পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{\ مdbلا S99చు * আমরা কংগ্রেসের বর্তমান উদ্যোক্তাদের পরামর্শের বাহিরে ; সরকারী চা’লেরও কোন খবর রাখি না— কংগ্রেস বেআইনী নয় অথচ তাহার অধিবেশন হইতে পারিবে না, এ হেঁয়ালীর রহস্য উদ্ভেদও করিতে পারি নাই। শেষ পর্য্যস্ত যাহা ঘটবে, তাহা হইতে আমাদের জ্ঞান জন্মিবে। সুতরাং সংস্কৃত প্রবচন অনুসারে আমরা “বর্বরাঃ" । প্রমাণ, যথা— রাজা পণ্ঠতি কর্ণাভ্যাং, ধিয়া পশুতি পণ্ডিতঃ । পশু পঙ্গতি গন্ধেন, ভূতে পশুস্তি বৰ্ব্বা: ॥ রাজা চরের কথা কাণে শুনিয়া, পণ্ডিত বুদ্ধিদ্বারা এবং পশু গন্ধদ্বারা বুঝিতে পারে ; কিন্তু বৰ্ব্বরের অর্থাৎ মুখের ঘটনা ঘটিয়া যাইবার পর পরিণাম দেখিয়া বুঝে। জাপানে সেন্সরের কৰ্ম্ম ভারতবর্ষের সব প্রদেশে এক এক জন সরকারী কৰ্ম্মচারী আছেন, তাহাকে সেন্সর বলা হয়। খবরের কাগজে কিরূপ খবর ও মন্তব্য ছাপা নিষিদ্ধ তাহ জানান এবং কোন কাগজ সেরূপ কিছু ছাপিলে তাহাকে ধমক সহ সতর্ক করিয়া দেওয়া সেন্সরের কাজ। জাপানেও আজকাল এরূপ রীতি আছে—বরাবর ছিল কি না জানি না। তবে এখানে ও সেখানে একটু প্রভেদ আছে। এখানে দেশী সম্পাদকের অভিযোগ করেন, সেন্সরের জারিজুরি ও ধমক ইংরেজ সম্পাদকদের উপর খাটে না, দেশীদের উপরই খাটে। জাপানে ইংরেজ সম্পাদকের বলেন, উপদ্রব তাহাদের উপরই হয়, জাপানী সম্পাদকদের উপর হয় না। কোবে শহরের জাপান ক্রনিক্ল নামক ইংরেজী কাগজের ৩রা মার্চের সাপ্তাহিক সংস্করণে সম্পাদক বলিতেছেন :– ২৪শে ফেব্রুয়ারীর জাপানী কাগজগুলিতে কিছু এরূপ সংবাদ ছিল যাহা দিনের বেলায় আমাদিগকে টেলিফোনে সাবধান করিয়া দেওয়া হইয়াছিল যেন আমরা নিশ্চয়ই নাছাপি। হুকুম হুকুমই. স্বতরাং আমরা ঐ সব খবর ছাপিতে পারিলাম না। একবার আমরা কোবে আদালতের কর্তৃপক্ষকে জাপানী সম্পাদক ও বিদেশী সম্পাদকদের প্রতি এই প্রকার ব্যবহার-পার্থক্যের কথা জানাইলে উত্তরে তিনি বলেন, “ কোন পার্থক্যই নাই। জাপানী কাগজগুলি যখন তাহাঞ্জে পাঠকদিগকে ঐসব খবর দিতে চায় তখন খবর দেয়, এবং তাহার ফলস্বরূপ জরিমানাও দেয়।” ক্রনিক্লের পক্ষে সংবাদ ছাপিয়া জরিমানা দিবার এই প্রকার প্রতিযোগিতার অবতীর্ণ হওয়া স্বসাধ্য নহে ; সুতরাং আমরা খুব দরকারী একুটা বিষয়ে আমাদের পাঠকদিগকে অনবগত রাখিতে বাধ্য হর্ভূমি । হয়ত ইহাতে বিশেষ কিছু আসিয়া যায় না, কল্প ঐ বিয়ের খবর সাধারণত হৰিতি। - জাপানী সম্পাদকের শেষ বাক্যটি অভিনিবেশযোগ্য।} জাপানে যেমন এখানেও তেমনি, গবন্মেটি কোন কোন বিষয়ে যে-সব সংবাদ ও মন্তব্য প্রকাশ করিতে দেন না, তাহা খুবই ছড়াইয়া পড়ে। প্রভেদ এই, যে, প্রকাশ্ব সংবাদপত্রে ছাপিতে দিলে অত্যুক্তি, আংশিক বা পূর্ণ মিথ্যাভাষণ প্রভৃতির প্রতিকার করা গবন্মেন্টের সাধ্যায়ুত্ত থাকে, কিন্তু নিষিদ্ধ সংবাদ ও মন্তব্য যে-ভাবে ছড়ায় তাহার উপর খুব জবরদস্ত হাকিমেরও হুকুম চলে না। গুজব একেবারে নিরঙ্কুশ-কবিদের চেয়েও নিরঙ্কুশ । টেলিফোন যোগে হুকুম দেওয়া এদেশেও চলিত আছে । ইহার সুবিধা এই যে, হুকুম যদি তুমি না মান, তাহা হইলে তোমার শাস্তি হইবে ; অন্যদিকে ওরূপ হুকুম সম্বন্ধে ব্যবস্থাপক সভায় প্রশ্ন উঠিলে সরকারী সভ্যবিশেষ বলিতে পারিবেন, ওরূপ হুকুমের কোন প্রমাণ উপস্থিত করিতে আমি প্রশ্নকৰ্ত্তাকে চ্যালেঞ্জ করিতেছি । এরূপ চ্যালেঞ্জ খুব নিশ্চিন্ত মনে নিরাপদে করা যায়। কারণ টেলিফোনের কথাবাৰ্ত্তার কোন স্বতোলিখিত RfPigs ( automatic record ) {f(t =[] ge Foi কথাবাৰ্ত্তার সত্যতা সম্বন্ধে সাক্ষীলাবুদও থাকে না বা হাজির করা অসম্ভব। জাপানে ও এদেশে সেন্সরের কাজ ঘটিত আরও কিছু পার্থক্য আছে। তাহার কারণ জাপান স্বাধীন দেশ । সেখানে জাপানী সম্পাদকেরা যাহা ছাপিতে পারে, বিদেশী সম্পাদকের তাহ পারে না ; এদেশে বিদেশী ইংরেজদের কাগজ যাহ। ছাপিতে পারে আমরা তাহ পারি না। আরও একটা প্রভেদ এই, যে, জাপানী সম্পাদকেরা নিযিদ্ধ খবর ছাপিলে তাহাদিগকে জরিমান দিতে হয় ; এদেশে ইংরেজদের কাগজে (দেশীদের জন্য) নিষিদ্ধ কিছু মুদ্রিত হইলে ইংরেজদের কাগজের কোন শাস্তি হয় না। নিখিলভারতীয় মেডিক্যাল কনফারেন্স নিখিল ভারতীয় মেডিক্যাল কনফারেন্সের সভাপতি ঐযুক্ত ডাক্তার নীলরতন সরকার তাহার অভিভাবঙ্গে চিকিৎসকদের সম্মুখে তাহাদের কাৰ্য্যের যে আদর্শ ধরিয়াছেন, তাহ অতি উচ্চ। তাহার' মতে, ভাৰে: