পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nు প্রবাসী; ఎbంచేd অন্তঃস্থ জ’ ও ‘ঘ’য়ের একই উচ্চারণ। মূৰ্দ্ধনা ও দন্ত্য 'ন'য়ের উচ্চারণে কোন প্রভেদ নাই। প-বর্গের ‘ব’ ও অন্তঃস্থ ‘ব’ উচ্চারণের সময় একই অক্ষর। যদি উচ্চারণের অনুসারে বাংলা বর্ণমালা প্রস্তুত করা যায়, তাহ হইলে মূৰ্দ্ধন্য 'ণ', অন্তঃস্থ ‘য’ ও ‘ব’ এবং মূৰ্দ্ধন্য ও দন্ত্য স’য়ের কিছুমাত্র আবশ্বক নাই । সংস্কৃত ও ও প্রাকৃত শব্দের উচ্চারণে অনেক প্রভেদ ছিল, মাগধী, পালি ও প্রাকৃতের উচ্চারণ স্বতন্ত্র। ইহা ব্যতীত আদিম অনার্য্য ভাষা ভারতের অনেক স্থানে প্রচলিত ছিল । বাঙালীর অক্ষর ও শব্দ উচ্চারণের পদ্ধতি অনুসন্ধানের বিষয় । লিপি-প্রণালী বাংলা দেশের মূল শিক্ষা সংস্কৃত ভাষায় । সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতেরা বাংলা ভাষা অথবা সংক্ষেপে ভাষাকে অবহেলা করিতেন । তাহার পর র্যাহারা ইংরেজী শিখিলেন র্তাহারা ৪ বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করিতেন। পণ্ডিতেরা ংস্কৃত লিখিবার সময় বর্ণাশুদ্ধি করিতেন না, কিন্তু নিতান্ত পক্ষে বাংলা অথবা ভাষা লিখিতে হইলে, তাহারা কোনরূপ নিয়ম মানিতেন না। ইকার উকার যাহার যেমন ইচ্ছা লিখিত, দুই রকম জয়ের, দুই রকম নিয়ের, দুই রকম “ব’য়ের, তিন রকম শ’য়ের কোন বিচার ছিল% লিখনপ্রণালীতে সম্পূর্ণ যথেচ্চাচার চলিতy rর বানান যে যেমন ইচ্ছা করিত। একই পুথি/' : ; লিপিকরের ভিন্ন ভিন্ন রূপে লিখিত । বাং ప్లే ব্যাকরণ ছিল ন, বাংলা শব্দ বানান করিবk8 নি নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছিল না । মৈথিল ভ &র্সপি-প্ৰণালীর এরূপ উচ্চস্থলত ছিল না। মৈ:ি বি ও লিপিকরের শব্দের বানানে একটা নির্দিষ্ট &#ান করিতেন ও সেই কারণে সকল মৈথিল পুষ্ঠিত _ ধর বানান একই প্রকার দেখিতে পাও । সে লিপি-প্রণালী অনেকট প্রাকৃতের অত্যু এই উচ্ছ ও অরাজকতার পরিবর্তে বাংলা শব্দ সমূহকে Afত শব্দের অনুযায়ী বানান করিবার প্রথা প্রচস্ট্রিন্থিইল। এই পরিবর্তন কেমন করিয়া ঘটিল তাহা ঠিক বলিতে পারা যায় না, কিন্তু এক প্রকার অনুমা, করা যায়। কোন পুস্তক ছাপিবার সময় মুদ্রাঘন্ত্রের ভ সংশোধন করিবার জন্য পণ্ডিত নিযুক্ত করা হইত। এখনও অনেক স্থানে সেইরূপ করা হয়। এই সকল পণ্ডিতের ংলা শব্দের বানান সংস্কৃতের অনুযায়ী করিয়া দিতেন । ইদানীং বাঙালী লেখকেরাও সেইরূপ বানান আরম্ভ করিলেন । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লিখিত বর্ণপরিচয় প্রভৃতি পাঠ্যপুস্তকাদি পড়িয়া যাহারা বাংলা শিখিতেন তাহারাও শুদ্ধ বানান লিখিতে শিখিলেন। এইরূপে সমস্ত প্রাচীন বাংলা কাব্য ও অন্যান্য গ্রন্থের সকল শব্দের বানান আগাগোড় সংশোধিত হইয়া গিয়াছে। ইহাতে ক্ষতি হইয়াছে, লাভ হয় নাই । যেমন প্রাচীন ও অপ্রচলিত শব্দসমূহ প্রাচীন গ্রন্থ পাঠ করিবার কালে শিক্ষা করা উচিত, সেইরূপ সে-কালের শ্লব ও বানানের পদ্ধতি আমাদের জানা উচিত। ভাষা ও শব্দের ইতিহাস জানিতে হইলে বিবর্তনের ক্রম উত্তমরূপে শিখিতে হয় । বাংলা ভাষায় তাহার উপায় নাই । - চণ্ডীদাসের পদাবলী এখন যে আকারে দেখা যায় তাহাতে মূলের সম্পূর্ণ বিকৃতি ঘটিয়াছে। কতকগুলি হিন্দী, মৈথিল ও অপ্রচলিত শব্দ ছাড়া পদাবলীর আকার একেবারে আধুনিক, প্রাচীনত্ব কিছু নাই। তাহার উপর অপর দোষও ঘটিয়াছে। প্রাচীন লেখাতে এক দাড়ী ছাড়া আর কোন ছেদ কিংবা বিরামচিহ্ন ছিল না। কবিতা লিখিতে হইলে প্রথম শ্লোকাৰ্দ্ধে এক দাড়ী, দ্বিতীয় শ্লোকাৰ্দ্ধে দুই দাড়ী। পূর্ণচ্ছেদ ছাড়া সংস্কৃত লেখায় আর কোন বিরামচিহ্ন ব্যবহৃত হইত না, প্রাচীন বাংলাতেও তাঁহাই। প্রাচীন রচনা যদি পূর্কের আকারে না পাওয়া যায় তাহা হইলে নিরুপায়, কিন্তু তাহার উপর কম, সেমিকোলন প্রভৃতি ইংরেজী চিহ্ন যোগ করিয়া দিতে হইবে কেন ? চণ্ডীদাসের কবিতাতে সঙ্কলনকারের তাহাও করিয়াছেন। প্রাচীন লেখার যেটুকু প্রাচীনত্ব রক্ষা করিতে পারা যায়, তাহারা তাহাও বিনষ্ট করিয়াছেন । ংস্কৃত ও ইংরেজী পণ্ডিত মিলিয়া প্রাচীনকে নবীন করিয়া তুলিয়াছেন। ইহাতে পদাবলী রূপান্তরিত হইয়াছে, কিন্তু ভাবান্তরিত হওয়া অসম্ভব। শস্বের বানানে, আকারে: