পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাপিত ও নাপিতনী পালব দরি শিল্প অভাবে বাংলার জাতীয় ভাস্করগণ পল্লীর কুটারে স্থপতিকলার অচ্যঙ্গিক কাঠ-ভাঙ্গধ্যেই প্রধানতঃ তাহীদের শিল্পকৌশল প্রদর্শন করিয়া আসিতেছে। শহুরে, শিক্ষিত ও সমৃদ্ধ আধুনিক বাঙালীর কাছে এ-সব কাজ প্রায়ই অজ্ঞাত থাকিলেও পশ্চিম-বাংলার পল্লীগ্রামে বনিয়াদী কুটারগুলিতে ইহাদের অনিন্দাসুন্দর ও সুনিপুণ কলা কৌশলের যথেষ্ট নিদর্শন এখন ৪ পাওয়া যায়, এবং আমার বেশীর ভাগ বাকেটগুলি হাতীর শুড়ের পরিকল্পনা নিৰ্ম্মিত বলিয়৷ এইগুলিকে সাধারণতঃ “শুড়ো” বলিয়৷ অভিহিত করা হয় ) ; ( ২ ) চালার বরগ ইত্যাদির উপর “বোঠে” নামক অলঙ্কারিক কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত আকৃতিগুলিতে ; এবং ( ) দরজার চৌকাঠের পাটায় । ইহাদের প্রত্রোক শ্রেণীর অনেকগুলি চমৎকার ধায়ামরতা নার বাংলার দারুশিল্প বিশ্বাস যে, ইহাদের পূর্বপুরুষগণের ভাস্কর্যানিপুণতাও, বাংলাব প্রাচীন যুগের স্থপতিদের স্থাপত্যশিল্প-নিপুণতার স্থায়, অশোক-যুগে সাচি ও ভারছতের ভাস্বরদিগকে অনুপ্রাণিত করিয়াছিল । বাংলার এই বৰ্ত্তমান পল্লীভাঙ্গয্য কলা বাংলার সাধারণ পল্পীজীবনের সঙ্গে রসকলার ঘনিষ্ঠ সংযোগের একটি উজ্জল দৃষ্ঠস্থ । ইহার উদাহরণ প্রধানত: পাওয়৷ যায় তুিন প্রকার কাজে – ( ১ ) কাণিশের ব্র্যাকেট বা “শুড়ো”গুলিতে ; উদাহরণ আমি বীরভূম জেল হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছি। এইগুলির শিল্পকৌশল এত স্বনিপুণ ও মনোমুগ্ধকর যে, পৃথিবীর কোন দেশের ভাস্কর্য্যের সঙ্গে নিপুণতার তুলনায় ইহাদের হার হইবে না বলিয়। আমি বিশ্বাস করি। এই উদাহরণগুলি হইতে স্পষ্ট বুঝা যাইবে যে, যে-সকল চীনদেশীয় মিস্ত্রীর দল আজকাল কলিকাতা শহরে কাঠের কাজে একচেটিয়া আধিপত্য স্থাপন করিয়াছে ও যাহার আমাদের দেশের ধনকুবেরদের কাছে লম্বা লম্বা মাহিনী পাইতেছে, তাহাদের চেয়ে আমাদের বাংলার পল্লী