পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ভিমশে। পয়ষট্টির এক ১২৫ কচুর শাক লইয়া আসিয়া বাপের সম্মুখে রাখিয়া দিল । চরণ কহিল, তোদের আছে ? পেচী বলিল, কিছু শাক আছে, ভাত অার নাই। চরণ কিছু ভাত উঠাইয় লইতে বলিল, পেচী সম্মত হইল না, যে চারিটি ভাত, বাবার এবং ভাইদের উহাতেই কিছু হইবে না অগত্য চরণ কিছু শাক উঠাইয়। পেচীর হাতে দিল । অনুস্থ ছেলেটাকে শাক এবং পাস্তার জল দেওয়া যায় না, তাহাকে শুধু চারিটি ভাত জল ছাড়াইয়া মুন দিয়া দেওয়া হইল, সে শাকের জন্য কিছু কান্নাকাটি করিয়া অগত্য তাহাই খাইতে লাগিল । খাওয়ার পর চরণ রোগ ছেলেটার হাত ধুইয়া দিল, পেচী আর দুটি ভাইকে অঁাচাইয়া দিয়া এটো লইয়া ঘাটে চলিয়া গেল । চরণ দাওয়ায় উঠিয়া আর এক ছিলিম তামাক সাজিয়া লইল । নিত্যকালীর কান্ন সমানেই চলিতেছিল। একখানা দা হাতে নীলু মণ্ডল আসিয়া ডাক দিল, “কি হে চরণ, কাজে যাবে না, বড় যে তামাক খাচ্ছ ? চরণ হুক| বাড়াইয়া দিয়া তাহাকে কহিল, না দাদা, আজ সকাল সকাল একটু হাটে যাব ভাবছি। ও-পাড়ায় কট। পয়সা পাব, দেখি আদায় করতে পারি কি না । তামাক খাইয়া নীলু চলিয়া গেল, চরণও একথান গামছা কাধে ফেলিয়৷ বাহির হইয় পড়িল । পেচী বলিল, বাবা, চাল বাড়ন্ত, চাল আনবে তবে ভাত হবে । চরণ কহিল, আচ্ছা, এ বেলার মত চাল কিনে আনব, তার পর হাট থেকে ধানই অানব এক টাকার । চরণ চলিয়া গেলে পেচী মাকে হাত ধরিয়া তুলিয়া আনিল। দুইজনে সেই শাকটুকু খাইয়া জল খাইল, তারপর মিত্রদের বাড়ি হইতে দুই কাঠ ধান লইয়া আসিল, চাল করিয়া দিতে হইবে, তাহা হইলে কিছু পাওয়া যাইবে । চরণ হন-হন করিয়া চলিতেছিল, সকালে না গেলে বেণী কামারকে ধরা যাইবে না, পয়সাও আদায় হইবে না । কালীতলা পার হইয় যেই মাঠে পড়িবে অমনি দেখে রহমৎ কাবুলী সেইদিকে আসিতেছে। সে ধর্ণ করিয়া বঁদিকের বটগাছটার আড়ালে গা ঢাকা দিল; ভাগ্যে রহমং দেখিয়া ফেলে নাই। গত বৎসর তাহার নিকট । হইতে চরণ তের টাকায় নিজের একখান আলোয়ান ও দশ টাকায় ছেলেদের দুইটা কোট কিনিয়াছিল। সেদিন টাকার জন্যে বিশেষ তম্বি করিয়া গিয়াছে, আজ দেবার তারিখ, দেখিতে পাইলে আর রক্ষা নাই । যাহা হউক রহমৎ পাশ দিয়া চলিয়া গেল, চরণ বলির পাঠার মত কঁাপিতেছিল ও দুর্গানাম জপিতেছিল। কাবুলী চলিয়া গেলে সে বাহির হইয়া এক রকম দৌড়াইয়াই মাঠ পার হইয়া গেল । বেণীকে বাড়ি পাওয়া গেল না। দু-সের চাল কিনিয়া গামছায় বাধিয়া চরণ নিলু মণ্ডলের বাড়ি গিয়া বসিয়া রহিল, কি জানি রহমং হয়ত এখনও বসিয়াই আছে। বাস্তবিক রহমং বসিয়াই ছিল। অন্যান্য কয়েক বাড়ি টাকার তাগিদ দিয়া রহমং চরণের বাড়ি আসিয়া সে বাড়ি আছে কি না জিজ্ঞাসা করিল, পেচী জানাইল বাড়ি নাই। কোথায় গেছে জিজ্ঞাস করাতে পেচী বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু তার মা চোখ টিপিয়া নিষেধ করিল। তখন পেচী বলিল, কোথায় গিয়াছে তাহা তাহারা জানে না, শীঘ্র ফিরিবারও কোন সম্ভাবনা নাই। তথাপি রহমৎ বাহিরে আমগাছতলায় বসিয়া রহিল। বেল পড়িয়া গেল, চরণের দেখা নাই। তখন রহমৎ উঠিয়া চরণের সহিত নানারূপ সম্বন্ধ স্থাপন করিয়া চলিয়া গেল, সে বলিয়া গেল আগামী শনিবার আসিবে, টাকা যেন পায়, নাহ’লে সে চরণকে খুন করিবে এবং বাড়িতে আগুন লাগাইয়৷ দিবে। এদিকে ধানভানা হইয়া গেল। চাল নাই, চরণেরও দেখা নাই, রান্নার উপায় কি ? আর একটু পরেই ছেলেরা খাইতে চাহিবে, নিজেদেরও যথেষ্ট ক্ষুধা পাইয়াছে। উপায়াস্তর না দেখিয়া মিত্রদের চাল হইতে দেড় সের লইয় পেচী রাধিতে বসিল, নিত্যকালী চাল লইয়া মিত্রদের বাড়ি গেল। সেখানে ইদুরের উপদ্রব এবং এখনকার ধানে চাল কত কম হয় ইত্যাদি বলিয়া মিত্রদের বউকে চাল বুঝাইয়া দিয়া আলিগ, ভাগে গিৰী বাড়ি ছিলেন না। পেচী রান্না করিতেছিল, এদিক-ওদিক চাৰিয়া চরণ বাড়ি জাগিল। জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল রকমং ७३थाह छजिब्रॉ. जिब्राह, भागॉरेंबा त्रिबाएझ *बिंबं८ङ्ग