পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ মক্তব-মাদ্রাসার বাংলা ভাষা ১৩৫ বিদ্যালয়ে সরকারী অর্থসাহায্য ইত্যাদি বিষয়ে স্বরূপ “তাহারা সকলে বে-গোনাহ” ( নিষ্পাপ ) লেখা "মুসলমানদের জন্য পৃথক ব্যবস্থার” ন্যায়, বাংলা ভাষার সম্বন্ধেও "একটা পৃথক ব্যবস্থা” পাকা করা। স্বৰ্গীয় দীনবন্ধু মিত্রের বগী বিন্দি যেমন স্বামীকে বঁট দিয়া কাটিয়া ভাগ করিয়া লইতে গিয়াছিল, মাতৃভাষাকে ভাগ করিয়া লওয়ার এই মনোবৃত্তিও কি সেইরূপ নহে ? স্বাভাবিক নিয়মে জনসাধারণ কর্তৃক বহুকাল ব্যবহারে যেসকল বিদেশী শব্দ সাহিত্য-মন্দিরে প্রবেশ লাভ করিয়াছে, উদার বাংলা ভাষার অঙ্কে তাহারা সাদরে স্থান পাইয়াছে। যে সকল বিদেশী শব্দের বাংলা হয় না, তাহাতেও আপত্তি নাই। “আমি এক কাপ চ খাইব" চলিতে পারে ; কিন্তু "আমি ওয়ান কাপ চা ড্রিঙ্ক করি” ইহা অসহ। তেমনি পূৰ্ব্বোক্ত কষ্টপ্রয়াস দ্বারা আনীত বিদেশী (আরবীফার্সী ) শব্দগুলি যেন নিমন্ত্রণ-সভায় অনাতৃতের মত অ-শোভন, ভাতের মধ্যে র্কাকরের মত পীড়াদায়ুক । অথচ স্বশিক্ষিত শিষ্টভাষাপট মুসলমান লেখককেও হিন্দুবিদ্বেষ ও আরবী অনুকরণেচ্ছ রূপ সমাজের দৃযিত মনোবৃত্তির সন্তোষসাধনার্থ ঐ “খিচুড়ি” ভাষাই ব্যবহার করিতে হইয়াছে ; স্বভাবতঃ ও সহজেই যে-ভাষা আসিয়া পড়ে, অকারণ মাঝে মাঝে দু-একটা বিকট আরবী ফাসী কথা মিশাইয়া, সেই ভাষাকে একটু কুংসিত করিয়া, তবে একশ্রেণীর লোকের আদরণীয় করিতে হইয়াছে। “ডক্টর পণ্ডিত” মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রণীত “মন্তব-মাদ্রাসা শিক্ষা ২য় ভাগ” তাহার অন্যতম দৃষ্টাস্ত । ঐ পুস্তকের প্রথম গল্প “প্রভাত" (ফজর নহে ); “রাত্রি প্রভাত হইয়াছে” বেশ কথা, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে "পূৰ্ব্বদিকে আসমানের লম্বা লম্বা শাদ রেখা দেখা যাইতেছে।” তবু ভাগ্য, যে “সফেদ রেখা" না বলিয় “শাদা রেখা” বলা হইয়াছে। কিন্তু "আসমানের” পরিবর্বে “আকাশের” কি মুসলমান বালকগণের পক্ষে একেবারে দুবেৰ্ণধ্য হইত ? “ঈমান” গল্পে—“তিনি সকলই হষ্টি করিয়াছেন। কেহ তাহাকে স্বষ্টি করে নাই। তিনি দয়াম”—নিখুঁত বাংল। কিন্তু । “তাহার নিষ্পাপ” লিখিয়া ৰোধ হয় পরেই গ্রায়শ্চিত্ত হইয়াছে। "মহম্মদের উপর কুরু-আন অবতীর্ণ হইয়াছে।” কিন্তু “অন্যান্য পয়গম্বরগণের উপরও কিতাব নাযেল ( অবতীর্ণ) হইয়াছিল”। “পরলোকের উপর ঈমান আনিবে” ( বিশ্বাস করিবে ) আবার “তকদীরে’র ( ভাগ্যের ) উপর “ঈমান” আনিবে, “আখেরাতের ( পরকালের ) উপর ঈমান আনিবে।” “পানি" গল্পে :–"জলকে মুসলমানের পানি বলে, পানির কোন আকৃতি, রং, গন্ধ অথবা আস্বাদ নাই । পানি তরল পদার্থ ( চীজ নহে ? )। পানি ন হইলে আমরা বাচিতে পারি না। এইজন্য সাধুভাযায় পানির এক নাম জীবন।” এই গল্পে—“পানি” ও “সাফ” এই দুইটি কথার বদলে “জল” ও “পরিষ্কার" বসাইলে কোন হিন্দু লেখকের রচনার সহিত ইহার পার্থক্য থাকে না । উচ্চশিক্ষিত মুসলমান লেখক বোধ হয় ঐ ভয়েই দুইটি খুত ইচ্ছা করিয়া রাখিয়া দিয়াছেন। "বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়ত", "পিওর ওয়াটারের প্রয়োজনীয়তা’র মতই কতকটা শুনায় না কি ? এই গল্পে—“আমাদের শরীরে জলীয় ( “পানীয়”, বলিলেই বা ঠেকায় কে ? ) অংশ আছে”, “শরীরের জন্য যেমন খাদ্যের দরকার, সেইরূপ পানিরও দরকার” ; “গোসল করে” লিখিয়া আবার “স্নানাদি কাৰ্য্য সাধিবে”, “খাওয়ার পানির” মত “পানীয় ( কোন শব্দের বিশেষণ ? ) জলও” আছে - “হজরতের অতিথি সেবা” গল্পে—“মেহমানদারী” ( - অতিথি সেবা) ১ বার, ও “অতিথি সেবা” ২ বার, “মেহমান” (– অতিথি ) ১ বার, “অতিথি” ২ বার ব্যবহার করা হইয়াছে। এই লেখকের মক্তব-মাদ্রাসা শিক্ষা” (তৃতীয় ভাগ নামক পুস্তকেও ঐরূপ ভাষা। “মদিনাতেই তিনি এস্তেকাল করেন" (-মৃত্যু হয়) আবার "আল্লাহ তা অালার উপাসনা (এবাদত নহে? ) করিতেছিলেন।” (প্রথম গল্প)। "মহাসাগরের পানি” এবং “নীলবারিরাশি"ইই আছে। “দয়াস্বরূপ", "করুণাময় (ভর্মহেরবান मय्ह ?) *१ गद नक बादश्रब्र भांजीनब्र शजभ१द्र