পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বাংলার রসকল-সম্পদ ১০৩ বহু শত বৎসরের উপেক্ষ ৪ অবজ্ঞাসত্ত্বেও আজ যন্তও এই সকল ক্ষেত্রে আমাদের দীনদরিদ্র পল্লীশিল্পিগণ সই গৌরবময় জাতীয় প্রতিভার ধারা অল্পাধিকভাবে বহন করিয়৷ অসিতেছে। কিন্তু অবশেষে আজ তাহা বৰ্ত্তমান বাংলার শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বাঙালীর কাছে উপযুক্ত আদর ও উৎসাহের অভাবে অনেকস্থলেই নিৰ্মলপ্রায় श्रङ्गे। गाईएउाछ् । -. আধুনিক শিক্ষিত ও অন্ধশিক্ষিত বাঙালী যদি আপন জাতির আত্মার সহিত চিরদিনের জন্য বিযুক্ত গুইয়া বেড়াইতে ন চায়, তবে এখন এই জাতীয় প্রতিভাসম্পদকে ও তাহীর দীনদরিদ্র বাহ কদিগকে অবিলম্বে চিনিয়ু লইয়। সামাজিক ও আর্থিক লাঞ্ছন হইতে মাহাদিগকে মুক্তিদান করুক ও জাতির শিল্পশিক্ষার পদে বরণ করুক। নতুবা চিরদিনের জন্য বাঙালীর অধ্যাত্মিক আত্মহতা ও আত্মবৈশিষ্টা-হীনতা স্থির নিশ্চয় । বাঙালীকে ইহা বুঝিতে হইবে যে, যদিও বাংল। দেশ ভ1র তবর্মের অন্যতম একটি অঙ্গ এবং সদিও বাংলার স কৃষ্টি ও সভ্যত ভারতের যুক্ত সংকুষ্টি ও সভ্যতার একটি অংশ স্বরূপ এবং অন্যতম উপাদান ও শাখ। স্বরূপ, তথাপি ঠত। নিঃসন্দেহ যে, বাংলার একটি নিজস্ব সংকৃষ্ট আছে সুহি সে ভারতের যুক্ত সংকুষ্টিতে দান করিয়াছে ও করিতেছে, যাহা ভারতের অন্যান্য প্রদেশের সংকৃষ্টির সঙ্গে পনিষ্ঠ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট অথচ তাহদের থেকে পৃথক এবং যাহা বাংলার জাতীয় আত্মীর প্রকৃতির বিশিষ্ট অভিব্যক্তি স্বরূপ ও পরিচায়ক এবং ইহাও নিঃসন্দেহ ধে, বাংলার নিজের অধ্যাত্মিক অস্তিত্বের, চরিত্রের ও জীবনের বিকাশের দিক হইতে এবং ভারতের সংস্কৃষ্টি পূর্ণবিকাশের দিক হইতে বাংলাকে তাহার স্বকীয় আত্মার এই নিজস্ব প্রতিভা-বৈশিষ্ট্যকে সযত্নে এবং সগৰ্ব্বে মানিয়৷ ও চিনিয়া লইতে হইবে এবং বাঙালীকে ইহা হইতে তাহার প্রাথমিক ও প্রধান অকুপ্রাণনা আহরণ করিতে হইবে। তবেই বাঙালীর আপন স্বজনী-শক্তির বিকাশ হইবে। তবেই বাঙালী আপন জীবনের ও চরিত্রের. পূৰ্ণবিকাশ সাধন করিতে পারবে এবং ভারতের উদার যুক্ত সংকৃষ্টতে এবং বিশ্বমানবের বিশাল সংক ষ্টতে আপনার বিশিষ্ট দান দিয়া সার্থক ও ধন্য হইতে পরিবে । প্রথমে স্থপতিকলার কথা ধরা যাউক । অশোক-যুগের সাচি ও ভারহুতের, মুসলমান-যুগে দক্ষিণ-ভারতে বিজাপুরের ও উত্তর-ভারতে দিল্লী ও আগরার মোগল-প্রাসাদশ্রেণীর এবং বৰ্ত্তমান যুগে মৃদর রাজপুতানার বাস্থ গৃহের স্থপতিগণের যে সৌন্দর্য্যময় নিৰ্ম্মাণ-কল| আজ আমাদের প্রশংসা অর্জন করে, সেই স্থপতিগণ যে প্রাচীন যুগে আমাদের বাংলারই কুটারশিল্পের উদ্ভাবিত, স্বমধুর স্থপতিকলা হইতে প্রচুর অনুপ্রাণন ও নিৰ্ম্মাণক্ষেত্রে রূপকল্পনার আদর্শ সংগ্ৰহ করিয়াছিল তাহ স্থপ্রমাণিত হইয়াছে। তথাপি আধুনিক শিক্ষিত বাঙালীর অবজ্ঞ ও উপেক্ষার ফলে আজি বাংলার বনিয়াদী কুটার-নিৰ্ম্মাণ-পদ্ধতিকুশল স্থপতিগণ ও তাহদের অপুৰ্ব্ব শিল্প-নিপুণত বাংল। দেশ হইতে দ্রুত বিলুপ্ত হইয়ু যাইতেছে। লোকসঙ্গীতের ক্ষেত্রেও আমরা কি দেখিতে পাই ? যে-রবীন্দ্রনাথের গীতিকাব্যের অনুপম প্রতিভ{গৌরবে ও সৌন্দর্ঘ্যে আজ জগৎবাসী ও বঙ্গবাসী মুগ্ধ তাহার সেই গীতিকাব্যের অনুপ্রাণনার মূল উৎস যে আমাদের বাংলার শতসহস্ৰ লোক-সঙ্গীত-বিশারদ পল্লীবাসিগণ, তাহাদিগের কাছে শিক্ষিত বাঙালী তাহার অনুপ্রাণন গ্রহণ করিতে যাওয়া লজ্জাজনক ও হেয় জ্ঞান করে, তাহদের অল্প পম লোক-সঙ্গীত-কলা-প্রতিভা রীতিমত ভাবে শিক্ষা করিবার ও অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্য কোন চেষ্ট অথবা তাহদের সামাজিক ও আর্থিক অবস্থার দীনতা দূর করিবার জন্য কোন চেষ্টা শিক্ষিত বাঙলী করে না, এবং ইহার ফলে এই অনুপম জাতীয় সম্পদ ও দেশ হইতে বিলুপ্তপ্রায় হইতে চলিয়াছে। বৎসরেক কাল পূৰ্ব্বে বাংলার প্রাচীন গৌরবময় রায়বেশে যোদ্ধাদের বংশধরগণের উন্মদিনাময় রণতাগুব রায়বেশে-নৃত্যের আবিষ্কার না-হওয়া পৰ্য্যস্ত শিক্ষিত Indian Architecture by E. B. Haveli, opp. 92, 121 ; Handbook of Indian Art, bs Havell 188