পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:* জ্যৈষ্ঠ Vo | আমার সাধনা সম্বন্ধে তোমার স্বনার ভাষায় যা লিখেচ সেটি সত্য । মানবের পরিপূর্ণতার শাশ্বত আদর্শ শাশ্বত মানবের মধ্যে আছে,—যে-অংশে সেই পরিপূর্ণত আমরা লাভ করি সেই অংশে পরিপূর্ণের সঙ্গে আমাদের মিলন হয়। সেই মিলনে এত গভীর আনন্দ যে তার জন্যে মাহ্য প্রাণ দিতে পারে। এমনি করেই যুগে যুগে কত সাধকের ত্যাগের উপরেই মানবসভ্যতা প্রশস্ততর প্রতিষ্ঠা লাভ করচে। পূর্ণ মানুষের ডাক না শুনতে পেলে মাহুষ বৰ্ব্বরতার অন্ধকূপে চিরদিনই পশুর মত পড়ে থাকত। আজও অনেক বধির আছে, কিন্তু যাদের মৰ্ম্মের মধ্যে পূর্ণের কালি প্রবেশ করে এমন অল্পসংখ্যক লোকও যদি থাকে ত। হলেই যথেষ্ট । বস্তুত তারাই অতি কঠিন বাধার ভিতর দিয়ে মানুষকে এগিয়ে নিয়ে চলেচে । আদিকাল থেকে আজ পর্য্যস্ত মানুষের সমস্ত ইতিহাসই হচ্চে সেই অভিসার । নক্ষত্রের আলোকে অন্ধকার রাত্রের এই অভিসারে মানুষ বারে-বারেই পথ হারিয়েছে, পিছিয়ে গেছে, কিন্তু একথাট। কখনই সে ভূলতে পারেনি যে তাকে চলতেই হবে, যেখানে আছে সেইখানেই তার চরম আশ্রয় এমন কথা বললেই মানুষ মরে, এমন কি যখন সে পিছিয়ে চলে তখনও চলার উপরে তার শ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। আমি যাকে মানুষের সাধনার বিষয় বলি তার একটা বিশেষ দিক হয়ত তোমার কাছে যথেষ্ট স্পষ্ট হয় নি। মানুষের পূর্ণত শতদলপদ্মের মত, তার বিকাশে বৈচিত্রের অন্ত নেই। প্রকৃতির অন্ত সকল দিক খৰ্ব্ব করে কেবল একটিমাত্র ভাবাবেগের বা মননচর্চার প্রবল উৎকর্ষ সাধনকেই আধ্যাত্মিক সাধনার আদর্শ বলে আমি স্বীকার করিনে। অনেক সময় দেখা যায় দৃষ্টি যখন অন্ধ হয় তখন ম্পর্শশক্তি অদ্ভুত রকম বেড়ে যায়। কিন্তু তবুও বলতে হবে, দৃষ্টি ও ম্পর্শের যোগেই আমাদের ইঞ্জিয়শক্তির পূর্ণ সার্থকতা। মানুষের চিত্ত যত কিছু ঐশ্বৰ্য্য পেয়েচে, সাধনার লক্ষ্যকে সঙ্কীর্ণ ক’রে তার মধ্যে যেটাকেই বাদ দেব সেটাই সমগ্রকে পঙ্গু করবে। পৃথিবীতে ধারা বিজ্ঞানের সাধনা করেন তারাও মোহমুক্তির দিকে মাছুষের । একটা জানলা খুলে দিচ্চেন। পত্রধারা অন্য জানলাগুলি বুজিয়ে দাও দেওয়াল গেঁথে, তাহলে সেই এক জানুলার পথে বিজ্ঞানের অতিতীব্র উপলব্ধি জন্মাতে পারে, তবু পূর্ণতার ঐশ্বর্ষ্যে মানুষ বঞ্চিত হবে। পেটুক বলতে পারে জল খেয়ে কেন পেট ভরাব, জঠরের সমস্ত গহবর সন্দেশ দিয়ে ঠাসাই ভোজের চরম আনন্দ, তেমনি মাতাল বলে খাবার খেতে শক্তির যে অপচয় হয় সেটা বন্ধ করে একমাত্র মদ খেয়েই তৃপ্তির পূর্ণত ঘটানো চাই। আপাতত যাই হোক পরিণামে উভয়েই বঞ্চিত হয়। সাধারণত যাকে আধ্যাত্মিক সাধনা বলা হয় তাকে যখন আমরা লোভের সামগ্রী করে তুলি তখন আলো পাবার জন্তে একটি জানল ছাড়া অন্য সব জানলায় দেওয়াল গাথবার উৎসাহ জাগে। এই রকম গুহাবাসের সন্ন্যাসকে আমি মানিনে ; গুহার বাইরে বিরাট জগতকে আমি গুহার চেয়ে বেশী সত্য বলেই জানি। সেইজন্যেই, কোনো আধ্যাত্মিক নামধারী গুহার মধ্যে ঢুকলেই আমার পরমার্থ লাভ হবে এমন লোভ যদি কোনো খেয়ালে আমাকে পেয়ে বসে তবে ক্ষণকালের মধ্যে স্থাপিয়ে উঠে তার থেকে বেরিয়ে আসব সন্দেহ নেই। যদি বলে অনেকে তো নিজেকে অবরুদ্ধ করার সাধনায় শেষ পৰ্য্যন্ত টিকে যায় । আমার উত্তর এই, মাড়োয়ারি মহাজন তো রাত্রি আড়াইট পৰ্য্যস্ত দতে রুদ্ধ থাকে, মুনফাও জমে। কোনো একটি জাতের স্ট্রন ই একান্ত করে সেইটেকেই চরম লাভ বলা লোভের চলমান জগতে যা-কিছু চলচে সমস্তকেই অগ্নি পূর্ণস্বরূপ আছেন অতএব মা গৃধ্র, লোভ ক এই হ’ল ঈশোপনিষদের প্রথম শ্লোক। পূর্ণকে উর্দু স্থা করতে যদি চাই তবে কোনো করাই লোভ এবং ব্যর্থত, তাকে বি :.& \ আধ্যাত্মিক আনন্দই বলি । ७झे इ'ल ९ । সাহিত্য শিল্প বিজ্ঞান দর্শন লোক জকে মুক্তি দেওয়ার