পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বশাখ তারা চৈত্রের প্রবাসীতে “তারা” শীৰ্ষক প্রস্তাবের শেষভাগে ত্রযুক্ত নীকান্ত গুহ লিখিয়াছেন যে, লক্ষ্মণের সহিত সাক্ষাৎ করিতে |aংবার সময়ে তারা যে মদ্যপান করিয়াছিলেন এবং রাম যে ২াকে আদর করিয়া মৈরেয়ক মদ্য পান করাইয়াছিলেন তাহ। কোন বfক্ত কর্তৃক তার এবং সীতার চরিত্রকে হেয় করিবার উদ্দেষ্ঠে রামায়ণে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে । রজনীবাবুর এই মন্তব্যে আশ্চৰ্য্য বোধ হইল । ভারতবর্ষে এমন লোক কখনই ছিল না যে সীতার চরিত্র হেয় করিতে গড় ৫রিতে পারে। আর দেশের প্রথা অনুসারে রাম যদি একটু মদ্যপান করিতেনই এবং সীতাকেও একটু পান করাইতেন অথচ যখন ঠাঙ্গর মত্ত হইতেন না তখন তাহাদের চরিত্র হেয়ই বা কেন হইবে ? মদ্যপান করা যে সেকালে অত্যধিকরূপে প্রচলিত ছিল তাছ। রামায়ণ, মঃাভারত, হরিবংশ এবং কালিদাসের কাব্য পাঠ করিলে অবগত হওয়৷ সুখ । রাম যে সীতাকে মদ্য পান করাইয়াছিলেন ইহা ঐতিহাসিক ৬ষ্ঠতেও পারে, ন হইতেও পারে, কিন্তু ইহা যে তদানীন্তন দেশ-প্রচলিত প্রগার প্রতীক ইহা মনে করা যাইতে পারে । যে কার্য্যে কোনরূপ BB KKK BBS BBB BBD DBB BB BS BBYJBBBBB BBBS }য় না এমন কার্য্যে দোষ ধরা উচিত নহে {&

  • মদ্যপানে স্বাস্থ্যহানি বা কাহারও অনিষ্ট হয় না, ইহা সত্য নঙ্গে –প্রবাসীর সম্পাদক ।

তিনশে। পয়ষট্টির এক ১২৩ তারার প্রতি এই অভিমত আরও অধিকরূপে প্রযোজ্য । তিনি ছিলেন একটি অনাৰ্য্য-জাতীয় নারী । তাহার সমাজে মদ্যপান বাপকভাবে প্রচলিত ছিল। তিনি নুতন স্বামী হগ্রীবের সহিত মদ্যপান প্রভৃতি আমোদ-প্রমোদে সময় অতিবাহিত করিতেছিলেন । তাহার। রামলক্ষ্মণের কথা একেবারে ভুলিয়া গিয়াছিলেন। ইহাতে লক্ষ্মণ অতিমাত্রায় কুপিত হইয়া সশস্ত্র হইয়া উtহীদের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলেন। তারাই বিলাস ত্যাগ করিয়া অন্তঃপুর হইতে বহির্গত হইয়। র্তাহার সম্মুখীন হইলেন। লক্ষ্মণকে প্রসন্ন বা বশ করাই অবঙ্গ তারার একমাত্র উদেহু ছিল । এই উদেষ্ঠ সাধণের জন্ত তিনি যে-ভাবে সজ্জিত হইয়াছিলেন বলিয়া রামায়ণে বর্ণনা আছে তাতাতে রামায়ণকারের মনুষ্য-চরিত্রে অসাধারণ অভিজ্ঞত। প্রকাশ পাইয়াছে। এমন আচরণে বিশেষত একজন অনায্য-জাতীয় নারীর হেয় হইবার কি থাকিতে পারে ? ভালমন নির্ণয় করিবায়ু মানদণ্ড সকল সমাজের এবং সকল মানুষের একরূপ নহে। আমি যে, কাৰ্য্য দু বলিয়। মনে করি এবং ঐতিহাসিক কোন ভক্তিভাজন ব্যক্তির চরিত্রে যদি সেই কার্যোর আরোপ দেখি, তাহা হইলে সেই আরোপ মিথ্যা বলিয়া বিবেচনা করা তামার পক্ষে স্বাভাবিক হইতে পারে, কিন্তু সেই ভক্তিভাজন ব্যক্তির মানদণ্ডে হয়ত সেই কাৰ্য্য মোটেই দোযাবহ ছিল না । শ্ৰীবীরেশ্বর সেন তিনশো পয়ষট্টির এক শ্ৰীনলিনীকান্ত সরকার কয়েক দিন যাবৎ বিষম গুমট পড়িয়াছে । রাত্রিতে সুমাইবার উপায় নাই, সারারাত্রি পাখ-হাতে এপাশ-ওপাশ করিয়া কাটাইতে হয় ; তন্দ্রঘোরে পাখাটা হাত হইতে পুড়িয়া গেলে ঘামে সারা গা ভিজিয়া যায়, তন্ত্রীও ভাঙিয়া যায়। এর উপর মশার উপদ্রবও বাড়িয়া গিয়াছে । রাত্রি এইভাবে কাটাইয়া ভোরে উঠিয়া রাইচরণ দাওয়ার উপরে ছক হাতে ঝিমাইতেছিল। স্ত্রী নিত্যকালী সন্মাজনীর কাজ শেষ করিয়া এটো বাসন লইয়৷ ঘাটে গিছে ; ছেলেমেয়ের সারারাত্রি উপদ্রব করিয়া ভোরের বাতাসে ঘুমাইয় পড়িয়াছে। ঝিমাইতে ঝিমাইতে রাইচরণ স্বপ্ন দেখিতেছিল, যেন তাহার বাড়িটা তিনতলা"ালান হইয়া গিয়াছে, ছাদের উপর নিত্যকালী ছেলেমেয়েদের লইয়া ডাটা চচ্চড়ি দিয়া একথালা পাস্ত ধাইতেছে, আর সে যেন মরিয়া চিল হইয়া বাশের ডগায় বসিয়া সব দেখিতেছে । তিনকড়ি চক্কোত্তি টাকার তাগাদায় আসিয়া হতভম্ব হইয়া রাস্তায় দাড়াইয় আছে, বাশের উপর তাহাকে দেখিয়া ঢ়িল ছুড়িতেছে, কিন্তু ঢিল, অতদূর পৌছিতেছে না। অশ্বিনী শীল তামাক থাইতে খাইতে আসিয়া তিনকড়ি চক্কোত্তিকে হুকা বাড়াইয়া দিয়া বলিতেছে, খুড়ে তামাক খাও। রাইচরণের বিষম ভাবনা হইল, চক্কোত্তি-মশায় অশ্বিনী শীলের স্থ কায় তামাক খাইবে কি করিয়া ? এমন সময় অশ্বিনী আবার বলিল, খুড়ো তামাক খাও। চরণের তন্দ্র। ছুটিয়া গেল, দেখিল অশ্বিনী শীল তাহাকেই বলিতেছে, খুড়ে আগুনট যে গেল, টেনে খাও । - চরণের তন্ত্র ছুটিয়া গেল, বলিল, অশ্বিনী যে, এত সকালে যাচ্ছ কোথায়? , , !" অশ্বিনী চরণের হাত হইতে স্থকাটা লইয়া টাঙ্কি