পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বিবিধ প্রসঙ্গ—শ্ৰীযুক্ত ধীরেশচন্দ্র চক্রবর্তীকে প্রহার -&S তাহা না হইলে আপাতত ভোটদানের যোগ্যতা তাহার এরূপ করিতে বলেন, যাহাতে বঙ্গের সমুদয় অধিবাসীর শতকরা ২০ জন এই অধিকার পায়। ইহাতেও হিন্দুদের আপত্তি নাই। ত্রিপুরা জেলার হাসানাবাদে পুলিস গুলি ছোড়ায় এপর্য্যস্ত শুধু জনের মৃত্যু হইয়াছে। অন্যান্য উপদ্রবেরও সংবাদ ছড়াইয়াছে। লীগ হাসানাবাদের সব ঘটনা সম্বন্ধে প্ৰকাশ্ব তদন্তের দাবি করিয়া ঠিকই করিয়াছেন । ক্রীযুক্ত ধীরেশচন্দ্র চক্রবর্তীকে প্রহার শযুক্ত ধীরেশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্ত, এম্-এ “নিউ ইরা” নামক সপ্তাহিক কাগজ চালাইতেন। মুনশীগঞ্জে তাহার দু-বংসর সশ্রম কারাদ গু হওয়ায় তাহাকে হাতকড়ি দিয়! সেগান হইতে ঢাকা জেলে লইয়। আসা হইতেছিল। বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় শ্রযুক্ত খামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে মিঃ প্রেটিস স্বীকার করেন, যে, ধীরেশ বাবুকে যখন রাস্ত দিয়া লইয়া যাওয়া হইতেছিল, তখন পথের পাশ্বস্থিত থানা হইতে একজন ইউরোপীয় পুলিস কৰ্ম্মচারী আসিয় তাহার বাম চক্ষের উপর আঘাত করে, এবং তাঁহাতে র্তাহার চশমা ভাঙিয়া যায়। মিঃ প্রেণ্টিস বলেন, গবন্মের্ণট এরূপ প্রহর অঙ্কুমোদন করেন না এবং ভবিষ্যতে যাহাতে এরূপ ঘটনা ( যাহা সরকারী-মতে বিরল ) ন-ঘটে তাহার ব্যবস্থা করিতেছেন । সরকার পক্ষ হইতে যাহা স্বীকৃত হইয়াছে, তাহ নিশ্চয়ই সত্য। তাহার আলোচনা করা যাইতে পারে। পারেশবাবু উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত, সন্ধান্ত ও অতি ভদ্র লোক, দাগী বদমায়েস নহেন। র্তাহার হাতে কড়া লাগান সম্পূর্ণ অনাবশ্বক লাঞ্ছনা । তাহাকে প্রহার করিবার অধিকার কাহারও ছিল না। মিঃ প্রেটিস বলিয়াছেন, যে, প্রহারকর্তা ইংরেজ কৰ্ম্মচারীর উত্তেজিত হইবার কারণ ছিল, কিন্তু সে কারণটা কি তাহ! তিনি জানেন না। সম্ভবতঃ সেই তুচ্ছ বিষয়ে কোন খবর লওয়া তিনি আবশ্যক মনে করেন নাই। ধীরেশবাবু মান্দ্রাজের ডাঃ প্যাটনের মত ইংরেজ হইলে ভারতসচিব পৰ্য্যন্ত ক্ষম চাহিতেন । ইউরোপীয় পুলিস কৰ্ম্মচাৰীৰে ধীরেশ বাবু উত্তেজিত করিয়াছিলেন, না আর কেহ করিয়াছিল তাহাও জানা গেল না। পুলিস কৰ্ম্মচারী যে ধীরেশ বাবুর হাতে হাতকড়ি ছিল জানিত না এখবরট। তাহার সাফাইয়ের জন্ত মিঃ প্রেটিস লইতে পারিয়াছেন, কিন্তু উত্তেজনাটা কি প্রকার ও কে উত্তেজিত করিল তাহা তিনি জানিতে চেষ্টা করেন নাই ! এই ব্যাপারের সরকারী গোপন তদন্তট। একতরফা হইয়াছিল ; কারণ মিঃ প্রেটিস স্বীকার করিয়াছেন, যে, ধারেশবাবুর নিকট হইতে ঘটনাটার বৃত্তান্ত লওয়া হয় নাই । সুতরাং বুঝা যায়, মিঃ প্রেন্টিস্ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হইতে যে বৃত্তান্ত পাইয়াছেন তাহার সত্যত। পরীক্ষিত হয় নাই । ডিষ্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। যে-কৰ্ম্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সম্ভবতঃ তাহার কথা অস্থায়ী বৃত্তান্তই পাঠাইয়াছেন। মিঃ প্রেটিস বলিয়াছেন, ঐ কৰ্ম্মচারী এখনও সরকারী চাকরি করিতেছে, তদন্ত চলিবার সময় তাহাকে সম্পেণ্ড করা হইয়াছে কি না এবং তাহার নাম ও পদ কি, তাহা বলিতে মিঃ প্রেপ্টিস্ প্রস্তুত নহেন বলিয়াছেন । প্রশ্ন উঠে, যে, সরকারী সভ্যেরা প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করিতে পারেন কি ন। সভাপতি রাজা মন্মথনাথ রায় চৌধুরী বলেন, তিনি সরকারী সভ্যদিগকে উত্তর দিতে বাধ্য করিতে পারেন না । কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া-না-দেওয়৷ যদি সম্পূর্ণ রূপে সরকারী সভ্যদের মর্জিসাপেক্ষ হয়, তাহ হইলে প্রশ্ন করিবার অধিকারটা তুলিয়া দেওয়াই ভাল। অবশ্য, রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর না-দিবার অধিকার পালেমেণ্টেও সরকার পক্ষের আছে। কিন্তু একজন পুলিস কর্মচারীকে সম্পেও করা হইয়াছে কিনা, এটা ইংলণ্ড ও আমেরিকা বা অন্য কোন দেশের সহিত সন্ধি বিগ্রহ আদির মত গুরুতর ব্যাপার নহে। পালেমেণ্টে উত্তর ন-দেওয়া ও এদেশের ব্যবস্থাপক সভায় উত্তর নাদেওয়ার মধ্যে একটি গুরুতর পার্থক্য ত্রযুক্ত বিজয়চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেখাইয়া দেন। পালেমেণ্টে সরকারী কোন লোক অযথেষ্ট কারণে প্রশ্নের উত্ত্বর ন-নিষ্ট্ৰেভের তাকে ও তার লৰে ক্ষমতাচ্যুত ৰবিৰাৱ ষ্ট্ৰে :