পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৮ একটি বাবুগোছের লোক বোধ হয় টিকিটের হাঙ্গাম করেন নি,তিনি গাড়ীর ছোট ঘরটায় ঢুকে দোর দিয়েছেন। সুবৃহৎ ষ্টেশনের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি এই নিস্তেজ আলোয় এখনও ঠিক চেনা যাচ্ছে না । ক্রমে চারিদিক উজ্জল হয়ে উঠেছে। অন্য অন্য লাইনে আরও কয়েকটা ট্রেন নিস্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে। কোথায় যেন কাকেদের কনফারেন্স বসেছে, তাদের কলধ্বনিতে তার আভাস পাচ্ছি। বাঙ্কের উপরে ছেলেটি এতক্ষণে উঠে বসল। তার মুখের উপরে মুনিদ্রার তৃপ্তির চিহ্ন। নীচে নেমে সে ব্যাগটি তুলে নিলে, তারপর ভদ্রলোকটিকে একটি ছোট্ট নমস্কার করে বললে,--আচ্ছা দাদা, তাহলে আসি । আমাকে এইখানেই নামতে হবে, বলে দরজা খুলে বাইরে এসে দাড়াল। ভদ্রলোক ধেন একটু মুখভারী ক’রে বললেন, তোমার বুকের ব্যথা সারল ? ছেলেটি ঘুরে দাড়িয়ে হঠাৎ হেসে ফেললে । বললে দেখুন ইয়ে—কি বলে বুকের ব্যথা আমার কোনওদিনই S99ā> আমরা যেন সব আকাশ থেকে পড়লুম, ভদ্রলোক লুচির স্বাদ ভুলে গেলেন । তার জাগরণক্লাস্ত চিত্ত যেন মুহূর্বের মধ্যে সমস্ত সংষম হারিয়ে ফেললে। তিনি চীৎকার ক’রে বললেন,—তবে রে ছোটলোক চামার, ক্রোধের অতিশয্যে বাকি কথাগুলি তার মুখ দিয়ে আর বেরুল না । ছেলেট কিন্তু রাগ করলে না । বললে—নেহাৎ মিথ্যে বলেন-নি দাদা। চামার না হলেও তার কাছাকাছি • বটে, আমি জাতে নমঃশূদ্র । ভদ্রলোক যেন আরও কি বলতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার মুখ ছায়ের মত সাদা হয়ে গেল । ছেলেটি আবার একটু হাসলে। বললে কিছু মনে করবেন না, পৈতেট। সঙ্গে সঙ্গে রাখি—সময়ে অনেক কাজ দেয়, বলে সে উত্তরের অপেক্ষ না করে ধীরে ধীরে চলতে আরম্ভ করলে, দেখতে দেখতে গেটের ভিতর দিয়ে তার দীর্ঘ দেহ অদৃশ্ব হয়ে গেল। গাড়ীময় তখন হাসির রোল উঠেছে। কিন্তু ভদ্রলোক নেই, কালও হয় নি। কিন্তু আপনার দয়ায় কাল দিব্যি নিৰ্বাক হয়ে বসেই রইলেন। গাড়ী আবার চলতে ঘুমোনো গেছে, সে জন্যে অনেক ধন্যবাদ । স্থর করল । مسييجيب بحجيج নারী সমবায় ভাণ্ডার শ্ৰীঅবলা বস্তু চৈত্র মাসের প্রবাসীতে ঐযুক্ত শাস্তাদেবী তাহাব ভ্রমণ-বৃত্তান্তের মধ্যে বোম্বাইয়ের নারীগণ প্রতিষ্ঠিত স্বদেশী দোকানের সহিত কলিকাতার কলেজ ষ্ট্রীট মার্কেটে প্রতিষ্ঠিত নারী সমবায় ভাণ্ডারের তুলনা করিয়াছেন। তিনি যে নিদাচছলে লেখেন নাই তাহ জানি, তথাপি প্রবাসীর পাঠকপাঠিকাদের অবগতির জন্ত শারী সমবীয় ভাণ্ডারের উদ্দেশ্নের সফলতার বিষয়ে কিছু বলিতে ইচ্ছা হয়। তিন বৎসর পূৰ্ব্বে ইউরোপ হইতে দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তনের পথে বোম্বাইয়ে উক্ত স্বদেশী দোকান দেখিবার সুযোগ পাই । ইয়োরোপে থাকিতেই খবর পাই যে, বোম্বাইয়ের সন্ত্রান্ত মহিলার এমন কি পাশী মহিলারাও থদর পরিতে আরম্ভ করিয়াছেন । আমার পরিচিত ধনী বংশের একটি বাঙালী মহিলা ইয়োরোপে আমাকে বলিলেন যে বোম্বাই কুীতে $াহার ভগিনী তাহাকে উপহারের জন্ত ইয়োরোপ হইতে বস্তুদি লইতে বারণ করিয়াছেন, কারণ বোম্বাইয়ে কেহ আর বিদেশী বস্ত্র ব্যবহার করেন না। বোম্বাই পেচিয়। শুনিলাম যে, পার্শী গুজরাট মারহাট্ট মহিলারা পালা করিয়া উক্ত দোকানে বিজেতার কাৰ্য্য করিতেছেন, যে-গৃহে দোকানটি অবস্থিত তাহার মাসিক ভাড়া ২. গৃহের মালিক নাকি এক বৎসরের জন্য উক্ত গৃহ স্বদেশী । প্রচারের উদ্দেশ্বে বিন ভাড়াতে দিয়াছেন। বস্ত্রব্যবসায়ীরা বিনসৰ্ত্তে বস্ত্রাদি বিক্রয়ের জন্য পঠাইয়াছেন এবং দোকানের ব্যবসায়ের দিকটা বস্ত্রব্যৱসায়ীদের দ্বারাই পরিচালিত। বলিতে গেলে স্বদেশী দোকানটি বস্ত্রব্যবসায়ীদের উৎসাহে মেয়েদের দ্বারা পরিচালিত হইতেছিল, ইহাতে মহিলাদের লাভ-লোকসান ছিল না, তাহার। গ্ৰহাদের শক্তি ও শ্রম দিয়া সাহায্য করিতেছিলেন ; ধনী-নিধন শিক্ষিপ্ত-- অশিক্ষিত সকল সম্প্রদায়ের মেয়েরাই গুহকৰ্ম্ম সমাধান করির গাজী :