পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এইসব আলোচনা হইবে। এগুলি ভারতবর্ষে বিলাতী পণ্যদ্রব্যের কার্টুতি বাড়াইবার ফিকির। যশোহর জেলায় ও অন্যত্র নারীহরণ বৰ্ত্তমান সংখ্যায় অনেক পৃষ্ঠা বেশী দিয়াও বিস্তর প্রয়োজনীয় বিষয়ে কিছু লিখিবার জায়গা পাইলাম না । কিন্তু নারীহরণের প্রাদুর্ভাবের এবং গুণ্ডাদের দুষ্কর্মের যথোচিত প্রতিকারের চেষ্ট। গবন্মেণ্ট, মুসলমান সমাজ ও হিন্দুসমাজ করিতেছেন না, কেবল এই কথাটি লিখিতেছি । আর কয়েক দিনের মধ্যে চারি জায়গায় নারীরা স্বয়ং বা তাহাদের অভিভাবক যে অস্ত্র চালাইয়া দুবৃত্তদিগকে শাস্তি দিয়াছেন, সৰ্ব্বত্র সেই উপায় অবলম্বিত হইলে এই পৈশাচিকতার প্রতিকার হইত। প্রবেশিকার একটি প্রশ্নপত্র কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারকার ম্যাটিকুলেশ্বন পরীক্ষায় ছাত্রীরা বাংলা যে প্রশ্নপত্রটির উত্তর দিতে বাধ্য, তাহার সব দোষ দেখাইবার স্থান নাই ; কয়েকটির উল্লেখ করিব । যে-সব ভুল সংশোধন করিতে বলা হইয়াছে, তা ছাড়া উহাতে গুটি সাত আট ছাপার ভুল আছে। সপ্তম &lso got ot.g. “Translate any two of the following extracts,” fog cofa sists oxid করিতে হইবে, বলা হয় নাই। সকলের চেয়ে গুরুতর দোষ হইয়াছে প্রথম প্রশ্নটিতে। তাহাতে যে-তিনটি বাক্যসমষ্টি ইংরেজীতে অনুবাদ করিতে বলা হইয়াছে, তাহার প্রথমটি কেবল কৰ্ত্তব্যের খাতিরে নীচে উদ্ধৃত করিতেছি । বানানভুলগুলি প্রশ্নপত্রের। যে নারী প্রিয়জনদিগের আদরভাজন হইয়াও বিপদে স্বামীসেবায় পরীষ্মখ হয়, সে ইহলোকে অসতী বলিয়া পরিগণিত হইয়া থাকে। এইরূপ অসতীদিগের স্বভাব এই যে, উহার স্বামীর সম্পদের সময় মুখভোগ করে, এবং বিপত উপস্থিত হইলে, তাহাকে নানাদোষে দুতি, অধিক কি, পরিত্যাগও করিয়া থাকে। এই সকল স্ত্রীলোক অত্যপ্ত অস্থিরচিও ; উহার কুলের অপেক্ষণ রাখে না, বসন-ভুষণে বশীভূত হয় না, কৃতঘ্ন হয়, ধৰ্ম্মফুর্ণ তুচ্ছ বিবেচনা করে, এবং দোষ প্রদর্শন করিলেও অস্বীকার করিঙ্গ থাকে। উদ্ধৃত বাক্যগুলির অপকৃষ্ট বাংলা সম্বন্ধে কিছু বলা অনাবশ্বক আমরা কেবল প্রশ্নকৰ্ত্তার অমার্জিত রুচি এব;"জ হীনতার উল্লেখ করিতে रु३ि ।। কোন গ্লুেমি পুরুষের চরিত্রের মত কোন কোন নারীর চরিত্রেরও তাহা হইলে একটা কুপ্রবৃত্তি ? , - 'o.; بتة دوديد একটা মলিন ঘৃণ্য দিকৃ আছে। মানুষ বয়োবৃদ্ধিসহকারে ২ ইহা জানিতে পারে। বিবেচক জ্ঞানী লোকেরা তাহা বালকবালিকাদিগকে তাড়াতাড়ি জানাইতে ব্যগ্র হন না। সে-রকম জিনিষ প্রশ্নপত্রে পর্য্যস্ত বালিকাদের সম্মুখে ধরিবার কী একান্তপ্রয়োজন ঘটিয়াছিল ? “বসনভূষণে বশীভূত হওয়াটা কি নারীচরিত্রের উচ্চ আদশ ? না, সতীত্বের একটা লক্ষণ ? কোন নারীকে অসতী বলিলে তাহার চরিত্রে অপকৃষ্টতম দোষ আরোপ করা হয়। উদ্ধৃত বাক্যগুলিতে যে-সব দোষের উল্লেখ করা হইয়াছে, তাহার সবগুলিই কি এইরূপ অপকৃষ্টতম দোয় ? নীচে মুদ্রিত অদ্ভুত বাংলায় লেখা বাক্যগুলিও ছাত্ৰাদিগকে ইংরেজীতে অনুবাদ করিতে বলা হইয়াছে। আমাদের বিবেচনায় ১৫১৬ বৎসরের মেয়ে বা ছেলের পক্ষে এগুলি অতুবাদ করা দুঃসাধ্য । মনের মল দূর না করিলে ভক্তি ও ধৰ্ম্ম-বিশ্বাসের শাস্তি পাওয়া যাইবে না। তিনি হৃদয়ের ধন, অনেক কষ্ট সহিয়া একাগ্র হইয়৷ তাহাকে পাইতে হয়, নিজের ভোগমুখের পথে সংযমের কাটার বেড়া দিয়া উহাকে পাইতে হয়। মন একাগ্র না হইলে তাহার পায়ের নুপুরের শব্দশোনা যায় না। কিন্তু তিনি রোজই আসেন, মুহূৰ্ত্তে মুহূর্তে আসেন, তাহার স্নেহের শিশুর কি করিতেছে তাহ দেখিতে আসেন। তাহারা যদি নিজ মুখের ও স্বার্থের ঠুলি পরিয়া চক্ষু আঁধার করিয়া রাখে, তবে উপহার পাদপদ্ম দেখিবে কিরূপে ? যাহার পাদপদ্মের কথা বলা হইয়াছে, তাহাতে পিতৃত্ব না মাতৃত্ব আরোপ করা হইয়াছে, জানি না। পিতা নুপুর পরেন না। ছোট মেয়েরা নূপুর পরে । যিনি বহু সস্তানের জননী হইয়াছেন এরূপ মহিলা সচরাচর নুপুর পরেন কি ? প্রশ্নপত্রটির পুরা নম্বর ১০০ । তাহার মধ্যে বাংলা হইতে ইংরেজীতে অনুবাদের জন্য ৪৩ রাখা হইয়াছে। প্রশ্নপত্রটির প্রধান উদ্দেশু হওয়া উচিত ছাত্রীদের বাংলজ্ঞান পরীক্ষা করা। কিন্তু এই প্রশ্নপত্রের অনুবাদগুলি করিতে বেশ ভাল রকম ইংরেজীজ্ঞান থাকা চাই। তাহা না-থাকিলে, যে ছাত্রী বেশ ভাল বাংলা জানেন তিনিও ৪৩ বা প্রায় ৪৩ নম্বর হইতে বঞ্চিত হইবেন । ইহা ন্যায়সঙ্গত হুইবে না। অনুবাদের জস্ব প্রদত্ত একটি বাক্য এইরূপ — “পরিশ্রমের অগ্নি হৃদয়ে জলিয়া উঠিলে অন্য সকল কুপ্রবৃত্তি ভৰ্ম্মে পরিণত হয়।” “পরিশ্রমের অগ্নি"ঞ্জ 磁 uDDDD DB BBBBS BBB BDDD BBBBBB BB BBBBuBDDSY ‘’s