যে করুণা ও সহানুভূতির উদ্রেক হইবে, তাহাতে ধীরে ধীরে তাহীদের মন হইতে শিকার প্রবৃত্তিটা দর इङ्ग्रेग्न गाडेर बग्ने बाङ्ग्रेन । পূৰ্ব্বে অসভ্যাবস্থায় মানুষ তাহার বুদ্ধ পিতাকে হত্যা করিত এবং নরমাংস ভক্ষণ कझिन्छ। जज्राज्र बृक्रित गएछ ।' মানুষের মধ্যে পরস্পরের সহিত প্রতিবন্ধন বৃদ্ধি পাইতেছে ; বঞ্চর প্রথাগুলিও উঠিয়া বাইতেছে। ডারউইনের বিবর্তনবাদের সঙ্গে সঙ্গে পশু পক্ষীর সহিত আমাদেরও যে রক্ত মাংসের একটা পবিত্র যোগ আছে মানুষ তাহা ক্রমেই নিতে পারিতেছে। এবং মানব জমে ক্রমে মঙ্গলভার निश्a॥ १७ अनिौद 2टि टि नि' ँ করিতেছে।" নামেরিকা এইরূপ শিক্ষার পথ প্রদর্শন করিয়া মানব সভ্যতার প্রভূত কল্যাণ সাধন করিয়াছে। কা । অমিষাহারে ক্লান্তিবোধ । সায়েন্টিফিক রিবিয়ু পত্রে জনৈক লেখক বলিতেছেন, মাংসাহার যে যতটা কমাইতে পারিবে কষ্ট সহিষ্ণুতা ठाशन उलझे दूक्रि श्राश्रद। ७* श्रीनिव ° নিরামিষ আছার সম্বন্ধে যুক্তদ্বন্দের দিনে কোন আহার গ্রহণ কৰিলে কান্তিবোধ কমানে যাইতে পাধে তাহা বিচার করিয়া দেখার প্রয়োজন উপস্থিত হইয়াছে । অধ্যাপক আইবিং ফিশার কতকগুলি সবলকায় नाड़िएक ¢हेमएल निङङ कबिछ। 4***** আমিষ ও আর এক দলকে নিৰামিষ আহার করিতে দিয়া যে পরীক্ষা करद्रन डाश झठेएउ ७ई निकोड উপনীত হওয়া গিয়াছে a নিৰামিষাহারীরা আমিষাহারীদের অপেক্ষ অনেক দেশ পরিশ্রম করিতে পারে ও সহজে ক্লাস্তিবোধ করে না । ভারবাই নিরামিষাহারী পশুর অমিষাহারী সিংহ, দাগ্রাদি জন্তু অপেক্ষ অধিক পরিশ্রম করিতে পারে এবং তাছাদের ক্লাস্তিবোধও কম। আমিষ এবং নিরামিষ দুইই গ্রহণ করে এইরূপ মিশ্রাহারীদের অপেক্ষাও নিরামিষাহারীরা অধিক পরিশ্রম করিতে পারে, ইহার | যথেষ্ট প্রমাণ • ওয়া গিয়াছে। সংকলন ও সমালোচন—আমিষাহারে ক্লান্তিবোধ । >8న _പ്പപ്പSumitaBot (আলাপ) ১৮:১৯, ২৫ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)്SumitaBot (আলাপ) ১৮:১৯, ২৫ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) এই .ক্লাস্তিবোধের কারণ লইয়া অনেক গবেষণা চলিতেছে। ডাক্তার হেগ বলেন, আমাদের শীরে বিল এবং রিকায়ই ক্লাস্তি উৎপাদনের কারণ। এই দুইটি পদার্থ যখন শরীরাভ্যস্তরে অত্যধিক পরিমাণে জন্মে তপন এই দুইটি পদার্থ রক্তের সহিত भिजित्ठ श्रृङ्ग्रेव्रा द्रख्यक গাঢ় করিয়া তোলে। হৃদপিণ্ডের এই গাঢ় রক্ত কৈশিকাগুলির মধ্যে চালিত করিতে অত্যধিক পরিশ্রম করিতে হয় বলিয়া দেহ শীঘ্রই ক্লাস্ত হইয় পড়ে। রক্তের গাঢ়তার জন্য রক্তসঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় রক্তের চাপ বৃদ্ধি পাইয় থাকে। রক্তের চাপের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্লাস্তিও বৃদ্ধি পায়। এদিকে ইহা একটি প্রমাণিত কথা যে রক্তের চাপ কম থাকিলে পরিশ্রম করিবার ক্ষমতা বেশী হয় এবং ক্লাস্তিবোধও কম থাকে। - মাংস আহার করিলে পরিপাক ক্রিয়ার সময় প্রভূত - পরিমাণে যুরিয়া ও যুরিকান্ন উৎপন্ন হয়। মূত্র-যন্ত্রদ্বারা ইহার অনেকাংশই বহির্গত হইয়া যায় বটে কিন্তু কিছু যাহা রক্তের সহিত মিশ্রিত হইয়া থাকে তাহাতেই শরীরের অনেক অপকার হয়। মাংসাহার না করিলে এই দুইটি পদার্থ শরীরাভ্যন্তরে তত বেশী পরিমাণে জন্মিতে পারে না এবং ক্লান্তি উপস্থিত হইবার কারণও কমিয়া যায়। ডাঃ হেগ আরো বলেন জীবদেহের পেশীমধ্যে ক্লান্তি উৎপাদক একপ্রকার বীজাণু বর্তমান আছে ; সেগুলি সাধারণতঃ শারীরিক জীবনীশক্তি দ্বারা প্রতিহত অবস্থায় থাকে। এই শক্তি কোনো কারণে একটুকু নিস্তেজ হইলেই উহাদের কার্য্যক্ষেত্র প্রসারতা লাভ করে এবং সহজে ক্লাস্তি আনয়ন করিয়া দেহকে অবসন্ন করিয়া ফেলে। ংসাহারে পেশমধাস্থ এই বীজাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং আমাদের দেহ মধ্যস্থ ক্লাস্তি উৎপাদক বীজাণুগুলির সহিত মিলিত হয়। তখন উহাদের সমবেত চেষ্টায় আমাদের জীবনীশক্তি নিস্তেজ হইয় পড়ে। যত দেন মাংস আহার করা যায় ততই সেই বীজাণুগুলি আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে সঞ্চিত হইতে থাকে এবং ণেৰে আমাদের এরূপ অবস্থা হয় যে,সামান্ত একটুকু পরিশ্রমেই অত্যধিক ক্লান্ত হইয়া পড়ি। ডাঃ হেগের মতে